
কুসংস্কার (superstition) রয়েছে সারা পৃথিবীতেই। কোথাও বা কোনও বিশেষ নিয়ম নিয়ে মানুষের মনে ভুল ধারণা থাকে আবার কোথাও কোনও ঘটনার পর অন্ধবিশ্বাস তৈরি হয় মানুষের মনে। কিন্তু সব খারাপ হয়, যখন এই কুসংস্কার বা অন্ধবিশ্বাস ফলে অনেক বহু কাজও আটকে যায়। কিন্তু আমরা কখনও যাচাই করি না এই থামার পিছনে কোনও বৈজ্ঞানিক কারণ (scientific reasons) রয়েছে কী না?
যেমন বিড়াল নিয়েও রয়েছে নানা ধরনের কুসংস্কার। বহুকাল ধরেই এই নিয়ম চলে এসেছে। আজও দেশ ও বিদেশের বহু অঞ্চলে এই ধরনের কিছু নিয়মকানুন আজও মানা হয়ে। কিন্তু এই নিয়মের পিছনে রয়েছে কিছু বৈজ্ঞানিক কারণও রয়েছে।
বিজ্ঞানীদের নির্দেশ, বিড়াল রাস্তা কাটলে গাড়ী কিছুক্ষণের জন্য দাড় করানো উচিত। এটা কিন্তু কোনও কুসংস্কার নয়, বরং হিংস্র প্রাণীরা অনেক সময় নিরীহ প্রাণীর পিছন পিছন ধাওয়া করে তাই এমন পরিস্থিতিতে গাড়ী দাড় করিয়ে রাখা উচিত। না হলে বড় দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা তৈরি হয়।
অনেক সময় এভাবে এই সব কারণে বড় রয়েছে দুর্ঘটনায় কবলে পরেন অনেকে। আর তারপর অনেক ক্ষেত্রে এই দুর্ঘটনা জন্য দায়ী থাকেন গাড়ী চালকরাই। কিন্তু তারপরেও নিরীহ প্রাণীগুলোর উপর সব দোষ দেওয়া হয়। অনেক শিক্ষিত সমাজের মানুষরাও বলেন যে ঐ বিড়াল কেটেছে বলেই দুর্ঘটনা ঘটেছে।
কিন্তু বাস্তবে ঐ বিড়ালের সঙ্গে দুর্ঘটনার কোনও সম্পর্ক নেই। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে মানুষের ভুলের জন্যই তারা দুর্ঘটনার শিকার হন। তাই সব সময় সতর্ক থাকতে হবে এবং রাস্তা যাওয়ার সময় বিড়াল অন্য কোনও প্রাণী রাস্তা পার হলে গাড়ী থামিয়ে অপেক্ষা করতে হবে।
এই সকল বিষয়ে খেয়াল রাখলেই রাস্তায় দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভবনা থাকবে না। তাই কুসংস্কার বা অন্ধবিশ্বাস না মেনে নিরীহ প্রাণীগুলির কথা ভাবতে হবে। আর গাড়ি চালানোর সময় নজর রাখতে হবে চারিদিকে। তাহলেই আর দুঘটনা ঘটবে না।