পল্লবী, বিদিশার মৃত্যু নিয়ে রচনা ব্যানার্জির বিস্ফোরক মন্তব্য, অভিনেত্রীকে ধুয়ে দিলেন লীনা গাঙ্গুলীর ছেলে

টলিউড (Tollywood) অভিনেত্রী রচনা ব্যানার্জি (Rachana Banerjee) সারাবাংলার সকলের প্রিয় দিদি। ইন্ডাস্ট্রিতে ঘটে যাওয়া ঘটনা প্রসঙ্গে তার কোনও মন্তব্য যথেষ্ট গুরুত্ব রাখে। সম্প্রতি টলিউডের উঠতি মডেল এবং অভিনেত্রীদের আত্মহত্যার ঘটনা সম্পর্কে নিজস্ব মতামত তুলে ধরেছিলেন রচনা ব্যানার্জি। টেলিভিশন অভিনেত্রী পল্লবী দে, বিদিশা দে মজুমদার, মঞ্জুষাদের আত্মহত্যা প্রসঙ্গে বর্তমান প্রজন্মের মানসিকতাকে দায়ী করেছিলেন রচনা।

রচনা একটি সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন এই মডেলদের আত্মহত্যার কথা শুনে তিনি যতটা না কষ্ট পেয়েছেন তার থেকেও বেশি কষ্ট পেয়েছেন তাদের বাবা-মায়েদের কথা ভেবে। অভিনেত্রী বলেন এখনকার প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা পড়াশোনা শেষ না করেই অভিনয় করতে চলে আসছে। তিনি আরও বলেন এই প্রজন্ম স্ট্রাগল করতে শেখেনি। কাজ না পেলে অবসাদে ভোগে, তারপর আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়!

রচনার এই মন্তব্যের পক্ষে-বিপক্ষে বহু মতামত এসেছে। এই বিষয়ে মুখ খুলেছেন টলিউডের পরিচালক তথা চিত্রনাট্যকার লীনা গাঙ্গুলীর ছেলে অর্ক গাঙ্গুলী (Arko Ganguly)। রচনার মন্তব্যের ঘোর বিরোধিতা করে ফেসবুকে একটি পোস্ট করেছেন তিনি। পরিচালক রচনা ব্যানার্জিকে তার নিজের অতীতের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন যে সময় (টিনএজে) মডেলিং করতেন রচনা। ‘অবসাদ’ সম্পর্কে রচনা ব্যানার্জির মন্তব্যের চূড়ান্ত সমালোচনা করেছেন পরিচালক।

পরিচালকের কথায়, “এরা সহবাস করতেন, বা কারুর নাকি পুরুষ বন্ধুর সাথে সম্পর্ক ছিল। ব্যাস! তার সাথে মদ আর সিগারেটকে জুড়ে পুরো ব্যাপারটার নাম দিয়েছেন “ফুর্তি” – এই ফুর্তি নিয়ে দিদির মনের মরাল পুলিশটি জেগে উঠেছে। তাই দিদি সোজাসুজি বলে দিয়েছেন – এদের মৃত্যুতে ছিটেফোঁটা কষ্টের ও কোন অবকাশ নেই। ও! তার সাথে আনুষঙ্গিক ব্যাপার গুলোও ধরে নিয়েছেন, মানে যেমন ধরুন এরা বাবা-মার কথা শোনেন না, বয়ফ্রেন্ডের কথা শোনেন। মানে মানুষ প্রাপ্তবয়স্ক তো আমেরিকায় হয়, এখানে তো তোমাকে বাবা-মার কথা শুনতে হবে, আর যদি কখনো মদ খাও বা সহবাস করো, তাহলে তো বাবা-মার কথা শোনা হল না! আচ্ছা, এবার তুমি মরতে পারো।”

রচনার শিক্ষা সম্পর্কে প্রশ্ন তুলে পরিচালক বলেছেন, “অবসাদ একটি মানসিক রোগ, সেটা আমার মত উশৃঙ্খলের যেমন হতে পারে, তেমন আপনার মত শৃঙ্খলাপরায়নেরও হতে পারে। Impulse বা আবেগও বিবাহ ববহির্ভূত যৌনতার জন্য বেড়ে যায় না। আর ওই, আপনাদের সময়ে শিকড় শক্ত ছিল বলে আত্মহত্যা হতোনা, না কি একটা বলেছেন? ওটাও একটু বোকার মত বলে ফেলেছেন – আপনাদের ‘সময়’ যদি 20 বছর আগের কথা ধরি, দেশে আত্মহত্যার বার্ষিক হার তখন আজকের থেকে প্রায় 29.9% বেশী ছিল।” সবশেষে অভিনেত্রীর কাছে তিনি প্রশ্ন রেখেছেন, “গভীর বিষয়কে গভীর ভাবে ভেবে মন্তব্য করুন – না হলে যে বা যারা বলেন ছোট জামা পরার জন্যে ধর্ষণ হয়, তার বা তাদের মন্তব্য এর সাথে আপনার মন্তব্য এর তফাৎটা কোথায় বলুন?”