মিস্টার অ্যাঙ্গাস ডেনন কর্মসূত্রে এসেছিলেন কলকাতায়। আর কলকাতায় এসে ঝাল মুড়ি খেয়ে প্রেমে পড়ে যান মসলা মুড়ির টক-ঝাল স্বাদে। সেই প্রেম এতটাই গভীর ছিল যে, সমস্ত কিছু ছেড়ে ছুড়ে ইংল্যান্ডের রাস্তায় ঝাল মুড়ি বেচার পেশাকেই বেছে নেন তিনি।
এক সময় তিনি লন্ডনের কভেন্ট গার্ডেনের নামজাদা হোটেলের শেফ ছিলেন। বড় হোটেলের রাধুনী হয়ে দেশ-বিদেশের নানান রকম পদ বানাতেন। কিন্তু কলকাতার ঝাল মুড়ি বদলে দিয়েছে তার জীবন।
https://www.instagram.com/p/Bnf6qPAgi-t/
কোন পাকাপোক্ত দোকান ছাড়াই কলকাতার স্টাইলে টিনের রেকাবে বিভিন্ন খোপে মুড়ি, চানাচুর, ছোলা, কড়াই, বাদাম, মশলা, তেল রেখে কাটা কাগজের ঠোঙায় ঝাল মুড়ি বিক্রি করে সুপারহিট সে। এমনকি লন্ডলের একটি রান্নার রিয়েলিটি শোতেও সুপারহিট তাঁর ঝালমুড়ি। এমনি তিনি তার এই ভ্রাম্যমান ঝালমুড়ির দোকানের নাম দিয়েছেন রোমাঞ্চকর, ‘দ্য এভরি বডি লাভ লাভ ঝালমুড়ি এক্সপ্রেস’।
आेव्हल मैदानावर भेळेची गाडी 😬🤗👌 pic.twitter.com/HoZlDXMInS
— Sunandan Lele (@sunandanlele) June 10, 2019
শুধু নামেই নয়, তার ঝাল মুড়ি বিক্রিতেও রয়েছে যথেষ্ট স্টাইল। তিনি কখন, কোথায় এই ঝালমুড়ি এক্সপ্রেস নিয়ে থাকবেন তা আগাম জানিয়ে দেন তার ট্যুইটার অ্যাকাউন্টে। সেইমতো এবার ক্রিকেট বিশ্বকাপের ভারত অস্ট্রেলিয়া ম্যাচের সময় দর্শকের আলাদা উন্মাদনা তার ঝালমুড়ি এক্সপ্রেস রয়েছে ওভাল স্টেডিয়ামের পাশে।
https://www.instagram.com/p/BOwWQTpjDxV/
সেখানেই তার এক ঠোঙ্গা ঝালমুড়ি বিকোয় ১০ পাউন্ড, যা ভারতীয় মুদ্রায় ৯০০ টাকায়। কিন্তু তাতে কি! সেই ঝালমুড়ি খাওয়ার জন্য রীতিমত লোকের লাইন পড়ে যায়। মিস্টার অ্যাঙ্গাস খরিদ্দার সামলাতেই হিমশিম খেয়ে যাচ্ছিলেন, হাসিমুখে একের পর এক খরিদ্দার নিয়েও যাচ্ছিল তা। বিশ্বকাপের ম্যাচ দেখতে আসা দর্শকদের কাছে আলাদা আকর্ষণ এই ঝালমুড়ি এক্সপ্রেস। ভারত অস্ট্রেলিয়া ম্যাচের সময় এই ঝালমুড়ি এক্সপ্রেস আলাদা আকর্ষণ হয়ে ওঠে ওভালের বাইরে।