নায়িকা হিসেবে ছবি পিছু কত টাকা নিতেন অর্পিতা, অবশেষে প্রকাশ্যে এল তথ্য

এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি (SSC Scam) মামলা নিয়ে একদিকে রাজ্য রাজনীতি তোলপাড়। অন্যদিকে বিনোদনের দুনিয়াতেও আলোড়ন পড়ে গিয়েছে দুর্নীতি মামলার অন্যতম অভিযুক্ত পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে (Arpita Mukhopadhyay) নিয়ে। হাতে গোনা কিছু ছবিতে অভিনয় করলেও টলিউডের সঙ্গে গভীর সম্পর্ক ছিল অর্পিতার। তাই টলিউড থেকেও তার সম্পর্কে উঠে আসছে নানা তথ্য।

মফস্বলের মেয়ে ছিলেন অর্পিতা। তবে তার স্বপ্ন ছিল অনেক বড়। তিনি নিজেকে ইন্ডাস্ট্রিতে একজন সুপ্রতিষ্ঠিত নায়িকা হিসেবে দেখতে চেয়েছিলেন। অভিনয় দিয়ে খুশি করেছিলেন পরিচালক এবং প্রযোজকদের। তাহলে কেন হঠাৎ কেরিয়ার বিসর্জন দিয়ে দুর্নীতির অতলে তলিয়ে গেলেন অর্পিতা?

একটা সময় ছিল যখন তার হাতে তেমন টাকা ছিল না। টাকার লোভও যে খুব বেশি ছিল, তেমনটা মানতে চাইছেন না প্রযোজক গৌতম সাহা। প্রথম প্রথম নায়কের বোন কিংবা নায়িকার বান্ধবী চরিত্রই হাতে পাচ্ছিলেন অর্পিতা। তবে অর্পিতা মনেপ্রাণে নায়িকা হতে চাইতেন। ২০১১ সালে তাকে সেই সুযোগ করে দেন টলিউডের প্রযোজক গৌতম সাহা।

তার ছবি ‘হৃদয়ে লেখ নাম’ এর জন্য নতুন মুখের সন্ধানে ছিলেন তিনি। একসঙ্গে সংগীত পরিচালকের মাধ্যমে অর্পিতার সঙ্গে তার যোগাযোগ হয়। এই ছবিই ছিল অর্পিতার কেরিয়ারে নায়িকা হিসেবে প্রথম এবং শেষ ছবি। ছবির জন্য অর্পিতা কত পারিশ্রমিক নিয়েছিলেন? টাকার লোভ কি প্রথম থেকেই ছিল তার মনে?

এই প্রশ্নের জবাবে টিভি নাইন বাংলাকে প্রযোজক যা জানিয়েছেন তা রীতিমতো অবাক করে দিচ্ছে। তার কথায়, ‘‘সবকিছু (খাওয়া-দাওয়া, লজিং) মিলিয়ে মাত্র পাঁচ লক্ষ টাকা নিয়েছিল ও। তখন কিন্তু খুব বেশি ডিম্যান্ড করেনি। ওর খালি একটাই ইচ্ছে ছিল যে ও নায়িকা হবে।’’ সেই মেয়ের এই অবনতি হবে ভাবতেও পারছেন না প্রযোজক।

ছবি মুক্তি পাওয়ার পর কিন্তু প্রযোজকের উপর দারুণ চটে গিয়েছিলেন অর্পিতা। কারণ তার মনে হয়েছিল তিনি নায়িকা হলেও ছবিতে তার থেকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে অপর অভিনেত্রী মনিকা বেদিকে। এরপর তিনি আর বাংলা ছবিতে মুখ দেখাননি। ওড়িয়া ইন্ডাস্ট্রিতে কিছু ছবি করেছিলেন তবে তা তেমন জনপ্রিয়তা পায়নি।