দিনে দিনে বাড়ছে কোরোনা ভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা। যেহেতু এই ভাইরাসের এখনও কোনো প্রতিষেধক নেই সেইজন্য মাস্ক ব্যাবহারের দিকেই বেশী জোর দিচ্ছেন গবেষক ও চিকিৎসক মহল। সম্প্রতি উঠে এল এক নতুন তথ্য যেখানে বিজ্ঞানীরা দাবি কোরোনা ভাইরাস একটি বায়ুবাহিত রোগ।
এর আগে আমরা জানতাম করোনা ভাইরাস একজনের থেকে অন্য জনের মধ্যে স্পর্শের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। কিন্তু শুধু স্পর্শের মাধ্যমে নয়, জানা যাচ্ছে বাতাসের মাধ্যমেও ছড়িয়ে পড়ছে প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস। ইতিমধ্যেই ২৩৯ জন বিজ্ঞানী এই বিষয়ে চিঠি পাঠিয়েছে হ্ন কে।
এমনিতেই কোরোনা পরিস্থিতি নিয়ে আশঙ্কায় ছিলেন বিশ্ববাসী। এই নতুন তথ্য রীতিমত আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। মানুষের মনে প্রশ্ন উটছে তাহলে কি যেকোনো মাস্কের সাহায্যেই কি রুখে দেওয়া যাবে করোনা ভাইরাস নাকি তার জন্য প্রয়োজন হবে বিশেষ মাস্ক?
এই বিষয় নিয়েই সম্প্রতি গবেষণা করছিলেন ফ্লোরিডা আটলান্টিক ইউনিভার্সিটির গবেষকরা। তারা বোঝার চেষ্টা করছিলেন যে কিরকম মাস্ক ব্যাবহার করে এই ভাইরাসকে প্রতিরোধ করা সম্ভব। প্রথমে তারা ম্যানিকুইনের ওপর পরীক্ষা করেন যেখানে হাঁচি ও কাশির মাধ্যমে গবেষকরা পর্যবেক্ষন করেন যে কিভাবে এই ভাইরাস বাতাসের মধ্যে ছড়িয়ে পড়তে পারে। উন্নত মানের লেসার ব্যবহার করে এই পরীক্ষা করা হয়।
রিপোর্টে কি জানা গেল?
এই পরীক্ষা থেকে যে রিপোর্ট পাওয়া যায় তা ফিজিক্স অফ ফ্লুয়িড জার্নালে প্রকাশ করা হয়। দেখে নেওয়া যাক রিপোর্ট থেকে কোন কোন বিষয় সামনে এসেছে।
১. আলগা করে রুমাল ভাজ করে যে ফেস মাস্ক বানানো হচ্ছে বা ব্যান্ডেনা স্টাইলের যে মাস্ক ব্যবহার করা হচ্ছে তাতে কোরোনা ভাইরাসকে আটকানো সম্ভব হচ্ছে।
২. সুতির একাধিক লেয়ার বিশিষ্ট যে মাস্ক গুলি বাড়িতেই তৈরি করা যাচ্ছে সেগুলিও এই অবস্থা প্রতিরোধে সক্ষম।
৩. বিভিন্ন দোকানে যে তিন লেয়ার বিশিষ্ট মাস্ক পাওয়া যাচ্ছে সেগুলিও হাঁচি বা কাশির সময় ভাইরাস ছড়িয়ে পড়া প্রতিরোধ করতে সক্ষম।
৪. মাস্কে কোনরকম ছিদ্র বা ফুটো থাকলে সেখান থেকে ছড়িয়ে পড়তে পারে সংক্রমণ।
৫. মাস্ক বা ফেস কভার ছাড়া হাঁচি, কাশি বা কারুর সাথে কথা বললে ৬ ফিট দূরত্ব পর্যন্ত এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার ক্ষমতা রাখে।
সুতরাং বোঝাই যাচ্ছে কোরোনা ভাইরাস প্রতিরোধে মাস্কের ভূমিকা কতটা। শুধুমাত্র মাস্ক ব্যবহার করেই বাতাসে ভাসমান কোরোনা ভাইরাসকে প্রতিরোধ করা সম্ভব হয়, তবে তার সাথে ব্যাক্তিগত পরিচ্ছন্নতার দিকটি বিশেষ ভাবে খেয়াল রাখা প্রয়োজন।