দক্ষিণের থালাইভা রজনীকান্তের (Rajnikant) জামাই বলে কথা। তাছাড়া অভিনয়গুণে ধনুষ (Dhanush) নিজেও কিছু কম জনপ্রিয়তা পাননি। অভিনয়ের পাশাপাশি পরিচালনা এবং গানেও তার বিশেষ দক্ষতা রয়েছে যা তাকে আলাদাভাবে জনপ্রিয়তা এনে দিয়েছে। তবে এখন অবশ্য তার আরেকটি নতুন পরিচয় হয়েছে। রজনীকান্তের মেয়ে ঐশ্বর্যের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের পর তিনি এখন রজনীকান্তের প্রাক্তন জামাই।
ধনুষের আসল নাম ভেঙ্কটেশ প্রভু কস্তুরী রাজা (Venkatesh Prabhu Kasthuri Raja)। বলিউডেও তিনি দুটি ছবিতে অভিনয় করেছেন। তার সম্পত্তি যে কোনও বলিউড তারকাকে টেক্কা দিতে পারে। তবে সম্পত্তি থাকা সত্ত্বেও তিনি কখনও বিলাসবহুল জীবনযাপনে অভ্যস্ত হননি। শোনা যায় তিনি নিতান্তই সাদাসিধে জীবন যাপন করতে ভালোবাসেন। বর্তমানে একটি ছবির জন্য ৮-১০ কোটি টাকা পারিশ্রমিক নেন তিনি। তার প্রাক্তন স্ত্রী ঐশ্বর্য পেশায় একজন পরিচালক এবং গায়িকা। তার বার্ষিক উপার্জন ৭-৩৫ কোটি টাকা।
২০২০ ধনুষের মোট বার্ষিক আয় ছিল ১৪৫ কোটি টাকা। এমনকি ২০২১ সালে করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও তিনি ১৪২ কোটি টাকা আয় করেছিলেন। গত পাঁচ বছরে তার উপার্জন বেড়েছে ৮ কোটি টাকা। তার মোট সম্পত্তির পরিমাণ বর্তমানে ১৬০ কোটি টাকা প্রায়। অভিনয়, পরিচালনা এবং গান, এই তিনটি দিকে তার যথেষ্ট দক্ষতা আছে। এই তিনটি মাধ্যম থেকে তিনি প্রচুর অর্থ উপার্জন করেন।
২০১৩ সালে ধনুষের গাওয়া ‘কোলাভেরি ডি’ গানটি ব্যাপক শোরগোল ফেলে দিয়েছিল। তৎকালীন সময়ে সোশ্যাল মিডিয়ার রমরমা ছিল না। তবুও ধনুষের গাওয়া এই গানটি গোটা দেশে ছড়িয়ে পড়ে এবং বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করে নেন ধনুষ। তাছাড়া বিভিন্ন বিজ্ঞাপনের ব্র্যান্ডের মুখ হিসেবে কাজ করেন ধনুষ।
ব্র্যান্ডের বিজ্ঞাপন থেকেও প্রচুর অর্থ আসে তার ঘরে। চেন্নাইয়ের একটি অভিজাত এলাকায় দামি এবং বিলাসবহুল আবাসনে থাকেন রজনীকান্তের প্রাক্তন জামাই। তার এই বিলাসবহুল বাসস্থানের দাম প্রায় ২৫ কোটি টাকা। তাছাড়াও তার নামে বেশকিছু স্থাবর সম্পত্তি রয়েছে। সব মিলিয়ে একার উপার্জনে দেড়শো কোটি টাকারও বেশি সম্পত্তি নিজের নামে করে ফেলেছেন ধনুষ।