
করোনা পরিস্থিতি সামাল দিতে সারা দেশে চলছে লকডাউন। চলবে ৩ মে পর্যন্ত। কিন্তু, লকডাউনের প্রথম দিন থেকেই বহু মানুষ নির্দেশিকা মানছেন না। লকডাউন ভেঙে বাজার করার বা ওষুক কেনার অজুহাতে বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়ছেন। পুলিশ ও প্রশাসনের তরফে বার বার সচেতন করা হলেও জেলা জুড়ে ছবিটা অন্যরকম। তাই এবার অন্য পদক্ষেপ নিল বীরভূম পুলিশ।
লকডাউন চলাকালীন অনেকেই প্রশাসনের নির্দেশের তোয়াক্কা করছেন না। বাজার করার অজুহাতে, ওষুধ কেনার অজুহাতে একাধিকবার বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়ছেন। এই বেপরোয়া চালচলনের জন্য যে নিজেদের বিপদ নিজেরাই ডেকে আনছেন তা উপলব্ধি করতে পারছেন না।
পুলিশ প্রশাসন বারবার সাবধান করলেও কে শোনে কার কথা। তাই এবার প্রশাসন ঠিক করেছে গাড়িতে লাগাচ্ছেন এক বিশেষ ধরনের স্টিকার। এই স্টিকারে লিখে দেওয়া হচ্ছে বাইকটির বা বাইক আরোহীর বাজার যাওয়ার পূর্ব তথ্য। সপ্তাহে দুবারের বেশি বাজারে বেরোলেই তার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিচ্ছেন বীরভূম পুলিশ।
আরও পড়ুন :- লকডাউনে বেড়ে গেল ছাড়ের তালিকা, কেন্দ্রের নয়া নির্দেশিকা
এদিন লকডাউন অমান্য করে অপ্রয়োজনীয় কাজে যারা বেরোন তাদের বেশ কয়েকজনকে আটক করেন। প্রয়োজনীয় কাজে যারা বেরোন অর্থাৎ বাজার করতে যাওয়া, ওষুধ কিনতে যাওয়া ব্যাক্তিদের বাইকে লাগিয়ে দেওয়া হয় একটি বিশেষ ধরনের স্টিকার। ওই স্টিকারে পুলিশ লিখে দেন ব্যক্তি কত তারিখ, কোন সময় কোন কাজে বেরোচ্ছেন। যেই বাইকে ওই স্টিকার লাগানো হয় সেই বাইকের নম্বর রেকর্ড করে রাখেন পুলিশের খাতায়।
আরও পড়ুন :- যেতে হবে না ATM-এ, লকডাউনে বাড়িতে বসেই তোলা যাবে টাকা
নজরদারি বজায় রাখতে মঙ্গলবার বীরভুমের বোলপুর ও সিউড়ি শহরে পুলিশের তরফ থেকে রাস্তায় বের হওয়া মোটরবাইক অথবা চারচাকা গাড়িগুলিকে আটকানো হয়। তারপর সেই গাড়িগুলিতে স্টিকার লাগানোর কাজ শুরু করে। পাশাপাশি সেই সকল গাড়ির নম্বর নোট করে রাখার বন্দোবস্ত করা হয়।
আরও পড়ুন :- মাথাপিছু মিলবে ১০০০ টাকা, ‘প্রচেষ্টা’ প্রকল্পে আবেদন করুন এইভাবে
বীরভূম পুলিশের তরফে বলা হয়, এবার থেকে বাইকে লাগানো ওই স্টিকারেই থাকবে বাইক আরোহীর গতিবিধির হিসেব। সপ্তাহে দুবারের বেশি বেরোলে, অপ্র্যোজনীয় কাজে বেরোলে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবেন পুলিশ। কেও যদি চালাকি করে বাইকের স্টিকার ছিঁড়েও ফেলেন পুলিশ নিজেদের খাতায় দেখে নেবেন ওই বাইকের নম্বরে আগে স্টিকার দেওয়া হয়েছিল কিনা। বীরভূম পুলিশ প্রশাসন লকডাউন সফল করতে এবার এমন চাল চেলেছেন যাতে সব শেষে বাজিমাত করবেন প্রশাসন।