বর্তমান সময়ে লাভ ম্যারেজের সংখ্যা অ্যারেঞ্জড ম্যারেজের তুলনায় অনেক বেশি। আধুনিক চিন্তাভাবনা, প্রগতিশীল মানসিকতার জন্যই একজন মানুষ তার জীবন সঙ্গীকে নিজেই পছন্দ করে নিতে চান। যেকারণে পরিবারের পছন্দ করা পাত্র অথবা পাত্রীকে বিয়ে করার চল এখন প্রায় কমে গেছে বললেই চলে। আর কথা যদি হয় সেলিব্রেটিদের কথা, তাহলে তো কথাই নেই। কারণ রুপোলি পর্দার তারকারা সব সময় আম আদমির জীবনের থেকে দু কদম এগিয়ে থাকেন। রিল লাইফে প্রেমের অভিনয় করতে করতে তারকারা অনেক সময় রিয়েল লাইফেও জুটি বেঁধে ফেলেন।
সেলিব্রিটিদের পর্দার প্রেম অধিকাংশ সময়েই গড়িয়ে যায় বাস্তবের ছাদনাতলা অবধি। তবে সবক্ষেত্রে যে সকল সেলিব্রিটিরা লাভ ম্যারেজ করেন এমনটা কিন্তু নয়। লাভ ম্যারেজের ভিড়েও খুঁজে দেখলে এমন অনেক সেলিব্রিটিদেরকে পাওয়া যাবে পর্দাতে প্রেম করলেও বাস্তবে তারা প্রেম করে উঠতে পারেননি। তাই রীতিমতো সমন্ধ দেখে পাত্র ও পাত্রী খুঁজে বিয়ে করেছেন পরিবারের মতে দেখেশুনেই। সিনেমার পর্দায় অনেক কসরত করে অনেক চেষ্টা করে হিরোইনের মনজয় করলেও বাস্তব জীবনে অনেক তারকাই প্রেমের পথে হাঁটেননি। বরং পর্দার অভিনীত চরিত্রের ঠিক উল্টো পথে হেঁটে দেখেশুনে পরিবারের মত নিয়ে অ্যারেঞ্জ ম্যারেজ করেছেন তারা।
বি টাউনে রিয়েল প্রেমের জুটি দেখতে দেখতে অ্যারেঞ্জ ম্যারেজ করেছেন যে সকল সেলবরা তাদের কথা হয়তো আমরা ভুলেই যাই। তবু খুঁজে দেখলে এমন অনেক বিখ্যাত তারকার নামই চোখে ভাসবে। জানেন কী দেখেশুনে অ্যারেঞ্জ ম্যারেজ করেছিলেন কোন কোন সেলিব্রেটি? চলুন দেখে নিই এক নজরে
মাধুরী দীক্ষিত : বলিউডের ‘ধক ধক’ গার্ল মাধুরি দীক্ষিত ১৯৯৯ সালে বিয়ে করেছিলেন চিকিৎসক শ্রীরাম নেনেকে। বিয়ের পর বলিউডকে টাটা বাইবাই করে মার্কিন মুলুকে গিয়ে ঘর বেঁধেছিলেন তিনি। দীর্ঘ কয়েক বছর পর ২০০৭ সালে ‘আজা নাচলে’ ছবির মধ্য দিয়ে আবার বলিউডে ফিরে আসেন মাধুরী।
বিবেক ওবেরয় : ঐশ্বর্য রায়ের সঙ্গে ব্রেকআপের পর বিবেক আর প্রেমের পথে হাঁটেন নি। বিবেকের মা তার পছন্দ করা পাত্রী প্রিয়াঙ্কার সাথে আলাপ করিয়ে দিয়েছিলেন ছেলের। প্রথম দিনের সাক্ষাৎকারে মাত্র কুড়ি মিনিট কথা বলেছিলেন বিবেক ও প্রিয়াঙ্কার। এরপর ২০১০ সালে বিয়ে করেন তারা। বর্তমানে তাদের দুই সন্তানও রয়েছে।
শাহিদ কপূর : করিনার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার পর আর প্রেম ভালোবাসার পথে না ছুটে পরিবারের পছন্দ মতোই বিয়ে করেছিলেন শাহিদ।২০১৫ সালে পরিবারের পছন্দ অনুযায়ী মীরা রাজপুতকে বিয়ে করেন তিনি। উল্লেখ্য, এই বিয়ে একেবারে গোপনে হয়েছিল।
নীল নীতীন মুকেশ : বলিউডের এই অভিনেতা উদয়পুরে ডেস্টিনেশন ওয়েডিং এর কথা বলে ফ্যানদের চমকে দিয়েছিলেন। ২০১৬ তে রোকার পরে বড়োসড়ো আয়োজন করে বিয়ে করেছিলেন নীল ও রুক্মিণী।
শাম্মি কপূর : প্রয়াত প্রবীণ অভিনেতা শাম্মি কপূর তার প্রথম স্ত্রীর মৃত্যুর পর দ্বিতীয়বার বিয়ে করেছিলেন পারিবারিক পছন্দ অনুযায়ী। প্রয়াত অভিনেতার প্রথম স্ত্রী ছিলেন গীতা বালি, তিনি দ্বিতীয় বার বিয়ে করেছিলেন নীলা দেবীকে।
একটি সাক্ষাৎকারে নীলা দেবী বলেছিলেন যে,৯ বছর বয়সে প্রথম অভিনেতা শাম্মিকে দেখেছিলেন তিনি। পরে রাজ কপূরের স্ত্রীর মারফত শাম্মির সাথে আলাপ হয়ে তার এবং এরপর বিয়ে করেছিলেন তারা।
রাজ কপূর : ভারতীয় সিনেমার চ্যাপলিন অর্থাৎ রাজ কপূরও অ্যারেঞ্জড ম্যারেজ করেছিলেন। বাবা পৃথ্বীরাজ কপূরের কথা ও পছন্দ অনুযায়ী রাজ কপূর কৃষ্ণা মালহোত্রকে বিয়ে করেছিলেন।