বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট এবং দাদাগিরির (Dadagiri Unlimited Season 9) ‘দাদা’ ব্যক্তিগত জীবনে নিপাট ‘ফ্যামিলি ম্যান’। স্ত্রী ডোনা গাঙ্গুলী (Dona Ganguly) এবং মেয়ে সানা গাঙ্গুলীকে (Sana Ganguly) নিয়েই তার সংসার। অথচ তার জীবনের সবথেকে ২ কাছের মানুষই ইদানিং তার সঙ্গে থাকেন না। এক শহর তো দূরের কথা, এক রাজ্য, এমনকি এক দেশেও নেই তারা। কাঁটাতারের গণ্ডি পেরিয়ে সুদূর লন্ডনে পড়তে গিয়েছে সানা। সঙ্গে গিয়েছেন ডোনাও। কলকাতাতে একাই রয়েছেন সৌরভ গাঙ্গুলী (Sourav Ganguly)।
সদ্য দাদাগিরির মঞ্চে সৌরভ পারিবারিক জীবনে নিজের নিসঙ্গতা তুলে ধরলেন। দাদাগিরিতে মাঝে মধ্যে তাদের পরিবারের বিভিন্ন বিষয় উত্থাপিত হয়। সোশ্যাল মিডিয়াতে কারোরই প্রায় অজানা নেই যে সৌরভের কন্যা সানা লন্ডনের একটি ইউনিভার্সিটিতে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের সুযোগ পেয়েছেন। সৌরভ এবং ডোনা নিজে গিয়ে মেয়েকে সেখানে ভর্তি করিয়ে এসেছেন। সৌরভ ফিরলেও মেয়েকে ছেড়ে ডোনা ফিরে আসেননি।
দাদাগিরিতে তারকা স্পেশাল পর্বে রূপাঞ্জনা মিত্রের প্রশ্নের উত্তরে সৌরভ জানালেন মেয়ে-বউ বাড়িতে না থাকায় তার মাঝেমধ্যেই বেশ একা লাগে। সৌরভের কথায়, “আমি একটা ১৯ বছরের মেয়েকে সেন্ট্রাল লন্ডনে একা ছাড়তে পারিনি। আমার স্ত্রীও ওর সাথে থাকে। কারণ ওখানে কোনও কলেজেই ক্যাম্পাসের মধ্যে হোস্টেল নেই। ওরা আমাদের লন্ডনের বাড়িতেই থাকে। এখানে আমি খুব একা হয়ে গিয়েছি”।
একমাত্র মেয়েকে বাইরে পাঠানোর সিদ্ধান্তটা সৌরভের কাছে ছিল যথেষ্ট চ্যালেঞ্জিং। তবে মেয়ের ভবিষ্যতের কথা ভেবে তিনি আর না করতে পারেননি। তখন তার মনে হয়েছিল, তিনি নিজে কতদিনই বা বাবা-মায়ের সঙ্গে থাকতে পেরেছিলেন? একটা সময় পর ছেলেমেয়ের ভালোর জন্য তাদের তো ছাড়তেই হয়। এই ভাবনা তার মাথায় আসাতে তিনি সানাকে লন্ডনে পাঠাতে দ্বিধা করেননি।
১৯৯৬ সালে লন্ডনেই তার টেস্ট অভিষেক হয়েছিল। লর্ডসের ময়দানে উড়েছিল তার নামের বিজয় পতাকা। আজ তার মেয়েও লন্ডনেই কেরিয়ার শুরু করছে। সানাকে লন্ডনের ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি করে মেয়ে এবং বউয়ের সঙ্গে একাধিক ছবি সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করেছিলেন সৌরভ।