চোখ রাঙাচ্ছে ঘূর্ণিঝড় “গতি”, দুর্গা পুজোয় বাংলায় দুর্যোগের অশনি সংকেত

চলতি বছরে একের পর এক দুর্যোগের সন্মুখীন হয়েছে বাংলা। একদিকে বিশ্বজুড়ে দাপট দেখাচ্ছে কোরোনা ভাইরাস অন্যদিকে কয়েকদিন আগেই ঘূর্ণিঝড় আমফানের তাণ্ডবে ধ্বংস হয়ে গেছে বহু অঞ্চল। এই ধাক্কা এখনও সম্পূর্ণ ভাবে কাটিয়ে উঠতে পারেনি বাংলা। এবার আবারও সেই অশনি সঙ্কেত। পুজোর মরশুমে থাবা বসাতে পারে ঘূর্ণিঝড় “গতি”।

আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী অক্টোবরে বঙ্গোপসাগরে দুটি নিম্নচাপ তৈরি হচ্ছে। যার একটি শক্তি বাড়িয়ে পরিণত হতে পারে ঘূর্ণিঝড়ে। গত ৩০ সেপ্টেম্বর উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে একটি নিম্নচাপ তৈরি হয়েছে এবং অপরটি তৈরি হয়েছে পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগরে। এই দ্বিতীয় নিম্নচাপটি পরিণত হতে পারে ঘূর্ণিঝড়ে যা আছরে পড়তে পারে অক্টোবরের তৃতীয় সপ্তাহে!

তবে এই ঘূর্ণিঝড়ের অভিমুখ কোনদিকে হবে, অর্থাৎ কোথায় এটি আছরে পড়তে পারে সেই সম্পর্কে স্পষ্ট কোনও তথ্য দেয়নি আবহাওয়া দফতর। তবে তারা মনে করছেন ঘূর্ণিঝড় যদি সৃষ্টি হয় তবে তা বাংলাদেশের দিকেই যেতে পারে।

বাংলায় সরাসরি ঘুর্নিঝড় আছরে না পরলেও উপকূলীয় অঞ্চলে এর প্রভাব পরতে পারে। তবে যদি এই ঘূর্ণিঝড় অভিমুখ পরিবর্তন করে তাহলে বাংলায়ও এর প্রকোপ পড়তে পারে।

আরও পড়ুন : ঘূর্ণিঝড় কেন হয়? ঘূর্ণিঝড় কত রকমের ও কি কি?

এই গতি হলো উত্তর ভারত মহাসাগরীয় ক্ষেত্রে নয়া তালিকায় দ্বিতীয় ঝড়। প্রথম ঝড় ছিল নিসর্গ যা আছরে পড়েছিল মুম্বাইয়ে।

“গতি” নামটি তালিকায় ভারতের দেওয়া প্রথম নাম। নতুন তালিকায় উত্তর ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ১৩ টি দেশ ১৩ টি করে ঘূর্ণিঝড়ের নাম দিয়েছে।

আরও পড়ুন : পরবর্তী ১৩টি ঘূর্ণিঝড়ের নাম ও যেভাবে ঠিক হয় ঘূর্ণিঝড়ের নাম

“গতি”র পর আসবে একে একে নিভার, বুরেভি, তকলি, যাস, গুলাব, শাহীন, জওয়াদ, অশনি, সিতরং, ম্যানডৌস এবং মোচা। তবে এই গতি কি তাহলে পুজোর সময়ই আঘাত হানতে চলেছে! আশঙ্কায় আবহাওয়াবিদরা।