ঘুমের মধ্যে মাইল্ড স্ট্রোক, তাই নিয়েই শুটিং, ‘অপরাজিতা অপু’র অভিনেত্রীর হয়েছে চরম অভিজ্ঞতা

বাংলা টেলিভিশনের (Bengali Telivision) পর্দায় যারা অভিনয় করেন তাদেরকে একটানা ১০-১২ ঘন্টা অভিনয় করতে হয়। আর যদি খুব বেশি কাজের চাপ থাকে তাহলে সেই সময়টা বেড়ে ১৫-১৬ ঘন্টাও হতে পারে। একটানা কাজ করে করে শরীরের দিকে খেয়াল রাখার সময় খুব কমই থাকে। আর তার ফলেই ঘটে যেতে পারে শরীরের মারাত্মক বিপদ। যেমনটা ঘটেছিল অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা ভট্টাচার্যের (Priyanka Bhattacharya) সঙ্গে।

একের পর এক ধারাবাহিক ও ওয়েব সিরিজে চুটিয়ে কাজ করছিলেন প্রিয়াঙ্কা। একদিকে ‘অপরাজিতা অপু’ (Aparajita Apu) ধারাবাহিকের শুটিংয়ের চাপ তো ছিলই, তার উপর আবার ওয়েব সিরিজের চাপ। এদিকে বাড়িতেও দাদার বিয়ে নিয়ে চূড়ান্ত ব্যস্ততা ছিল। সব মিলিয়ে শরীরের প্রতি অযত্নটা একটু বেশিই হয়ে গিয়েছিল। তার খেসারতও দিতে হয়েছে অভিনেত্রীকে।

দিদি নাম্বার ওয়ান এর মঞ্চে এসে রচনা ব্যানার্জীকে এক ভয়ংকর কথা শোনালেন প্রিয়াঙ্কা। এত কম বয়সেই নাকি মাইল্ড স্টোকে আক্রান্ত হয়েছিলেন প্রিয়াঙ্কা। অভিনেত্রীর কথায় তখন তিনি আন্দুলের বাড়ি থেকে নিয়মিত টালিগঞ্জে যাতায়াত করছিলেন। কাজের চাপ এতটাই বেশি ছিল যে ঘুমোনোর সময় পেতেন না। ব্ল্যাক কফি খেয়ে ঘুম এড়াতেন। শরীর তার ভালই শোধ তুলে নেয়।

অভিনেত্রী জানিয়েছেন সেই সময় তার মাথা ঘুরতো। তার হাত কাঁপতে থাকে। তবে তিনি সেসব অগ্রাহ্য করছিলেন। এদিকে দাদার বৌভাতের দিন আচমকাই তার একটু বেশিই শরীর খারাপ হয়ে যায়। রাতে বারবার মাকে বলছিলেন আলো নিভিয়ে দিতে। সারারাত শরীরে অস্বস্তি কাজ করেছেন। সকালে উঠে মুখ ধোয়ার সময় তিনি লক্ষ্য করেন মুখ দিয়ে অনবরত জল বের হচ্ছে।

চোখ ডলতে পারছিলেন না। ওই অবস্থায় সেটেও গিয়েছিলেন তিনি। তবে সেটে সংলাপও বলতে পারছিলেন না। অবশেষে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হয় তাকে। তখনই চিকিৎসক তাকে জানান ভয়ংকর খবরটা। আসলে মাইল্ড স্ট্রোক হয়ে গিয়েছিল তার। মুখের ডান দিকে নার্ভাস সিস্টেম ড্যামেজ হয়ে যায়। এরপর তাকে অনেক কড়া ওষুধ খেতে হয়।

চিকিৎসক তাকে টানা বিশ্রাম নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন। কিন্তু ধারাবাহিকের শুটিং তিনি বন্ধ রাখেননি। ওষুধ খেয়েই শুটিং করে গিয়েছেন। প্রিয়াঙ্কা জানিয়েছেন সেই সময় অবশ্য সেটের সকলে তাকে খুব সাহায্য করেছিলেন। এখন তিনি একেবারে সুস্থ। আবার নতুন করে কাজের দুনিয়াতেও ফিরেছেন প্রিয়াঙ্কা।