পঞ্চম দফার লকডাউনে যা যা বন্ধ থাকছে, রইলো তালিকা

চতুর্থ দফার লকডাউন শেষ হচ্ছে আগামীকাল অর্থাৎ ৩১ শে মে। তবে তার আগেই শনিবার লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানোর ঘোষণা করল কেন্দ্র সরকার। পঞ্চম দফার লকডাউন চলবে আগামী ৩০ শে জুন পর্যন্ত।

অর্থাৎ লকডাউনের মেয়াদ বাড়ল আরও এক মাস। তবে পঞ্চম দফার এই লকডাউনে বন্ধ থাকছে না সবকিছু। বরং ধাপে ধাপে তালা খোলা হচ্ছে। যে কারণে এই লকডাউনের নাম দেওয়া হয়েছে ফেজ রিওপেনিং (আনলক ওয়ান)।

পঞ্চম দফার লকডাউনে যা যা খোলা থাকবে

পঞ্চম দফার এই লকডাউনে আগামী ৮ই জুন থেকে খুলবে সমস্ত রকম রেস্তোরাঁ, শপিংমল, ধর্মীয় স্থান। তবে এগুলি খুলবে কনটেইনমেন্ট জোন বাদ দিয়ে বাকি এলাকায়। তবে অনেকের মতে, কলকাতা ও হাওড়ায় সমস্ত হোটেল-রেস্তোরাঁ বা শপিং কমপ্লেক্স খোলা মুশকিল। কারণ কলকাতায় এখনও ২৮৬টি কনটেইনমেন্ট জোন রয়েছে এবং হাওড়াতে কনটেইনমেন্ট জোনের সংখ্যা ৭৬টি। ফলে ওই সব এলাকায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের নির্দেশ অনুসারে কনটেইনমেন্ট জোনগুলিতে জরুরি পরিষেবা ছাড়া কিছুই শুরু করা যাবে না।

কনটেইনমেন্ট জোনের ক্ষেত্রে যেমন নিষেধাজ্ঞা ছিল তেমনটাই বজায় থাকবে। তবে এগুলি খোলার আগে স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর ঘোষণা করবে স্বাস্থ্যমন্ত্রক।

দ্বিতীয় ধাপে অগ্রাধিকার হিসেবে খোলা হতে পারে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়। তবে এই বিষয়ে জুলাই মাসে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এগুলি খোলার আগে প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ ও অভিভাবকদের সাথে আলোচনা করে মতামত গ্রহণ করা হবে।

এছাড়াও এই লকডাউনে আন্তঃরাজ্য যাতায়াতের ক্ষেত্রে কোনো রকম বাধা থাকছে না। এই লকডাউনে এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে যাওয়ার ক্ষেত্রে নতুন করে আর কোন অনুমতি নেওয়ার প্রয়োজন নেই। তবে কোন রাজ্য যদি তাদের রাজ্যের বাসিন্দাদের কথা মাথায় রেখে এই নিয়মের ক্ষেত্রে কড়াকড়ি আনতে চায় তাহলে তারা আনতে পারে।

পঞ্চম দফার লকডাউনে যা যা বন্ধ থাকবে

আর এই পঞ্চম দফার লকডাউন বন্ধ থাকবে হাতেগোনা কয়েকটি মাত্র পরিষেবা। যেগুলি হলো আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবা, সিনেমা হল, মেট্রো রেল, থিয়েটার, বার, বিনোদন পার্ক, অডিটোরিয়াম, ধর্মীয় অথবা রাজনৈতিক যেকোনো বড় জমায়েত।

night-curfew-outside-containment-zones-to-remain-but-for-lesser-duration

এছাড়াও এই লকডাউনে বজায় থাকছে নাইট কারফিউ। তবে নাইট কারফিউ সময় পরিবর্তন করা হয়েছে। পঞ্চম দফার লকডাউনে নাইট কারফিউ চলবে রাত্রি ৯টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত। কন্টেইনমেন্ট জোনের মধ্যে জরুরি পরিষেবা ছাড়া আর কিছু খোলা থাকবে না। কন্টেইনমেন্ট জোন কোনগুলি, তার পরিধি কতটা, তা রাজ্য সরকার ও স্থানীয় প্রশাসনকে পরিষ্কার ভাবে চিহ্নিত করতে হবে। সেখানে কঠোরভাবে লকডাউন মানতে হবে।