বিয়ের ৮ বছর পরও হয়নি শারীরিক সম্পর্ক, টলিউড নায়িকার বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ স্বামীর

বিজেডি সাংসদ তথা ওড়িয়া অভিনেতা অনুভব মোহান্তি (Anubhav Mohanty) এবং তার টলিউড নায়িকা স্ত্রী বর্ষা প্রিয়দর্শিনীকে (Barsha Priyadarshini) নিয়ে আরও একবার উত্তাল হল সোশ্যাল মিডিয়া। স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কের চাপানউতোর চলে এসেছে প্রকাশ্যে। যা এখন নেট মাধ্যমের চর্চার বিষয়বস্তু হয়ে দাঁড়িয়েছে। সম্প্রতি স্ত্রীর থেকে বিচ্ছেদ চেয়েছেন অনুভব। বিচ্ছেদ চাওয়ার কারণ হিসেবে স্ত্রীর বিরুদ্ধে মারাত্মক অভিযোগ এনেছেন তিনি।

বর্ষা প্রিয়দর্শনী এবং অনুভব মোহান্তির বিয়ে হয়েছিল আজ থেকে ৮ বছর আগে। অনুভবের অভিযোগ এই ৮ বছরে তার স্ত্রী তাকে কাছে ঘেঁষতেই দেননি। তার এবং তার স্ত্রীর মধ্যে কোনও শারীরিক সম্পর্ক নেই বলেই দাবি করেছেন অনুভব। স্ত্রীর বিরুদ্ধে প্রকাশ্যেই এমন অভিযোগ এনে বিচ্ছেদের মামলা করেছেন সাংসদ-অভিনেতা।

উল্লেখ্য, ওড়িয়া ইন্ডাস্ট্রির জনপ্রিয় তারকা অনুভব। সেই সঙ্গে তিনি একজন সাংসদ। অন্যদিকে বর্ষা নিজেও উড়িয়া এবং বাংলা ছবির নামী অভিনেত্রী। টলিউডের প্রসেনজিৎ এবং রচনার মধ্যে তারকাদের সঙ্গে কাজ করেছেন। বহু বাংলা ছবিতে নায়িকা হিসেবেও তাকে দেখা গিয়েছে। তাই এই হাই প্রোফাইল ঘটনা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া রীতিমতো সরগরম হয়ে রয়েছে।

বর্ষার অভিযোগ, তিনি গার্হস্থ্য হিংসার শিকার। রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে স্ত্রীর উপরে অত্যাচার চালাচ্ছেন অনুভব। বিবাহ বিচ্ছেদের মামলাতে অনুভবের থেকে ১৫ কোটি টাকা দাবি করেছেন বর্ষা। সেই সঙ্গে প্রতি মাসে বাড়ি ভাড়া হিসেবে ২০ হাজার টাকা এবং সংসার খরচ বাবদ আরও ৫০ হাজার টাকা দাবি করেছেন।

এদিকে অনুভব পাল্টা স্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছেন। অনুভবের অভিযোগ, ২০১৪ সালে তাদের বিয়ের পর থেকে বর্ষা তাকে কাছে ঘেঁষতে পর্যন্ত দেননি। তিনি অনেক চেষ্টা করেও স্ত্রীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করতে পারেননি। শেষমেষ ২০২০ সালে দিল্লির পারিবারিক আদালতে বিবাহ বিচ্ছেদের মামলাটি করেছিলেন অনুভব।

অন্যদিকে বর্ষা অভিযোগ করেছেন অনুভবের মদের নেশা রয়েছে এবং তার একাধিক নারীর সঙ্গে সম্পর্কও রয়েছে। সম্প্রতি ফেসবুকে একটি পোস্ট করে বর্ষা লিখেছেন, ‘কোন বিষই এক ইতিবাচক মানুষকে মারতে পারে না। আর কোনও ওষুধই নেতিবাচক ব্যক্তিকে বাঁচাতে পারে না’। তাদের বিবাহ বিচ্ছেদের মামলাটির দিল্লির পারিবারিক আদালত থেকে সরিয়ে কটকে স্থানান্তর করা হয়েছে।