মাত্র ৩০ টাকায় ভরপেট খাবার, গরিবদের জন্য সস্তার হোটেল খুললেন অরিজিৎ সিং

টলিউড থেকে বলিউড, বাংলার ছেলে অরিজিৎ সিংয়ের (Arijit Singh) উপরে চোখ বন্ধ করে বাজি ধরতে পারেন সংগীত পরিচালকরা। অরিজিতের গান মানেই তা সুপারহিট হবেই। অরিজিতের গায়কীর কাছে ঢেকে যায় গানের কথা কিংবা সুরের দুর্বলতা। এহেন অরিজিৎ সুরের ভুবনের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। সাধারণত তার মত তারকারা নিজেদের চারপাশে আলাদাই এক স্টার ইমেজ নিয়ে ঘোরেন। তবে অরিজিৎ তাদের মধ্যে ব্যতিক্রম।

একটা গোটা জেনারেশনকে নিজের গানের সুরে ভাসিয়ে নিয়ে গিয়েছেন অরিজিত। টলিউডের পাশাপাশি তিনি বলিউডেরও এক নম্বর গায়ক। এত বড় মাপের শিল্পী হওয়া সত্ত্বেও বাস্তবে একেবারেই মাটির মানুষ অরিজিৎ। মুম্বাইয়ের বুকে এলাহী রাজপ্রাসাদে রাজকীয় জীবনযাপনের মোহ ত্যাগ করে তিনি তার নিজের শহর মুর্শিদাবাদের জিয়াগঞ্জেই সুখী। নিজের শহরের উন্নতির জন্য একের পর এক কাজ করে যাচ্ছেন তিনি।

কিছুদিন আগেই অরিজিতের স্পোকেন ইংলিশ স্কুলের খবর জেনেছিলেন নেটিজেনরা। জিয়াগঞ্জ শহরের বুকে ছেলেমেয়েদের ইংরেজিতে কথা বলায় পারদর্শী করে তুলতে তার এই উদ্যোগ। এবার জানা গেল তার হোটেলের ব্যবসার খবর। ঠিকই পড়ছেন, গায়ক অরিজিত এবার আপাদমস্তক ব্যবসায়ী হয়ে উঠেছেন। জিয়াগঞ্জ শহরেই ‘হেঁশেল’ নামের একটি রেস্তোরাঁ রয়েছে তার।

আসলে এই রেস্তোরাঁটি খুলেছিলেন তার বাবা। জিয়াগঞ্জে গেলে আজও দেখতে পাবেন এই হোটেলটি। এত বড় গায়ক হলেও বাবার ব্যবসা বন্ধ করে দেননি অরিজিৎ। সব থেকে অবাক করার মত ঘটনা হল এখানে আজও মাত্র ৩০ টাকায় খাবার পাওয়া যায়। ঠিকই পড়ছেন, ৩০ টাকায় ভরপেট খাবারের থালি পাবেন এই রেস্তোরাঁতে।

বাইরে থেকে দেখলে একেবারেই সাধারণ মানের একটি হোটেল বলে মনে হবে, তবে ভেতরে ঢুকলেই সারিবদ্ধ কাঁচের টেবিল এবং কাচের চেয়ার সাজানো রয়েছে। এই রেস্তোরাঁ নিয়ে এখন সোশ্যাল মিডিয়াতে নেটিজেনদের আগ্রহ বেশ ধরা পড়ছে। এখানে ৩০ টাকার থালি যেমন পাবেন, তেমনই পনির, চিকেন, মাটনের বিভিন্ন লোভনীয় পদও রয়েছে অন্যান্য রেস্তোরাঁর মত। খাবারের দাম সাধারণের নাগালের মধ্যেই থাকে।

সম্প্রতি অরিজিতকে নিয়ে মুখ খুলেছিলেন কবি শ্রীকান্ত। ‘মানব জমিন’ ছবিতে অরিজিতকে দিয়ে একটি রামপ্রসাদী গান গাওয়ানোর ইচ্ছা ছিল তার। তবে ডেট নিয়ে সমস্যা দেখা দিচ্ছিল। শত ব্যস্ততার মাঝেও একদিন স্টুডিওতে এসে রাতভর জেগে গান রেকর্ড করে দিয়ে যান অরিজিৎ। শ্রীকান্তর কথায়, অরিজিৎ এর আগে কখনও রামপ্রসাদী গান গাননি। অথচ তার গান শুনলে মনে হয় যেন বছরের পর বছর ধরে তিনি এই গানই গেয়ে আসছেন!