
সুশান্তের আত্মহত্যার পর থেকে বলিউড ইন্ডাস্ট্রির কালো দিক গুলির বিরুদ্ধে গর্জে উঠছে সকলেই। নেট দুনিয়ায় জোরালো হয়ে উঠেছে বলিউডের স্বজনপোষণের নীতি। ১৪ ই জুন নিজের বাড়িতেই আত্মহত্যা করেন বলিউড অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুত। ইতিমধ্যেই এই আত্মহত্যার তদন্তে লেগে আছে মুম্বাই পুলিশ। প্রাথমিকভাবে অভিনেতার এইরূপ সিদ্ধান্তের কারণ জানা গিয়েছিল ক্লিনিক্যাল ডিপ্রেশন বা মানসিক অবসাদ। কিন্তু এই মানসিক অবসাদের জন্য দায়ী বলিউডের স্বজনপোষণের ব্যবস্থা, এমনটাই মনে করেন নেটিজেন সহ বহু তারকারাও।
সুশান্ত সিং রাজপুতের আত্মহত্যা নিয়ে বিতর্ক বেড়েই চলেছে। বলিউডের অন্দরে স্বজনপোষণ, গুন্ডাগিরি, দাদাতন্ত্র এর মত মারাত্মক সব পাওয়ার গেম এর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠছে। কেঁপে গেছে বলিউডের সেলেব মহল। কার্যত বলিউড এখন দুটি শিবিরে বিভক্ত হয়েছে। সুশান্তের মৃত্যুর পরে মুখ খোলেন বলিউডের তাবড় তাবড় তারকারা। সোমবার মুখ খুলেছিলেন কঙ্গনা রানাওয়াত, শেখার কাপুর ও শেখর সুমন। পরে রবীনা ট্যান্ডন, অনুরাগ কাশ্যপ, অভিনব কাশ্যপ, বিবেক ওবেরয়, নিজেদের মত প্রকাশ করেন। বুধবারের সেই তালিকায় যোগ দেন ফারহান আখতার, প্রকাশ রাজ।
Half Girlfriend, the movie was about to star Sushant Singh Rajput but later Arjun Kapoor was launched replacing Sushant. https://t.co/lycCdSn6tl
— Kangana Ranaut (@Offical_Kangana) June 24, 2020
জানা যায়, এই স্বজনপোষণের জন্যেই ছয় মাসে ৭টি ছবি হাত ছাড়া হয়েছিল সুশান্তের। মুকেশ ভাট, করান জোহার, যশরাজ ও সালমান খানের মত বলিউডের বড় বড় প্রযোজনা সংস্থা থেকে ব্যান করে দেওয়া হয়েছিল সুশান্তকে। ফারহান আখতার তাঁর ইনস্টা একাউন্টে সুশান্তের উদ্দেশ্যেই কারোর নাম না নিয়েই বলিউডের নেপোটিজম নিয়ে বলেন। সুশান্তের মৃত্যুতে চুপ থাকতে পারলেন না দক্ষিণী অভিনেতা প্রকাশ রাজও।
#nepotism I have lived through this .. I have survived … my wounds are deeper than my flesh ..but this child #SushanthSinghRajput couldn’t.. will WE learn .. will WE really stand up and not let such dreams die .. #justasking pic.twitter.com/Q0ZInSBK6q
— Prakash Raj (@prakashraaj) June 15, 2020
সম্প্রতি সুশান্তের একটি ভিডিও ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়াতে, যেখানে তিনি বলিউডের এই স্বজনপোষণ নীতির বিরুদ্ধে মন্তব্য করেন। তার এই মন্তব্যকে স্বীকার ও করেন “দাবাং”, “সিংহাম” এর মত ছবির অভিনেতারা। নবীন তারকাদের এই কথার উত্তরে সেই সকল ছবির অভিনেতারা জানান, তারাও ভুক্তভোগী। তাই এখন এগুলো মজ্জার মত অভ্যাস হয়ে গেছে। সুশান্ত তা নিতে পারেনি, তাই তাকে চলে যেতে হল। সবাইকেই এক দিন না একদিন শিখে নিতে হয় এই নেপোটিজমের সঙ্গে আপোষ করে চলা। তবে যেভাবে সুশান্ত চলে গেলেন তাতে সময় এসেছে এর বিরুদ্ধে মুখ খোলার।
কিন্তু কবে থেকে শুরু হয় বলিউডে এই নেপোটিজম বা স্বজনপোষণের ব্যবস্থা? বলিউডের স্বজনপোষণ ব্যবস্থা নতুন কিছু নয় এর ইতিহাস বহু পুরনো। তবে সূত্রে জানা যায় এর রমরমা বৃদ্ধি পায় ২০১৮ তে। যখন ‘কফি উইথ করণ’ এর সিজন ৬ কে কেন্দ্র করে বিতর্কের আখড়া তৈরি হয়।
Kangana Ranaut is very deep person❤❤
My queen Kangana on Karan Johar 's blog in defence of his Nepotism.#KanganaRanaut #Kangana @KanganaTeam #Nepotism #nepotisminbollywood pic.twitter.com/0o8ME9t4Wm
— Puja Agarwal ( Justice for Sushant ) (@Beingrealbeing) June 15, 2020
যখন শোয়ের হট সিটে বসে করণ জোহারের মুখের উপর অভিযোগ তোলেন কঙ্গনা রানাওয়াত। তীক্ষ্ম ভাষায় বলিউডের স্বজনপোষণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানান কঙ্গনা। আর এই নেপোটিজম এর ধ্বজাধারী হল বলিউডের তাবড় তাবড় পরিচালকেরা তার মধ্যে অন্যতম করণ নিজে ও। সেদিন যদিও টিভির সামনে হাসিমুখে সেইসব অপমান গুলিকে গিলে নিয়েছিলেন করণ। তবে সেই অপমানের উত্তর ঠিক পরের বছরই আইফার অনুষ্ঠানে দেন করণ। সকলের সামনে কঙ্গনার ঠাট্টা ওড়ায় করণ, বরুণ ধাওয়ান ও সেফ আলি খান। ভরা মঞ্চে কঙ্গনাকে ‘ জবলেস’ বলে অভিহিত করেন করণ। অবশ্য কঙ্গনার কথায় সহমত প্রকাশ করেন বি টাউনে বাইরে থেকে আসা অভিনেতা ও অভিনেত্রীরা ও। তারাও দাবি করেন বছরে একটা ছবির জন্য সাত জোড়া পা চাটতে হয় তাদেরকে।
অবশ্য এই ‘স্বজনপোষণ’ শব্দটা ঢাকা পড়ে যায় কাল ক্রমে। আবার তা উঠে আসে সুশান্তের মৃত্যুর পর। যখন বিটাউন ইমরান খান ও ঋষি কাপুরের চলে যাবার শোক থেকে সামলাতে পারেনি, আবার নতুন করে স্বজনপোষণ নীতির বিরুদ্ধে বিতর্ক শুরু হয় বি টাউনে।
সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে সুশান্তের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করতে গিয়ে করণ জানান, তিনি একবছর ধরে সুশান্তের কোনো খবরই নেন নি। এটা তাঁর ভুল। এর ফলে তাঁর বিরুদ্ধে মঙ্গলবার প্রশ্ন তোলেন কোয়েনা। তাঁর দাবি করণ জোহার কি বলিউডের হর্তাকর্তা? তিনি খোজ নিলে পরেই সবাই ভালো থাকবে আর খোজ না নিলে সবাই ডিপ্রেশনে চলে যাবে। এটাই কি বলতে চাইছেন পরিচালক?
হয়তো এটাই বলতে চেয়েছিলেন করণ সঙ্গে চেষ্টাও করেছিলেন তার দোষ চাপা দেওয়ার। তাঁর শো এর আরেকটি সিজনে তিনি তার প্রিয় ছাত্রী আলিয়া ভাট কে দিয়ে সুশান্তের অপমান করিয়েছিলেন। আলিয়াকে যখন সেরা তিন নায়ক হিসেবে সুশান্ত রাজপুত, রানবির সিং এবং বরুণ ধবনের কথা বলা হয়, তিনি সঙ্গে সঙ্গেই ব্যঙ্গ করে পাল্টা প্রশ্ন করেন, “কে সুশান্ত সিংহ রাজপুত?”
এই প্রসঙ্গে কোয়েনা আরো বলেন, স্বজনপোষণ, গুন্ডাগিরি, পাওয়ার গেম, বলিউডের নতুন কিছু নয়। রীতিমতো এগুলো অভ্যাসে দাঁড়িয়ে গেছে। আর আর সেই পাক থেকে সুশান্ত কে বাঁচাতে কতজনই বা এগিয়ে আসবে? বলিউড কেবল তারকা সন্তানদেরকেই আপন করে অথবা কোনও বিশেষ ক্যাম্পে নিজের নাম লিখিয়েছে যে। সুশান্ত তো বাইরের লোক তাই বলিউডে মানিয়ে চলতে পারেননি কোনোদিন ও।
এই সকল কথার জেরেই গর্জে উঠেছে নেটিজেনরা। বলিউডে বড় বড় ব্যানার গুলিকে ব্যান করার দাবী তোলেন নেটিজেনরা। কঙ্গনার সহ অনেকেই সুশান্তের অকালমৃত্যুর জন্য বলিউডের স্বজনপোষণ নীতিকেই দায়ী করেছেন। নিজের ইনস্টাগ্রামে একটি দু মিনিটের ভিডিও পোস্ট করে তারই বিরুদ্ধে মন্তব্য করেন কঙ্গনা। তিনি বলেন, সুশান্তের মৃত্যু টা মেনে নেওয়ার নয়। আর এর মধ্যেই কেউ কেউ নিজের দোষ ঢাকার চেষ্টা করে উল্টো যুক্তি দিচ্ছেন। সুশান্ত কে মানসিকভাবে দুর্বল ব্যক্তি প্রমাণিত করার চেষ্টা চলছে, যার ফলে তিনি নাকি আত্মহত্যা করেছেন। কঙ্গনার মতে যে ছেলে স্ট্যানফোর্ডের স্কলারশিপ হোল্ডার, ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ট্রান্স পরীক্ষায় র্যাঙ্ক তুলেছিলেন, সেই ছেলে মানসিকভাবে দুর্বল কি করে হতে পারে? সুশান্তের মৃত্যুর সঙ্গে কি তার কোনো সংযোগ নেই?
পরিচালক শেখর কাপুর তার টুইটে সুশান্তের উদ্দেশে বলেন, তিনি জানেন আজকে কে বা কাদের জন্য সুশান্ত কে চলে যেতে হল। যা কিছু হয়েছে সুশান্তের কোনো দোষ ছিল না। কেবল করণ একা এই নোংরা পাওয়ার গেমের সঙ্গে যুক্ত নন।
আদিত্য চোপড়ার নাম ও শোনা যায়।
সূত্রের খবর ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে যশরাজ ফিল্মের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ ছিলেন সুশান্ত। যার কারণেই হাতছাড়া হয়েছিল সঞ্জয় লীলা ভন্সালীর ‘রামলীলা’। রামলীলায় সঞ্জয়ের প্রথম পছন্দ ছিল সুশান্ত কিন্তু তা পরে রানবির সিং এর কাছে চলে যায়। এরপরেও আদিত্য চোপড়ার ‘বেফিকরে’ ছবির মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করার জন্য প্রথম পছন্দ ছিল সুশান্ত। কিন্তু সেটিতেও সুশান্তকে ছাড়া হয়নি, আবার ও রানবির সিং এর কাছে চলে যায়। যশ রাজ ফিল্মস এর তরফ থেকে সুশান্তকে সান্ত্বনা পুরস্কার হিসেবে দেওয়া হয় ‘পানি’। যার পরিচালক ছিলেন শেখর কাপুর। রবিবার একটি পোস্টে সেই ছবির কথা উল্লেখ করেন শেখর। তিনি জানান ছবিটি শুরু হওয়ার বছর দুয়েক পরেই তা স্থগিত করে দেয় যশ রাজ ফিল্মস। স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনাগুলির পরে আদিত্যর সঙ্গে সুশান্তের মনোমালিন্য বাড়তে থাকে। অনেকের দাবি সেই কারণেই সুশান্ত কে এক ঘরে করে দিয়েছিল বলিউড। এমনকি গত দেড় বছরে তাকে কোন সেলিব্রেটি পার্টিতে আমন্ত্রণ করা হয়নি।
Manoj Bajpai On outsiders " It's Media who making much tougher for outsiders"
Please guys Respect every self made star like Kangana, Sidharth, Sushant who comes in this position by their own struggles they don't get the privileges that Nepo kid's get #Nepotism pic.twitter.com/lxNECw6h5s— ??????? ??????? (@Beastslayer__) June 15, 2020
নেপোটিজম এর বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন মনোজ বাজপেয়ীও। সরাসরি কাউকে আঘাত না করে একটি টিভি চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মনোজ বলেন অন্যান্য কর্মস্থান গুলির মত বলিউড ও নিরপেক্ষ নয়। কিন্তু এখন সময় এসেছে বলিউডের এই নোংরা বিষয়গুলিকে যাচাই করে দেখার।
‘সোনচিড়িয়া’ ছবিতে অভিনয় করার সময় সুশান্তের সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়ে উঠেছিল তার। নিজের বন্ধুর আচমকা চলে যাওয়ায় শোক প্রকাশ করেন তিনি। বলিউড কেবল একজন অভিনেতা নয় বরং একজন ভালো মানুষকে হারিয়েছে, বলেন মনোজ। সুশান্তের সমসাময়িক অন্যান্য অভিনেতার তুলনায় অনেক প্রতিভাবান ছিলেন সুশান্ত। তা সত্বেও বলিউড কোনদিন তাঁর মূল্য দিতে পারেনি। আজকে সুশান্তের চলে যাওয়ার পর সময় এসেছে বলিউডের এই কালো দিকটি সকলেই কাছে তুলে ধরার।
It’s no secret Sushant was going through very tough times for the last few years. No one in the industry stood up for him nor did they lend a helping hand. To tweet today is the biggest display of how shallow the industry really is. No one here is your friend. RIP ✨ pic.twitter.com/923qAM5DkD
— ?????? ?? ???? (@sapnabhavnani) June 14, 2020
নেট দুনিয়ায় বেশিরভাগ লোকই সুশান্ত এর মৃত্যুর জন্য নেপোটিজম কে দায়ী করলেও, নেটিজেনদের একটি বড় অংশ অভিনেতার মানসিক অবসাদ কেই প্রাধান্য দিয়েছে। তাদের দাবি ডিপ্রেশনের দরুনই সুশান্ত এইরূপ সিদ্ধান্তে নিতে বাধ্য হন। তিনি ক্লিনিক্যাল ডিপ্রেশন এ ভুগছিলেন বহুদিন ধরে। মৃত্যুর কয়েক দিন আগে থেকে ওষুধ খাওয়া ছেড়ে দিয়েছিলেন তিনি।
আবার অনেকে এই যুক্তির পাল্টা প্রশ্ন তোলেন কি করে এক ব্যক্তি যিনি “ছিছোড়া” ছবিতে আত্মহত্যার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছিলেন, কে কি করে এত বড় সিদ্ধান্ত নেন? ইতিমধ্যেই অভিযোগ দায় করা হয়েছে সলমান খান, করণ জোহার, আদিত্য চোপড়া, একতা কাপুরের বিরুদ্ধে।
সুশান্ত কোনদিনও ফেমের পিছনে দৌড়াননি। তিনি জানতেন সুখী থাকার মন্ত্র প্রচুর অর্থ এবং প্রচুর খ্যাতি নয়। তিনি কোনদিন ওই এই ইঁদুরের দৌড় পেশাগত শত্রুতা পছন্দ করেননি। কেবল অভিনয় করতে চেয়েছিলেন। বলিউডে অভিনয় করতে গেলে দরকার মাথার উপরে “গডফাদারের” হাত। জানা যায়, করণ জোহরের প্রযোজনায় সুশান্ত অভিনীত ছবিটি নেটফ্লিক্সে মুক্তি পেয়েছিল তারই অজান্তে। এর ফলে অসন্তোষ সৃষ্টি হয় করণ জহার ও সুশান্তের মাঝে। বলিউডে টিকে থাকার লড়াই একাই লড়তে হয়েছিল সুশান্তকে।
বড় বাজেটের ছবি পাওয়া বড় ব্যানারের চোখের মণি হাওয়ার মতো সুযোগ সুশান্তের খুবই কম হয়েছিল। কেবল প্রতিভার জোরে বলিউডে নিজের নাম খোদাই করেছিলেন সুশান্ত। তবে তা নিয়ে আফসোস করেননি কোনদিনও তার কাছে তার দর্শকই ছিল আসল গডফাদার। তা দর্শকদের নিজের ছবি দেখার জন্য অনুরোধ করেন তিনি, ‘‘আমার ছবি না দেখলে ওরা আমাকে তাড়িয়ে দেবে। আপনারাই তো আমার গডফাদার’।
সম্প্রতি, সুশান্তের ভাই এবং বিজেপি বিধায়ক নীরজ এই সকল বিষয়ে জানান, বলিউডের অন্দরমহল থেকে ইদানিং প্রায়ই হুমকির ফোন আসছিলো সুশান্তের কাছে। সেই দিকে তদন্ত করলে আরো অনেকের নামই উঠে আসবে। এরাই কোণঠাসা করে দিয়েছিল সুশান্তকে। তিনি আরো জানান ইন্ডাস্ট্রির অনেকেই সুশান্তের এই উন্নতিতে হিংসা করত। সময় মত সবার পর্দা ফাঁস করবেন তিনি। আপাতত মহারাষ্ট্র প্রশাসনের কাছে আবেদন করেন সুবিচারের জন্য। ইতিমধ্যে রাজ্যের গৃহমন্ত্রী অনিল দেশমুখ টুইটে আত্মহত্যার পাশাপাশি পেশাগত শত্রুতার দিকটিও খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছেন।
তবে যাদের বিরুদ্ধে এই নেপোটিজম এর অভিযোগ, সেই সালমান খান, করণ জহার, একটা কাপুরের পক্ষে বলেন পরিচালক রামগোপাল বর্মা। একটি টুইটে ব্যঙ্গ করে বলেন, সবাই সুশান্ত সিং রাজপুত এর মৃত্যুর জন্য স্বজনপোষণ কে দায়ী করছে। সবাই বলছে তিনি কোনদিনও নাকি বলিউডে আপন হয়ে উঠতে পারেননি। সেটিই তাঁর অবসাদের কারণ হয় ওঠে। তিনি বলেন, যারা এই সকল কথা বলছে তাদের মনে রাখা উচিত পরিযায়ী শ্রমিকের এক বড় অংশ কাজ হারিয়ে অন্য রাজ্যে রয়েছে। যেখানে তারা কাজ করেন সেখানকার তথাকথিত ‘আপনজন’ কিন্তু তারা নয়। তাহলে তো সেই সকল শ্রমিকদের রোজ মরা উচিত!
বলিউডের এই সকল অন্ধকারময় দিক গুলি সুশান্ত মৃত্যুর পর বেস স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। কিন্তু বলিউডই কেবল স্বজনপোষণ নীতির বাহক ও পোষক? আর যারা সুশান্তের মৃত্যুর পিছনে দায়ী তারা কি আদো পাবে শাস্তি? এই সকল প্রশ্নের উত্তর এখনও ধোয়াশা।