

ঠাকুরমা-দিদিমাদের হাতের নিরামিষ রান্না মিস করেন? খুব কম তেল-মশলার ব্যবহারে পেঁয়াজ-রসুন ছাড়াই রান্নাতে দারুণ স্বাদ আনতে পারার কৌশল ছিল তাদের জানা। তাদের হাতের ছোঁয়ায় সাধারণ সবজির স্বাদ যেন হয়ে ওঠে অমৃত। আজ এই প্রতিবেদনে রইল বাঙালির ঐতিহ্যবাহী একটি রান্নার রেসিপি। শিখে নিন পেঁয়াজ-রসুন ছাড়া বেগুন বাসন্তী (Begun Basanti Recipe) রান্নার দারুণ রেসিপি।
রান্নার জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ : বেগুন, কাঁচা লঙ্কা, নারকেল কোরা, নারকেলের দুধ, হলুদ গুঁড়ো, কাশ্মীরি লাল লংকার গুঁড়ো, কালো সরষে, হলুদ সরষে, পোস্ত, কালো জিরে, নুন, তেল, চিনি।
নিরামিষ বেগুন বাসন্তী রান্নার পদ্ধতি : প্রথমে বেগুনগুলো ভালো করে ধুয়ে পরিষ্কার করে বোঁটাসমেত মাঝখান থেকে চিরে লম্বালম্বি দুই ভাগ করুন। তারপর প্রতিটি ভাগ লম্বা করে এমনভাবে চিরে নিন যাতে বোঁটার অংশটা কেটে না যায়। এবার বেগুনগুলোতে ভালোভাবে নুন-হলুদ মাখিয়ে নিন। এই রান্নার জন্য ব্যবহৃত স্পেশাল মশলা তৈরীর জন্য মিক্সিং জারে কালো সরষে, হলুদ সরষে, পোস্ত, নারকেল কোরা, দু’তিনটে কাঁচালঙ্কা, সামান্য নুন এবং জল মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন।
কড়াইতে সরষে তেল গরম করে বেগুনগুলো ভাল করে ভেজে তুলে নিন। এই তেলের মধ্যেই সামান্য কালো জিরে এবং দুটো কাঁচালঙ্কা ফোড়ন দিন। আগে থেকে তৈরি করে রাখা মশলার অর্ধেকটা কড়াইতে দিয়ে কম আঁচে ভাল করে কষিয়ে নিন। এরপর বাকি মশলাটা দিয়ে জল যোগ করে নিন। মশলা কষানো হয়ে গেলে সামান্য হলুদ এবং কাশ্মীরি লঙ্কা গুঁড়ো মিশিয়ে পরিমাণমতো নুন এবং চিনি দিন।
এরপর নারকেলের দুধ অথবা গরুর দুধ দিয়ে কম আছে ২-৩ মিনিটের জন্য ঢাকা দিয়ে রান্না হতে দিতে হবে।এবার ঢাকনা খুলে বেগুনগুলো কড়াইতে দিয়ে ৫ মিনিট রান্না হতে দিন। ঢাকনা খুলে বেগুন ভাজার উপর গ্রেভি ভালো করে মাখিয়ে নিয়ে আরও ৩ মিনিট ঢাকনা দিয়ে কম আঁচে রান্না হতে দিতে হবে। এবার নামিয়ে নিয়ে গরম গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন অসাধারণ এই রান্নাটা।