
দেশজুড়ে ২১ দিন লকডাউন চলছে। ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত চলবে এই পরিস্থিতি। দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে জিনিসপত্রের দাম। লকডাউনের সুযোগ নিয়ে অনেকেই শুরু করেছেন কালোবাজারি। মধ্যবিত্তের মাথায় হাত। তবে এবার কিছুটা হলেও স্বস্তির খবর। কমে গেল ভর্তুকি রান্নার গ্যাসের দাম।
ভর্তুকিহীন রান্নার গ্যাসের দাম সিলিন্ডার পিছু কমেছে ৬৫ টাকা করে। এখন ১৪.২ কেজি ওজনের রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডার পাওয়া যাবে ৭৭৪.৫০ টাকায়। অন্যদিকে ১৯ কেজি রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডারের দাম কমেছে ১০১.৫০ টাকা। বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে ব্যবহৃত এই রান্নার গ্যাসের দাম হয়েছে সিলিন্ডার প্রতি ১৩৪৮.৫০ টাকা। তবে রান্নার গ্যাসের দাম কমলেও বেড়েছে পেট্রোল ও ডিজেলের দাম। ডিজেলের লিটার প্রতি দাম বেড়েছে ১ টাকা করে। আর পেট্রোলের দাম বেড়েছে ১.০১ টাকা করে।
এই নিয়ে টানা দু’মাস গার্হস্থ্য এলপিজি সিলিন্ডারের দাম কমল। কলকাতায় ১৯ কিলো নন-ডমেস্টিক সিলিন্ডারের দাম এপ্রিলে ১০১ টাকা ৫০ পয়সা কমে হয়েছে ১,৩৪৮ টাকা ৫০ পয়সা। তবে এপ্রিলে সিলিন্ডার নিলে গ্রাহকরা কত টাকা ভর্তুকি পাবেন, সে বিষয়ে কিছু জানায়নি রাষ্ট্রায়ত্ত তেল বিপণনকারী সংস্থাগুলি।
রান্নার গ্যাসের দাম কমা বাড়া হয় কীভাবে? বিদেশি মুদ্রার এক্সচেঞ্জ রেটের হিসেব ও আন্তর্জাতিক বেঞ্চমার্ক দর অনুযায়ী এলপিজি গ্যাসের দাম নির্ধারণ করা হয়। আর যেহেতু এলপিজি গ্যাসের এই মূল্য নির্ধারণ সংক্রান্ত বিষয়টি আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে আলোচিত বিভিন্ন সময়ে এলপিজি গ্যাসের দাম তাই কমে যায় আবার কখনো অস্বাভাবিক রকমের দাম বেড়ে যায়।
আরও পড়ুন :- পেট্রোল ডিজেলের দাম কীভাবে ঠিক করা হয় জানেন ?
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য দেশের এই লকডাউন পরিস্থিতিতে একটি গ্যাস সিলিন্ডার বুকিংয়ের পরে ১৫ দিন পার না হলে দ্বিতীয়টি বুক করা যাবে না। লকডাউনের জেরে আতঙ্কিত হয়ে অনেকেই অপ্রয়োজনে গ্যাস বুক করছেন। এই পরিস্থিতিতে বাধ্য হয়েই নতুন নিয়ম চালু করেছে ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশন।
Sanjiv Singh, @ChairmanIOCL talks about ample stock of petroleum products. All IndianOil locations and touch points are functional. Kindly avoid panic buying. Watch the video for more. #StayHomeStaySafe #CoronaStopKaroNa #IndiaFightsCorona @dpradhanbjp @PetroleumMin pic.twitter.com/0w98XLHiYF
— Indian Oil Corp Ltd (@IndianOilcl) March 29, 2020
আরও পড়ুন :- গ্যাস ডেলিভারী দিতে বাড়তি টাকা চাইলে কি করবেন?
ইন্ডিয়ান অয়েল জানিয়েছে, দেশে এলপিজি-র কোন অভাব নেই। সব রকমের পেট্রোলিয়াম পণ্যের সরবরাহই ঠিকঠাক আছে। পেট্রোল, ডিজেল থেকে রান্নার গ্যাস কোনও কিছুরই অভাব নেই। বিশেষ করে এলপিজি গ্রাহকরা চিন্তামুক্ত থাকতে পারেন। সরবরাহ একেবারে স্বাভাবিক আছে। তবু গ্রাহকরা যেন প্যানিক করে বুক না করেন। এটা হলে অযথা চাপ তৈরি হবে। এই কারণেই এখন এমন ব্যবস্থা করা হল যাতে কেউ একটি সিলিন্ডার নেওয়ার পরে ১৫ দিনের আগে দ্বিতীয়টি বুক করতে না পারে।