এক কাপ চা আর একটি সিঙ্গাড়া, উফ স্বাদে যেমন ভালো তেমমনি মনটাও আনন্দে ভরপুর হয়ে যায়। শুধু কি চা, সন্ধেবেলা স্ন্যাকস বা মুড়ির সঙ্গে এই খাবারটি ভারতীয়দের এক নম্বর পছন্দের খাবার। যদিও খাবারটি ভারতের নয় তবুও সকাল সন্ধ্যেই এক পিস সিঙ্গাড়ায় মন ডোবান ভারতবাসী। ভারতে সিঙ্গাড়ার জন্ম নয়ন আন্তর্জাতিক খাবারটির অন্য নাম সামোসা। তবে সিঙ্গাড়ার জন্মস্থান বা ইতিবৃত্ত কিন্তু কেউ না জেনেই খাবারটিকে স্বাচ্ছন্দ্যে গ্রহণ করি। তাহলে আসুন জেনে নেওয়া যাক সিঙ্গাড়ার কাহিনী
সিঙ্গাড়ার প্রথম উল্লেখ পাওয়া যায় মধ্যপ্রাচ্যে। ইরানি ইতিহাসবিদ আবলফজল বেহাকি রচিত তারিখ-এ-বেহাগি বইয়ে সিঙ্গাড়াকে সাম্বোসা হিসেবে পাওয়া গেছে। দশম শতক থেকেই পর্যটকদের খাবারের তালিকায় ও স্ন্যাকস হিসেবে সিঙ্গাড়া থাকত তাদের কাছে।
আমির খসরুর রচনা থেকেই ভারতে প্রথম সিঙ্গাড়ার কথা পাওয়া যায়। তবে দ্বাদশ শতকের মাঝামাঝি এই খাবারটি মাংসে পুরভরা হিসেবেই প্রচলিত ছিল।
এর পর আস্তে আস্তে গোটা বিশ্বে খাবারটি ছড়িয়ে পড়ে। তবে এখন যেমন পুর হিসেবে আলু, বাদাম থাকে তখন কিন্তু থাকত আখরোট, পেস্তা বাদাম, মাংস জাতীয় পুষ্টিকর জিনিসপত্র।বাংলায় এখন মূলত আলুর পুর থাকে। তবে শীতের সময় ফুলকপি, কড়াইশুঁটিও জায়গা করে নেয় এর ভেতরে। পুর হিসেবে এগুলি ছাড়াও বিফও ব্যবহার করা হত।
আরও পড়ুন : গুগলের লোভনীয় চাকরি ছেড়ে শুধু শিঙাড়া বেচেই লাখপতি
তিনকোণা এই মুচমুচে খাদ্যবস্তুর স্বাদে মাতোয়ারা এখন পর্তুগাল, ব্রাজিলও। সেখানে অবশ্য তার নাম ‘পাস্তেইস’।বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন নাম হলেই কি এসে যায়। খাবারের স্বাদ খাবারই। তার জন্ম স্থান যেখানেই হোক না কেন।