মূত্র দিয়ে রূপচর্চা, যৌবন ধরে রাখতে নিজের মূত্র পান করেন এই তরুণ

যৌবন ধরে রাখতে ও অবসাদ কমাতে মূত্র পান, ব্রিটেনের যুবকের কীর্তি জেনে অবাক নেটিজেনরা

প্রতিদিন সকালে শরীরকে ডিটক্স করতে অনেকেই লেবু-মধু সহযোগে উষ্ণ জল পান করে। তবে ব্রিটেনের এই যুবকের দিন শুরু হয় সকালে উঠে ২০০ মিলিমিটার মূত্র (Urine) পান করে অবাক হচ্ছেন? ব্রিটেনের হ্যারি মাটাডিনের কীর্তি কার্যত অবাক করেছে গোটা বিশ্বকে। ভারতে অবশ্য গোমূত্র খাওয়ার চল আছে, তবে ব্রিটেনের এই যুবক নিজের মূত্র পান করেন।

ওই যুবকের দাবী তার এই মূত্র পানের অভ্যাসই নাকি তার মানসিক অবসাদ কমিয়েছে। শুধু তাই নয়, এই মূত্র দিয়ে রোজ মুখ ধুয়ে নিলে নাকি বয়সের ছাপ পড়ে না চেহারায়! এই বিশ্বাসের বশেই তিনি রোজ সকালে উঠে মূত্র পান এবং মূত্র দিয়ে রূপচর্চা করার অভ্যাস গড়ে তুলেছেন।

অবশ্য চিকিৎসকদের একটা বড় অংশ মনে করেন ইউরিন থেরাপির বাস্তবে কোনও উপকারিতা যে সত্যিই রয়েছে তার প্রমাণ নেই। প্রাচীন মিশরে মূত্রের ব্যবহারের রোগ সারানোর চল ছিল। তবে চিকিৎসকরা মনে করেন মূত্র পান করলে শরীরে অনেক ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া প্রবেশ করবে। তাই এই অভ্যাস এড়িয়ে চলাই ভালো।

বয়স তার ৩৪ বছর। তিনি ভেগান, মাছ, মাংস, ডিম, দুধ, পনির ইত্যাদি প্রাণিজ কোনও খাবারই তার পাতে ওঠে না। তিনি এক মাস একটি পাত্রে নিজের মূত্র জমিয়ে রাখেন। তারপর সকালে ঘুম থেকে উঠেই সেই মূত্র পান করে ফেলেন। মূত্র পানের এই উপকারিতা তিনি পড়ে জেনেছিলেন। তারপর থেকেই চলছে এই ‘ইউরিন থেরাপি’!

যদিও হ্যারি অবশ্য তেমনটা মনে করেন না। মূত্রপান করেই মানসিকভাবে এবং শারীরিকভাবে আরামে আছেন তিনি। তার কথায়, ‘‘আমি ভাবতেও পারিনি এতটা উপকার পাব নিজের মূত্র পান করে। যখন থেকে এই থেরাপি করছি, তখন থেকে আমার সব অবসাদ একেবারে উধাও হয়েছে। রোজ তা দিয়ে মুখ ধোয়ার ফলে আমাকে বয়সের চেয়ে প্রায় বছর দশেক ছোট দেখায় এখন।’’

হ্যারির এই অভ্যাসের কারণে তার আত্মীয়-স্বজন এমনকি নিজের বোন পর্যন্ত তার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছেন। তবে তাতে বিচলিত নন হ্যারি। তিনি দাবি করেন নিয়মিত মূত্র পান করলে নাকি অ্যালঝাইমার্স, ডিমেনশিয়া থেকে হার্টের অসুখ কমে যায়। তার কথায়, ‘‘এখন আমি নিজের বন্ধুদের বেছে নিই। আমার সকল বন্ধু হয় ইউরিন থেরাপি চালান। না হলেও তাতে বিশ্বাস রাখেন।’’