বাংলা সিরিয়ালের নায়িকা হওয়া সহজ, টিকে থাকা কঠিন, মুখ খুললেন এই জনপ্রিয় নায়িকা

কালার্স বাংলার (Colours Bangla) ‘মনসা’ (Manasa) ধারাবাহিকের মনসা হিসেবে তাকে আজও মনে রেখেছেন দর্শকরা। ‘বেনে বউ’, ‘কাছে আয় সই’তেও নায়িকার ভূমিকায় দেখা গিয়েছিল তাকে। কিন্তু তারপর থেকে এই যেন কোথাও একটা হারিয়ে যাচ্ছেন অভিনেত্রী চাঁদনী সাহা (Chadni Saha)। ইন্ডাস্ট্রিতে নিজেকে টিকিয়ে রাখার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছেন তিনি। তা সে হোক না পার্শ্বচরিত্র, নায়িকা না হলেও অভিনয়ের সঙ্গে সংযোগ তার ছিন্ন হয়নি।

‘যমুনা ঢাকি’ ধারাবাহিকে নায়িকার ননদ গীতের চরিত্রে শেষবার তাকে অভিনয় করতে দেখা গিয়েছিল পর্দায়। তবে অভিনয় থেকে কিন্তু বিরতি নেননি তিনি। নিজেকে ইন্ডাস্ট্রিতে টিকিয়ে রাখার জন্য চাঁদনী আবারও নতুন ধারাবাহিকে পার্শ্বচরিত্রে অভিনয় করতেই রাজি হয়েছেন। ইন্ডাস্ট্রিতে তার প্রবেশটা নায়িকা হিসেবেই হয়েছিল।

২০১২ সালে ‘বিন্দি’ ধারাবাহিকে নায়িকার চরিত্রের পর পরপর কয়েকটি ধারাবাহিকের নায়িকার ভূমিকা পেলেও এখন আর তেমন কোন প্রস্তাব তিনি পান না। আসলে অভিনেত্রী বেশ বুঝে নিয়েছেন যে নায়িকা হওয়াটা যতটা সহজ, ইন্ডাস্ট্রিতে টিকে থাকাটা তার থেকে বেশ কঠিন। আবার এখন শুধুই নিজেকে নায়িকা হিসেবে আটকে রাখতে চান না চাঁদনী। ছোটপর্দাতে আলাদা আলাদা চরিত্র নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে তিনি পছন্দ করেন।

স্টার জলসার আসন্ন ধারাবাহিক ‘মাধবীলতা’তে তাকে নায়িকার দিদির ভূমিকায় দেখা যাবে। তার অভিনীত চরিত্রটির নাম হবে ‘মালতী’। সম্প্রতি আনন্দবাজারের কাছে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে চাঁদনী সরাসরি বলেছেন, “আমার মনে হয় টিকে থাকাটাই সবচেয়ে কঠিন। এখন যেমন নতুনরা নায়িকা হয়, সে দিক থেকে দেখলে নায়িকা হওয়া সহজ। কিন্তু পরপর কাজ পাওয়া কঠিন। একটা ধারাবাহিকে মুখ্য চরিত্র পেয়ে গিয়ে হাওয়ায় ভাসলে মুশকিল। ২০২২-এ দাঁড়িয়ে নায়ক-নায়িকা হওয়ার ভাবনাটাই খুব বোকা বোকা।”

তিনি আরও বলেন, “সত্যিই আমি ‘লিড’-এর সুযোগ পাইনি। ‘যমুনা ঢাকি’র পরে মুখ্য চরিত্রে অভিনয়ের ডাক আর আসেনি। কিন্তু তাতে আমার কোনও আক্ষেপ নেই। এই সময়ে দাঁড়িয়ে যে চরিত্রগুলো পাচ্ছি, সেগুলো আমার কাছে মূল্যবান।”