Karar oi louho kopat controversy : সোশ্যাল মিডিয়া এমন একটি প্ল্যাটফর্ম যেখানে কখন যে আপনি ভালো থেকে খারাপ হয়ে যাবেন তা নিজেই বুঝতে পারবেন না। কিছুদিন আগে যেমন দীপিকা পাড়ুকোনের ভালোবাসার কাহিনীকে নিমেষে দুর্নাম করে দিল সকলে। এবার কাজী নজরুল ইসলামের ‘কারার ওই লৌহ কপাট’, গানটি রিমেক করে সকলের ক্ষোভের মুখে পড়লেন বলিউড (Bollywood) -র জনপ্রিয় সংগীত পরিচালক এ আর রহমান (A R Rahman)।
Karar oi louho kopat By A R Rahman
পরিচালক রাধাকৃষ্ণ মেননের সিনেমা ‘পিপ্পা’-য় ব্যবহার করা হয়েছে এই গানটি। ১৯৭১ সালে তৈরি হওয়া এই গানটিকে নতুন ভাবে কম্পোজ করেছিলেন রহমান। ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের কবল থেকে মুক্তি পেয়েছিল বাংলাদেশ আর ঠিক সেই সময় কাজী নজরুল ইসলামের এই গানটি তৈরি করা হয়। এই গানটি শুধুমাত্র আমাদের বাঙ্গালীদের জন্য নয়, সারা ভারতবাসীর কাছে একটি ইমোশন। ‘পিপ্পা’ সিনেমায় এই গানটি গেয়েছেন তীর্থ ভট্টাচার্য, পীযূষ দাস, শালিনী মুখোপাধ্যায়, দিলাশা চৌধুরী এবং শ্রয়ী পাল।
শুক্রবার ‘পিপ্পা’ সিনেমাটি মুক্তি পাওয়ার পরেই শুরু হয়ে যায় বিতর্ক। সাধারণ মানুষের পাশাপাশি স্বনামধন্য গায়ক থেকে সংগীত পরিচালক সকলেই নিজের মতামত পোষণ করেছেন এই প্রসঙ্গে। এই প্রসঙ্গে দেবজ্যোতিকে প্রশ্ন করায় তিনি বলেন, “আমার মনে হচ্ছে একটা দুঃস্বপ্ন দেখছি আমি। মনে হচ্ছে ঘুম থেকে উঠে দেখব এরকম কিছু ঘটেনি। এই গানটি কবিতার আকারেও ছিল আমার মনে হচ্ছে রহমানকে কবিতার আকারে গানটি দেওয়া হয়েছিল, তা যদি হয়ে থাকে তা অত্যান্ত নিম্নমানের কাজ হয়েছে।”
এই রিমেক গানটির অন্যতম গায়ক তীর্থ ভট্টাচার্যকে জিজ্ঞাসা করায় তিনি বলেন, “আমি পেশাদার গায়ক। গান গেয়ে জীবিকা অর্জন করি। কাজী নজরুল ইসলাম আমার প্রাণের মানুষ। ওনার গান আমি আগেও গেয়েছি যা মানুষ পছন্দ করেছে। তবে এই গানটি নিয়ে যা শুরু হয়েছে সেই বিষয়ে ব্যক্তিগতভাবে আমার কিছু বলার নেই। লোকগানে আমি বাঁচি। এই বিষয় নিয়ে আমার আলাদা করে বলার কিছু নেই।”
অন্যদের মত পন্ডিত অজয় চক্রবর্তীও এই গানটির কিছু অংশ শুনেছেন। তিনি বলেন,” রহমানের মত এত সুপরিচিত সুরকারের কাছ থেকে আমি এটা আশা করি না। ব্যক্তিগতভাবে আমার এটা ভালো লাগেনি। এই প্রসঙ্গে সরকারি পদক্ষেপ প্রয়োজন। লিখিতভাবে প্রধানমন্ত্রী এবং মুখ্যমন্ত্রীর কাছে অভিযোগ জানানো উচিত।”
আরও পড়ুন : শ্রেয়া নয়, অরিজিতও বাদ, বলিউডের সবথেকে বেশি পারিশ্রমিকপ্রাপ্ত গায়ক কে জানেন?
আরও পড়ুন : কোথায় হারিয়ে গেলেন ‘তুম তো ঠেহরে পরদেশী’ গায়ক? এখন কোথায় কীভাবে কাটছে তার দিন
সদা হাস্যময়ী বর্ষিয়ান সংগীত শিল্পী হৈমন্তী শুক্লা রাগত স্বরে বলেন, “বাংলার সংগীত নিয়ে যে ওর কোন ধারণা নেই তা বুঝতে পারলাম এই গানটি শুনে। ভালো কাজের প্রশংসার পাশাপাশি খারাপ কাজেরও সমালোচনা করা উচিত। বাংলার সংস্কৃতিকে এরা ধ্বংস করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে। আমাদেরকে এর প্রতিবাদ করতে হবে।”