মন্ত্রীর হাত ধরেই পর্দায় আসা, রইলো ‘পটকা’ তথা অম্বরীশের জীবনের অজানা কাহিনী

তাকে বলা হয় টেলিভিশনের (Bengali Telivision) ‘মন ভালো করার জাদুকর’। তার পরিচয় তিনি ‘গজা, গজেন্দ্র চৌধুরী, কেয়ার অফ পঞ্চানন চৌধুরী’! যদিও এটা তার আসল পরিচয় নয়, তবে তার এ পরিচয় দিলে যে কেউ ধরে ফেলবেন কথা হচ্ছে টেলিতারকা অম্বরীশ ভট্টাচার্যকে (Ambarish Bhattacharya) নিয়ে। ‘রাজাগজা’ ধারাবাহিকের ‘গজা’ থেকে খড়কুটোর (Khorkuto) ‘পটকা’, আজ তাকে এক ডাকে সকলেই চেনেন।

তবে একটা সময় ছিল যখন টলিউডে প্রবেশের পথ খুঁজে পাচ্ছিলেন না অম্বরীশ। চেনা-পরিচিতি না থাকার দরুণ হয়তো অভিনয় করাটাই তার আর হতো না। কিন্তু তার দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন এক স্বনামধন্য গায়ক তথা প্রোডিউসার ইন্দ্রনীল সেন। ইন্দ্রনীল সেনের প্রোডাকশন হাউসের সুবাদেই প্রথম অভিনয়ের সুযোগ পান ‘গজা’ ওরফে অম্বরীশ ভট্টাচার্য। সেই থেকে আজ পর্যন্ত ইন্দ্রনীলের প্রতি কৃতজ্ঞ অম্বরীশ।

অম্বরীশ নিজে সেই কথা স্বীকারও করেছেন। সদ্য আনন্দবাজার অনলাইনের লাইভ প্রশ্নোত্তর পর্বে হাজির হয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গের পর্যটন মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন। সেখানে অম্বরীশ মন্তব্য করেন, “ইন্দ্রনীলদা না থাকলে অভিনয় করা হতো না”। এই কথা নেটিজেনদের নজর এড়ায়নি। নজর এড়ায়নি ইন্দ্রনীলেরও। তিনি পাল্টা মন্তব্য করলেন, “আমি নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করি যে ওর মতো একজন ছেলেকে আমি সুযোগ করে দিতে পেরেছি”।

ইন্দ্রনীল আরও বলেছেন, “নিজের প্রতিভার জেরে আজ ও এই জায়গায় পৌঁছাতে পেরেছে”। কথায় কথায় ইন্দ্রনীল অম্বরীশ সম্পর্কে বলতে গিয়ে বললেন, খরকুটোর ‘পটকা’ আজও ছেলেমানুষ রয়ে গিয়েছেন। একটুও বড় হননি। তবে শুধু অভিনয়গুণে নয়, একজন সুগায়ক হিসেবেও অম্বরীশ সকলের মন জয় করেছেন। আট থেকে আশি, বলতে গেলে সিনে অনুরাগীদের প্রায় প্রত্যেকেরই পছন্দের তারকা অম্বরীশ ভট্টাচার্য।

গোমড়ামুখোদের মুখেও হাসি ফোটানোর জন্য প্রয়োজন অম্বরীশের মতো ‘হাসির রাজা’দের। ২০০৭ সালে ইন্দ্রনীলের প্রোডাকশন হাউসের হাত ধরে প্রথমবার পর্দায় পা রাখেন অম্বরীশ। তারপর থেকেই একের পর এক কিস্তিমাত করে চলেছেন অভিনেতা। অভিনয়গুণে তাকে ছাপিয়ে যাওয়ার সাধ্য কারও নেই। খড়কুটোর ‘পটকা’ চরিত্রটি তাকে সকলের কাছে আরও বেশি জনপ্রিয় করে তুলেছে। দেখতে দেখতে এই ইন্ডাস্ট্রিতে ১৪ বছর কাটিয়ে ফেললেন অম্বরীশ।