
নেপোটিজম (Nepotism) বিতর্কে মাঝেমধ্যেই উত্তাল হয়ে ওঠে বলিউড (Bollywood)। বলিউডের উঠতি তারকাদের মধ্যে কারও যোগাযোগ সেলিব্রিটি তারকার সঙ্গে থাকলেই আর রক্ষে নেই। তবে বলিউডে নেপোটিজম শেষমেষ টিকতে পারে না। তাই সেলিব্রিটি আত্মীয়ের সাহায্য নিয়ে বলিউডে প্রবেশ করলেও একসময় ঠিকই দর্শক ফিরিয়ে দেন সেই নেপোকিডদের। এমনই একজন তারকা হলেন ইমরান খান (Imran Khan)। সম্পর্কে তিনি আমির খানের (Aamir Khan) ভাগ্নে। যদিও ইমরান খানের ফ্যানবেস কিন্তু বেশ শক্তিশালী। স্বজনপোষণের প্রয়োজন ছিল না তার। তবুও বলিউড থেকে আজ দূরে সরে গিয়েছেন ইমরান।
বলিউডের সঙ্গে তার যোগাযোগ একদম ছোট বয়স থেকেই। তার কেরিয়ার শুরু হয়েছিল মামা আমির খানের প্রথম ছবি ‘কয়ামত সে কয়ামত তক’ ছবিতে শিশুশিল্পী হিসেবে। আমিরের ছোটবেলার চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন তিনি। ইমরান খানের আসল নাম ইমরান পল। খুব ছোট বয়সেই তার বাবা-মায়ের বিচ্ছেদ হয়ে যায়। তাই তিনি বাবার পদবী মুছে ফেলে মায়ের পদবী নিয়েই বড় হয়েছেন। আদতে কিন্তু তিনি ভারতীয় নাগরিক নন। তিনি মার্কিন নাগরিক।
ইমরান খান ওয়ার্ক পারমিট নিয়ে অর্থাৎ কর্মসূত্রে ভারতে থাকার অনুমতি পত্র ব্যবহার করে ভারতে থাকছেন। খুব ছোট থেকেই তিনি অভিনয় করছেন। ‘কয়ামত সে কয়ামত তক’ ছাড়াও ‘যো জিতা ওয়াহি সিকান্দর’ ছবিতে শিশুশিল্পী হিসেবে তিনি অভিনয় করেন। ইমরান একজন নামী পরিবারের সন্তান। তবে ছোটবেলাতে তিনি উটির একটি অখ্যাত স্কুলে পড়াশোনা করেছেন। পরে তিনি নিউইর্য়ক ফিল্ম একাডেমি থেকে নির্দেশনা এবং সিনেমাটোগ্রাফি ও চিত্রনাট্য লেখার বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করেন।
পড়াশোনা শেষ করে তিনি কয়েক বছর বিজ্ঞাপনী এবং জনসংযোগ সংস্থাতে কাজ করেন। তারপর বলিউডে পা রাখেন। ‘জানে তু ইয়া জানে না’, ‘মাতরু কি বিজলী কা মান্ডোলা’, ‘ডেলহি বেলি’র মতো একের পর এক হিট ছবি তিনি উপহার দিয়েছেন। শুধু অভিনয় নয়, ইমরান খান মামা আমিরের মত গানও গেয়েছেন নিজের ছবিতে। ‘মাতরু কি বিজলী কা মান্ডোলা’ ছবিতে ‘চার দিন কি’ গানটি তারই গাওয়া। তবে সেই গান জনপ্রিয়তা পায়নি। বর্তমানে অভিনয় থেকে দূরে তিনি সমাজসেবার কাজ নিয়ে ব্যস্ত রয়েছেন।
মাত্র ১৯ বছর বয়সে অবন্তিকা মালিকের প্রেমে পড়েন তিনি। অবন্তিকা আজ তার স্ত্রী। ২০১১ সালে তাদের বিয়ে হয়। অবন্তিকা দেশের প্রথম সারির একটি সংবাদমাধ্যমের সিইও বন্দনা মালিকের মেয়ে। ২০১৩ সালে ইমরানের স্ত্রী অবন্তিকা, মা নুজহাত খান এবং ইমরান তিনজনে মিলে চার একর জমি কেনেন। তিনি চেয়েছিলেন সেখানে একটি পশুশালা তৈরি করা হবে যেখানে অনার গবাদিপশুরা আশ্রয় পাবে। সেখানে থাকবেন পশু চিকিৎসকরা। পশুরা প্রয়োজনে সঠিক চিকিৎসা পাবে।