মাত্র কয়েকমাস আগে স্টার জলসার (Star Jalsha) পর্দায় শুরু হয়েছে নতুন ধারাবাহিক ধূলোকণা (Dhulokona)। জি বাংলার মিঠাই এর বিপরীতে সম্প্রচারিত হচ্ছে লীনা গঙ্গোপাধ্যায়ের এই ধারাবাহিক। মিঠাইকে টেক্কা দেওয়া সহজ নয়। তবে ধূলোকণার টিআরপিও কিন্তু নিতান্ত মন্দ নয়। দিন প্রতিদিন এই ধারাবাহিকের প্রতি দর্শকের আগ্রহ বাড়ছে। যার ফলে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে টিআরপি। ধারাবাহিকে এখন চলছে টানটান উত্তেজনা। যেকোনো মুহূর্তে অ্যারেস্ট করা হতে পারে লালনকে (Lalon)।
লালন এবং ফুলঝুরি (Fuljhuri), ধারাবাহিকের প্রধান দুই চরিত্র। দুজনে একই বাড়িতে কাজ করে। সেই সূত্রে তারা একে অপরের খুব ভালো বন্ধু। প্রথমদিকে অবশ্য তাদের সম্পর্কের খুনসুটি দর্শক চেটেপুটে উপভোগ করেছেন। ইদানিং তাদের সম্পর্কে প্রেমের মিষ্টি গন্ধ পাচ্ছেন দর্শক। তবে শুধু ফুলঝুরি একা নয়, বাড়ির মেয়ে চড়ুইও (Chorui) লালনের প্রেমে পড়েছে। তবে লালনের প্রতি চড়ুইয়ের দুর্বলতা কার্যত লালনের পক্ষে বিপদ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
কলেজের অনুষ্ঠানে চড়ুইয়ের সঙ্গে গিয়ে বেজায় বিপাকে পড়েছে লালন। পার্টিতে আকণ্ঠ মদ গিলে চড়ুই নিজের জ্ঞানগম্যি হারিয়েছে। পার্টিতে সকলের সামনেই লালনকে প্রপোজ করে বসে সে। জানিয়ে দেয় নিজের ভালবাসার কথা। শুধু তাই নয়, বাড়ি ফিরেও মদের ঘোরে লালনের প্রতি ভালোবাসা ব্যক্ত করতে থাকে চড়ুই। এমনকি সে দাবি করে, পার্টিতে সে আর লালন ঘনিষ্ঠ হয়েছে। শুনে মাথায় হাত বাড়ির লোকেদের।
বাড়ির সকলেই এখন লালনকে সন্দেহের নজরে দেখছে। এমনকি ফুলঝুরিও লালনকে বিশ্বাস করছে না। চড়ুইয়ের মা চান্দ্রেয়ীও লালনকে দেখে নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে। এমনই এক টান টান উত্তেজনার মুহূর্তে চ্যানেলের তরফ থেকে ধারাবাহিকের নতুন প্রোমো প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে পার্টিতে চড়ুইয়ের সঙ্গে অন্তরঙ্গ হওয়ার অপরাধে লালনকে গ্রেপ্তার করতে এসেছে পুলিশ।
একটা মিথ্যে অপবাদের ভিত্তিতে পুলিশ লালনকে গ্রেপ্তার করার জন্য পৌঁছে গিয়েছে তার বাড়িতে। পুলিশ লালনের হাতে হাতকড়া পরিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলো ঠিক তখনই খবর পেয়ে সেখানে উপস্থিত হয় ফুলঝুরি। লালনকে গ্রেপ্তারির হাত থেকে বাঁচাতে পুলিশের পায়ে ধরে ফুলঝুরি। একটা মিথ্যে অপবাদের হাত থেকে বাঁচাতে আর একটা মিথ্যে গল্প ফেঁদে বসে সে। পুলিশকে সে জানায়, তার সঙ্গে লালনের বিয়ে ঠিক হয়ে গিয়েছে। বড়লোকের মেয়ে চড়ুই লালনকে ফাঁসানোর জন্য এমন অপবাদ দিচ্ছে।
এরপর পুলিশের পায়ে পড়ে সে তাদের সামনে হাত জোড় করে বলে, “আমার জীবনটা এভাবে নষ্ট করে দেবেন না, ওকে ছেড়ে দিন না”। ফুলঝুরির এই মিথ্যে গল্প লালনকে মিথ্যা অপবাদের হাত থেকে বাঁচাতে পারবে কি? লালন ফুলঝুরির সম্পর্কের ভবিষ্যত কী হতে চলেছে? উত্তর মিলবে ধারাবাহিকের পরবর্তী এপিসোডে।