দিন কয়েক আগেই বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল বীরভূমের ময়ূরেশ্বরের ২ নং ব্লকের কোটাসুরে তৃণমূলের একটি সভা থেকে রেশন ডিলারদের হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, “সপ্তাহে চারদিন রেশন দোকান খোলা রাখতে হবে, এই সপ্তাহে কোন গ্রাহক মাল নিতে না পারলে পরের সপ্তাহে তাকে মাল দিতে হবে। না হলে সেই রেশন ডিলারের বিরুদ্ধে থানায় এফআইআর করা হবে, জেলে ঢোকানো হবে।” এই হুঁশিয়ারির পর নানান প্রশ্ন উঠতে থাকে রাজনৈতিক মহলে। কেউ এই হুঁশিয়ারির পিছনে ভালো দেখতে পান, কেউ কেউ আবার সমালোচনা শুরু করেন।
তবে বৃহস্পতিবার পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের খাদ্য দপ্তরের মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক জানান, প্রতি সপ্তাহে রেশনের চাল, গম ও চিনি কেনা যাবে না। এবার মাসে একদিন বিক্রি হবে রেশনের জিনিসপত্র। গ্রাহকদের গোটা মাসের রেশন পণ্য কিনে নিতে হবে ওই দিনই। দীর্ঘদিনের রেশন ব্যবস্থার নিয়মে পরিবর্তন ঘটতে চলেছে। বৃহস্পতিবার বর্ধমানের প্রশাসনিক বৈঠকে যোগ দিয়ে এমন কথা জানান রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক।
রেশন নিয়মে পরিবর্তন করা হচ্ছে গ্রাহকদের সুবিধার জন্য ও খাটনি কমানোর জন্য বলে জানান খাদ্যমন্ত্রী। এই সংক্রান্ত নোটিফিকেশন খুব শীঘ্রই জারি হবে বলেও তিনি জানান। এছাড়াও খাদ্য দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, সপ্তাহের যেকোনো দিন রেশন দোকানে গেলে জিনিস পাওয়া যাবে না। গ্রাহকদের জন্য নির্দিষ্ট করে দিন ঠিক করে দেওয়া হবে। সেদিন গিয়েই তুলতে হবে চাল, গম ও চিনি।
পাশাপাশি সূত্রের খবর, আগামী এপ্রিল মাস থেকে চালু হতে পারে আঙ্গুলের ছাপ দিয়ে রেশন তোলার নিয়ম। কোন গ্রাহক যেন রেশন ব্যবস্থা থেকে বঞ্চিত না হন, পাশাপাশি দুর্নীতি না হয় সে কারণে এই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এই স্বচ্ছ ব্যবস্থা আনার জন্য রাজ্য সরকারের উদ্যোগে ডিজিটাল রেশন কার্ডের আধার সংযুক্তিকরণ প্রক্রিয়া এখনো চলছে। যে প্রক্রিয়া শেষ হবে আগামী ১৫ ই ফেব্রুয়ারি। খাদ্য দপ্তর আশা করছে এই সময়ের মধ্যে সমস্ত রেশন গ্রাহকদের আধার সংযুক্তিকরণ সম্পন্ন হয়ে যাবে।