সন্তান জন্মের জন্য প্রয়োজন যৌনমিলন, সেটা জানতেনই না দম্পতি! বাচ্চা না হওয়ার দুঃখে হাজির ডাক্তারের চেম্বারে!অবিশ্বাস্য মনে হলেও এমনই ঘটনা প্রকাশ্যে আনলেন ইউনাইটেড কিংডম ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস (এনএইচএস)-এ কর্মরতা একজন নার্স। চল্লিশ বছরেও বেশী সময় ধরে সেখানে কাজ করছেন তিনি, নাম র্যাচেল হিয়ারসন।
সম্প্রতি একটি স্মৃতিকথা প্রকাশ করেছেন যার নাম ‘হ্যান্ডেল উইথ কেয়ার: কনফেশনস অব এনএইচএস অ্যান এনএইচএস হেল্থ ভিসিটর’। সেখানেই তিনি বলেন এমনই এক দম্পতির গল্প। বেশ কিছু বছর হলো তাদের বিয়ে হয়েছে। সন্তানের ইচ্ছে দুজনের মনেই প্রবল,কিন্তু সন্তান হচ্ছেনা। অগত্যা ডাক্তারের চেম্বারে গিয়ে হাজির হন স্বামী স্ত্রী। ডাক্তারের কাছে সমস্ত সমস্যার কথা খুলে বলেন।
তাদের কথা শুনে রীতিমত অবাক ডাক্তার।বছর খানেকের বিবাহিত দম্পতি জানতেনই না সন্তান হওয়ার জন্য যৌণ মিলনের প্রয়োজন! সেই গল্পে তিনি জানান এক দম্পতি বিবাহের দীর্ঘদিন পরেও বাচ্চা না হওয়ায় রীতিমত হতাশ হয়ে পড়েছিলেন। অবশেষে উপায় জানার জন্য জেনারেল ফিজিশিয়নের কাছেই যান তারা।
ডাক্তার তাদের সাথে কথা বলে জানতে পারেন যে সন্তান হওয়ার প্রক্রিয়া সম্পর্কে কোনোকিছুই জানেন না দম্পতি, কিভাবে শিশুর জন্ম হয় তাও জানেননা তারা। সেই ডাক্তারই নার্স হিয়ারসনকে ডেকে পাঠান এবং তার কাঁধে দায়িত্ব পড়ে সন্তান জন্মানোর সম্পূর্ণ বিষয়টি সেই দম্পতিকে বোঝানোর। এই বিষয়টি যথেষ্ট অস্বস্তিকর ছিল তার কাছেও, কিন্তু আর উপায় কি?
অগত্যা তিনি সেই দম্পতির সাথে যৌনতা নিয়ে খোলাখুলি ভাবে সব কথা বলে তাদের বিস্তারিত ভাবে বিষয়টি বোঝান। যৌনতার মাধ্যমে শিশু ভ্রূণের জন্ম এবং তার বিকাশ, এক কথায় প্রসবের সম্পূর্ণ বিজ্ঞান তাদের কাছে ব্যাখ্যা করেন তিনি। এবার স্বাভাবিক ভাবেই মানুষের মনে প্রশ্ন আসবে সেই দম্পতি তার আগে পর্যন্ত কি জানতেন?
Happy Publication Day to Rachael Hearson!
"It's a thought-provoking and extremely relevant read." @NetGalley review.
Order your copy of Handle With Care: https://t.co/HjxaQ1u3r2 #nonfiction #NHS #Healthvisitor pic.twitter.com/drR4PEzO2o
— Mirror Books (@TheMirrorBooks) June 11, 2020
এর উত্তরে তিনি জানিয়েছেন যে দম্পতির ধারণা ছিল বিয়ের পর একসাথে থাকা শুরু করলেই নিজের থেকে গর্ভে সন্তান আসে এবং মা বাবা হওয়ার জন্য কেবল একসঙ্গে থাকাটাই প্রয়োজন। তবে এটি তার বইতে উল্লেখিত একটি মাত্র ঘটনা নয়, এরকমই আরও অনেক মজার, সুখ দুঃখের অভিজ্ঞতা দিয়ে এই বইয়ের পাতা ভরিয়েছেন তিনি।কিভাবে সব সমস্যার গভীরে গিয়ে নিজের অস্বস্তি কাটিয়ে মানুষকে বুঝেছেন এবং বুঝিয়েছেন সেই সব কথাই আছে তার এই বইতে।