বাদামের ঝুড়ি ফেলে হাতে তুললেন একতারা, নতুন গান গেয়ে ফের ভাইরাল বাদাম কাকু

একসময় গ্রামে গ্রামে ঘুরে ঘুরে গলা ছেড়ে গান গেয়ে বাদাম বিক্রি করতেন সারাটা দিন। তখন তাকে চিনত না কেউ। তখন তার পরিচয় ছিল শুধুই এক ফেরিওয়ালা। তবে এখন অবশ্য সেদিন আর নেই। এখন তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় রীতিমতো ভাইরাল একজন শিল্পী। তিনি ‘কাচা বাদাম’ (Kacha Badam) গায়ক ‘বাদাম কাকু’ (Badam Kaku) ভুবন বাদ্যকর (Bhuban Badyakar)।

এখন আর ঘুরে ঘুরে বাদাম বিক্রি নয়, এখন তার হাতে বাদামের ঝুড়ির বদলে উঠেছে একতারা। একতারা হাতে নিয়ে ফের গান গাইলেন বাদাম কাকু। তার প্রত্যেক ভিডিওর মতো এই ভিডিওটাও মুহুর্তের মধ্যে নেটিজেনদের নজর কাড়লো। ইউটিউবে ক্যামেরার সামনে তিনি গাইলেন জনপ্রিয় লোকসংগীত ‘ট্যাংরা তবু কাটন যায়’।

গান শোনানোর আগেই অবশ্য ক্ষমা চেয়ে নেন ভুবন বাদ্যকর। তিনি বলেন, “অনেকদিন হল গান সেভাবে গাইনি। বাদাম বিক্রি করে বেড়াতাম তাই গলাটা কিরকম হবে সেটা ঠিক বলতে পারছি না। তবে চেষ্টা করছি গানটা করার”। এটুকু বলেই গান ধরলেন বাদাম কাকু। দীর্ঘ দিনের অভ্যাস না থাকলেও খালি গলায় তিনি যেমন দুর্দান্ত ফোক শোনালেন তা দর্শকদের মন ছুঁয়ে গেল।

মাত্র কয়েকদিনের মধ্যেই প্রায় সাড়ে সাত লক্ষ মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে এই গান। লক্ষ লক্ষ ভিউ থেকে বেশ বোঝা যায় বাদাম কাকু এখনও সোশ্যাল মিডিয়ার ট্রেন্ডিং। প্রথম প্রথম গান গেয়ে ভাইরাল হলেও প্রাপ্য মর্যাদা, অর্থ কিছুই পাচ্ছিলেন না বাদামের নতুন। অথচ তার গানের ভিডিও করে সোশ্যাল মিডিয়াতে ছেড়ে টাকা উপার্জন করছিল অন্যরা। অভিযোগ নিয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি।

শেষমেষ তিনি তার প্রাপ্য পেয়েছেন। বাংলার জনপ্রিয় ইউটিউবার স্যান্ডি সাহাও তার বাড়িতে উপস্থিত হয়ে তার সঙ্গে নাচ-গান করে এসেছেন। তাকে যথাযথ সাহায্য করার আবেদন করেছেন। এখন যেমন তিনি তার প্রাপ্যটুকু পাচ্ছেন, তেমনই বিভিন্ন সংস্থার তরফ থেকে গানের সরঞ্জামও তুলে দেওয়া হচ্ছে তার হাতে। সদ্য একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা তাকে দেয় পিয়ানো। বাদাম বিক্রি ছেড়ে এবার বড় গায়ক হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন তিনি।