শুটিংয়ের আড়ালে দেহব্যবসা! কুকীর্তি করতে গিয়ে হাতে নাতে ধরা পড়েছেন এই অভিনেত্রীরা

বলিউডের (Bollywood) রঙিন দুনিয়ায় চাকচিক্যের আড়ালে আগাছার মত গজিয়ে উঠেছে মধুচক্রের আসর। মাঝেমধ্যেই পুলিশের জালে জড়িয়ে নাম ডোবে নামিদামি তারকাদের। তারকাদের কীর্তিকলাপে বলিউডের নামে ধিক্কার ওঠে নেট পাড়ায়। বিখ্যাত বলুন বা কুখ্যাত, বলিউডে এমন অনেক অভিনেত্রী রয়েছেন যাদের বিরুদ্ধে মধুচক্রের (Sex Racket) সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে। এমনকি এদের মধ্যে বেশ কয়েকজন হাতেনাতে ধরাও করেছেন পুলিশের কাছে। জেনে নিন ছবি দুনিয়ায় সেই সমস্ত কুখ্যাত অভিনেত্রীদের নাম।

শ্বেতা প্রসাদ বসু (Shweta Basu Prasad) : বলিউডের এই অভিনেত্রী একজন জনপ্রিয় টেলিভিশন তারকা। তবে পরবর্তী দিনে তিনি নাকি বেশ্যাবৃত্তিকে পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন। ২০১৪ সালে মধুচক্রের সঙ্গে যুক্ত থাকার দায়ে হায়দ্রাবাদ পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। পরে অবশ্য হায়দ্রাবাদের সেশন কোর্টে মামলা উঠলে তাকে নির্দোষ ঘোষণা করা হয়।

শার্লিন চোপড়া (Sharlyn Chopra) : বলিউডের উঠতি হট মডেল-অভিনেত্রী শার্লিনের সোশ্যাল মিডিয়াতে ফ্যান ফলোয়ার্স অনেক। এই সুন্দরীর বিরুদ্ধেও টাকার বিনিময়ে যৌনতার অভিযোগ উঠেছিল। ‘কামসূত্র’ অভিনেত্রী নিজের মুখেই এই কথা স্বীকার করেন।

মিশতি মুখোপাধ্যায় (Mishti Mukhopadhyay) : ‘লাইফ কি তো লাগ গেয়ি’ ছবির অভিনেত্রীর বিরুদ্ধেও সেক্স র‌্যাকেট চালানোর অভিযোগ উঠেছিল। পুলিশ একবার অভিযোগ পেয়ে তার লোখান্ডওয়ালার ফ্ল্যাটে হানা দেয়। সেখান থেকে ২ লক্ষ টাকা মূল্যের ২৫ হাজার পর্নোগ্রাফি সিডি উদ্ধার করে পুলিশ।

আইশ আনসারী (Aish Ansari) : তামিল ইন্ডাস্ট্রির এই অভিনেত্রীর বিরুদ্ধেও পতিতাবৃত্তির অভিযোগ ওঠে। ২০১১ সালে জয়পুর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

সায়রা বানু (Saira Banu) : ইনি তেলেগু ইন্ডাস্ট্রির নামী অভিনেত্রী। তবে ২০১০ সালে যৌনপেশায় কয়েকজন ক্লায়েন্টের সঙ্গে হাতেনাতে ধরা পড়ে তার নাম ডোবে। হায়দ্রাবাদের একটি অ্যাপার্টমেন্টে ৭ জন মহিলাসহ ধরা পড়েছিলেন সায়রা বানু।

ভুবনেশ্বরী (Bhuvaneshwari) : চেন্নাইয়ের একটি সেক্স র‌্যাকেটের সঙ্গে জড়িত ছিলেন এই দক্ষিণী সুন্দরী। আপত্তিকর অবস্থায় ধরাও পড়েছিলেন পুলিশের হাতে।

নিতু আগরওয়াল (Neetu Agarwal) : তেলেগু অভিনেত্রী নিতু আগারওয়ালও মধুচক্র চলাকালীন অন্ধপ্রদেশ পুলিশের কাছে হাতেনাতে ধরা পড়েছিলেন।

ক্যারোলিন মারিয়া আসান (Karroline Maria Assan) : তামিল অভিনেত্রী ক্যারোলিন মারিয়া আসানের বিরুদ্ধেও একই অভিযোগ ওঠে। ২০১২ সালে একটি পাঁচতারা হোটেল থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।