একুশের মহারণে মুখোমুখি সম্মুখ সমরে দাঁড়িয়ে বিজেপি এবং তৃণমূল। একদিকে বিজেপি একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে বাংলা দখলের স্বপ্ন দেখছে। অপরপক্ষে বিজেপির আক্রমণ প্রতিহত করে বাংলার মসনদ ধরে রাখার মরিয়া প্রচেষ্টা চালাচ্ছে তৃণমূল। বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব থেকে আরম্ভ করে বঙ্গ বিজেপি সদস্যদের প্রকাশ্য দাবি, একুশের লড়াইয়ে ব্যাপক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে গেরুয়া শিবির। কিন্তু আদেও কি তারা সেই কথাই বিশ্বাস করেন?
বাংলার মানুষ কি এই দফায় ঘাসফুলের বদলে পদ্মফুল বেছে নেবেন? কি ভাবছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বরা? এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে বিজেপির ৬ জন কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব একুশের বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফলের একটি সম্ভাব্য খসড়া প্রস্তুত করেছেন। সেখানে বাংলার সকল কেন্দ্রকে এ,বি,সি; এই তিনটি ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হয়েছে।
ক্যাটাগরি-এ তে রয়েছে সেই সকল কেন্দ্র যে কেন্দ্রগুলিতে জয় সম্পর্কে সম্পূর্ণ নিশ্চিত কেন্দ্রীয় শাসক দল। একুশের মহাযুদ্ধের হাইভোল্টেজ কেন্দ্র নন্দীগ্রামকেও বিজেপি রাখছে এই ক্যাটাগরিতে। তবে রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন, বিজেপি মুখে যাই বলুক না কেন, মমতা ব্যানার্জি এবং শুভেন্দু অধিকারীর লড়াই এখানে সমানে-সমানেই চলবে।
নন্দীগ্রাম, টালিগঞ্জ ছাড়াও ওন্দা, বিষ্ণুপুর, আসানসোল (দক্ষিণ), পারা, জয়পুর, শিবপুর, খেজুরি, মেদিনীপুর, হাওড়া উত্তর-এর মতো আসন গুলি বিজেপির তালিকায় এ-ক্যাটাগরিতে রয়েছে।
বি-ক্যাটাগরিতে রয়েছি সেই সকল আসন যেখানে তৃণমূলের সঙ্গে বিজেপির লড়াই সমানে-সমানে চলবে বলে মনে করছে গেরুয়া শিবির। তারকেশ্বর, ময়না, সিতাই, রায়পুর, কোতুলপুর, ইন্দাস, গলসি, কাটোয়া, মেমারি ইত্যাদির আসনের মতো রাজ্যের সব হেভিওয়েট কেন্দ্র রয়েছে এই তালিকায়।
এবং সব শেষে রয়েছে সি-ক্যাটাগরি। রাজ্যের যে আসনগুলিতে জেতা কঠিন হবে বলে মনে করছে বিজেপি, সেই আসনগুলিই রয়েছে এই তালিকায়। যেমন, স্বরূপনগর, বরানগর, বাসন্তী, জগতবল্লভপুর, খন্ডঘোষ, মুরারই, নালগোটি, মানবাজারের মত কেন্দ্রগুলি। প্রসঙ্গত দক্ষিণবঙ্গের এই কেন্দ্রগুলি কার্যত রাজনৈতিক মহলে তৃণমূলের দুর্ভেদ্য দুর্গ হিসেবেই পরিচিতি পেয়েছে।