রেটিং তালিকায় পেছাতে পেছাতে একেবারে দশের বাইরেই বেরিয়ে গেল খড়কুটো (Khorkuto)। অথচ এই ধারাবাহিক যখন শুরু হয়েছিল তখন যৌথ পরিবারের হাসি-মজায় ভরপুর গল্প দর্শককে সম্পূর্ণ বিনোদন যুগিয়েছে। ধারাবাহিক শুরু হওয়ার মুহূর্তে রেটিং তালিকায় সেরা পাঁচে থাকতো খড়কুটো। কিন্তু এখন এই ধারাবাহিকে এতটাই একঘেয়েমি ভর করেছে যে দর্শক রীতিমতো তিতিবিরক্ত।
গুনগুন-সৌজন্যের খুনসুটি, পটকাসহ পরিবারের সকলের হাসি-ঠাট্টা দর্শকদের প্রাণ খুলে হাসতে শিখিয়েছে। তবে কালক্রমে ধারাবাহিকে ঢুকে পড়েছে ত্রিকোণ প্রেমের একঘেয়ে গল্প। সৌজন্যকে নিয়ে তিন্নি আর গুনগুনের মাঝে চলছে চরম টানাপোড়েন। বিবাহিত সৌজন্যের পেছনে ছিনে জোঁকের মতো লেগে রয়েছে তিন্নি। সৌজন্যকে সে গুনগুনের থেকে আলাদা করবেই।
তবে সৌজন্যকে নিয়ে তিন্নি বনাম গুনগুনের রেষারেষি দেখতে দেখতে ক্লান্ত হয়ে পড়ছেন দর্শকরা। ধারাবাহিকে লাগাতার ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে একই দৃশ্য ফিরিয়ে আনা হচ্ছে। সৌজন্য এবং গুনগুনের মাঝে দর্শক আর কাউকেই দেখতে চান না। সোশ্যাল মিডিয়াতে লেখিকা লীনা গঙ্গোপাধ্যায়ের কাছে বারবার তারা এই নিয়ে আবেদন জানিয়েছেন।
খড়কুটোর পুরো পরিবার যখন দার্জিলিংয়ের ছুটি কাটাতে গেল তখনও রেটিং তালিকায় এই ধারাবাহিকের নাম ছিল। বেড়াতে গিয়ে গোটা পরিবারের আনন্দের ভাগীদার হয়েছিলেন দর্শকরাও। কিন্তু তারপরে যখন সকলে আবারও বাড়িতে ফিরে এলো তখন তিন্নিও শনির মতো হাজির সৌগুনের সম্পর্কের মাঝে। সে কোর্ট নোটিশ ধরিয়ে দিয়েছে সৌজন্যের হাতে।
View this post on Instagram
তিন্নির দাবি, সৌজন্য তাকে ঠকিয়েছে। সৌজন্যের নামের সিঁদুর পরে সে নিজেকে সৌজন্যের স্ত্রী বলে দাবি করে। তিন্নির জন্য প্রথম প্রথম সবাই সৌজন্যকে ভুল বুঝলেও এখন গোটা পরিবার তার পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। গুনগুনও এবার এর শেষ দেখতে চায়। তাই আদালতের পথেই এবার হাঁটবে গুনগুন।
