সাবধান! এই ৫টি সত্যি জামাইরা শ্বশুরকে বললেই বিপদ

শ্বশুরের মনের অন্দরে কড়া নাড়তে হলে যে কর্মটি অবশ্যই করতে হয়, তা হল মন জয়। আরোপিত মর্যাদার সম্মানকে দূরে রেখে ‘মনের মানুষ’ হওয়ার এক এবং একমাত্র ফর্মুলা ‘জামাইকে হতে হবে বন্ধু’। সমস্ত আনন্দ আর দুঃখ ভাগ করে নেওয়ার মানুষ হতে পারলেই জামাই ‘বাবা জীবন’ একেবারে হিট! না হলেই গেল! আদর পাবে, মন পাবে না।
তুমি কি মদ খাও? নিজের হবু শ্বশুরের সামনে প্রথমবার দাঁড়িয়ে যদি প্রথম বাক্যটিই এটা হয়, তাহলে কার বুক কাঁপবে না বলুন তো! একেবারে শাঁখের করাত অবস্থা।

কারণ এই প্রশ্নের উত্তর হবু শ্বশুরই একরকম দিয়ে দিয়েছিলেন সঙ্গে সঙ্গে। ‘আসলে মদ খাওয়ার কোনও সঙ্গী তেমন পাই না তো। তুমি মদ খেলে আমার একটু সুবিধা হয় আর কী।’ এমন সৌভাগ্য সব মদ্যপায়ী জামাইয়ের হয় না অবশ্য। বিশেষত নিজের হবু জামাইয়ের ঠিকুজিকুষ্ঠি যে ভাবে দেখে নেন শ্বশুরেরা, সেখানে এই রকম এক একটা প্রশ্নই এক একটা পরীক্ষা।
হবু জামাই হোন বা বিয়ের পরে জামাই হয়ে শ্বশুরবাড়িতে যান, কিছু কিছু প্রশ্নের উত্তরে কখনও সত্যি কথা বলা উচিত নয়। দেখে নেওয়া যাক এমন ৫টি পরিস্থিতি যেখানে মিথ্যে বলাই শ্রেয়।

Source

মদ যদি সত্যিই খান, তাহলেও শ্বশুরের সামনে সত্যি কথাটি শুরুতেই না বলা ভাল। এমন প্রশ্ন আসলে আপনার ‘চরিত্রের’ পরীক্ষা হতে পারে। আপনার শ্বশুর মদ্যপায়ী হলেও তিনি পরীক্ষা করার জন্য আপনাকে প্রশ্নটি করতে পারেন। সুতরাং সপাটে মিথ্যে কথা বলে ফেলুন। পরে পরিস্থিতি বুঝে সত্যিটা বলবেন।

শ্বশুরের বাড়ি বা ফ্ল্যাট ঠিক মতো প্ল্যান করে তৈরি হয়নি বা কোনও খুঁত আছে মনে করলেও সত্যিটা এড়িয়ে যান। যত খারাপই লাগুক, পুরো চেপে যান আপনার ভাবনা। মনে রাখবেন আপনার শ্বশুর-শাশুড়ি বা তাঁর বাবা-মা অনেক কষ্ট করে এই বাড়ি তৈরি করেছিলেন বা ফ্ল্যাটটি কিনেছিলেন। সুতরাং তাঁর পরিশ্রম বা কষ্ট বা অর্থের সম্মান করতেই হবে। নিজের বাড়ি বা ফ্ল্যাট যে কোনও শ্বশুরের খুব দুর্বল জায়গা।

আরও পড়ুন : বউ কে বশ করবেন কিভাবে ? জেনে নিন কিছু সহজ উপায়

Source

আরও পড়ুন : হিন্দু ধর্মে মেয়েদের নানান অলঙ্কার পরার পেছনে আশ্চর্যজনক বৈজ্ঞানিক কারণ

স্ত্রীকে নিয়ে শ্বশুরের কাছে কোনও রকম অভিযোগ করবেন না। মনে রাখতে হবে নিজের মেয়ের প্রতি প্রত্যেক বাবারই অগাধ স্নেহ। মেয়ের সম্বন্ধে কোনও খারাপ কথাই বাবা শুনতে চাইবেন না। কাজেই আপনার ভিন্ন মত থাকলেও ‘আমার মেয়ে দারুণ রান্না করে, বা আমার মেয়ের কোনও দোষই খুঁজে পাবে না,’ এমন কথা শ্বশুরের মুখে চুপচাপ শুনে যান। ভুলেও তাঁর সামনে অন্য কথা বলতে যাবেন না।

Source

আরও পড়ুন : হিন্দু বিয়েতে বিয়ের অনুষ্ঠানে পাত্রের মা থাকতে পারেন না কেন ?

শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে খেতে বসে খাবারের স্বাদ নিয়ে কিছু বললে যেমন শাশুড়ির খারাপ লাগতে পারে, তেমন খাবারের উপাদান নিয়ে খারাপ মন্তব্য করলে চটতে পারেন শ্বশুর। মনে রাখতে হবে, জামাইয়ের জন্য সেরা মাছ, সেরা সবজি, সেরা মিষ্টি নিয়ে আসার চেষ্টা করেন সব শ্বশুরেরাই। কিন্তু তাতে যদি কোনও খুঁতও দেখেন, মুখে লিউকোপ্লাস্ট লাগিয়ে রাখাই শ্রেয়। কেমন হয়েছে মাছের সাইজটা জানতে চাইলে মন না চাইলেও মিথ্যেটাই বলুন।

Source

আরও পড়ুন : হিন্দু বিয়ের কিছু প্রথা যা অবিলম্বে বন্ধ হওয়া উচিৎ

আর হ্যাঁ নিজের বেতন নিয়ে কখনও সত্যি কথাটি বলতে যাবেন না শ্বশুরকে। যতই রোজগার করুন আপনার শ্বশুরের কাছে সেটা কম লাগতে পারে। সুতরাং বেতনের অঙ্ক নিজের মনেই রাখুন। ইনিয়ে বিনিয়ে একটা ঝাপসা উত্তর দিন। সত্যি অঙ্ক কদাপি নয়।
এর থেকেও হয়তো অনেক গম্ভীর পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে পারেন, যেখানে সত্যি কথা নৈব নৈব চ। আর শ্বশুর যদি জামাইকে নিজের ছেলের মতো বা বন্ধুর মতো মনে করেন, তাহলে অন্য কথা। স্বাভাবিক ভাবেই উত্তরও হবে অন্যরকম!

আমাদের প্রতিটি পোস্ট WhatsApp-এ পেতে ⇒ এখানে ক্লিক করুন