এবারের ভোটে তুরুপের তাস ভিভিপ্যাট! ভিভিপ্যাট কী? এটি কীভাবে কাজ করে?

লোকসভা ভোটের দামামা বেজে গিয়েছে৷ এই প্রথম সাত দফায় লোকসভার ভোটগ্রহণ হতে চলছে পশিমবঙ্গে। সাত দফায় সংগঠিত হবে সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচন। তবে শাষক হোক বা বিরোধী ইভিএম নিয়ে চাপানউতোরের শেষ নেই।
নির্বাচন কমিশন ঘোষণা করে দিয়েছে প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে ইভিএম মেশিনের পাশেই থাকবে ভিভিপ্যাট। সাধারণ ভোটারদের ক্ষেত্রে এই ভিভিপ্যাটের গুরুত্ব কিন্তু অপরিসীম। কিন্তু, আপনি কী জানেন এই ভিভিপ্যাট আসলে কী? আসুন জেনে নিই ভিভিপ্যাটের খুঁটিনাটি।

২০০১ সালে নিউ ইয়র্কে প্রথম এই পদ্ধতিতে ভোট গ্রহণ হয়। এর ফলে বুথের প্রিসাইডিং অফিসার ভোটের শেষে মিলিয়ে নিতে পারবেন, ক’টা প্রকৃত ভোট হয়েছে আর ক’টা ভোট জমা পড়েনি। এতে অনেক ক্ষেত্রেই পুনর্নির্বাচন এড়িয়ে যাওয়া যায়।

গত কয়েকটি ভোটে পরীক্ষামূলক ভাবে চালু হয়েছিল ‘ভোটার ভেরিফায়েড পেপার অডিট ট্রেইলিং’ বা ভিভিপ্যাট। কিন্তু সব ইভিএম-এ ছিল না ভিভিপ্যাট। সার্বিক ভাবে লোকসভা ভোটে সব ইভিএম-এ ভিভিপ্যাট ব্যবহার হচ্ছে এই প্রথম। মূলত ভোটযন্ত্রে কারচুপি বা তা ঠিকমতো কাজ করছে কি না তা সহজেই ধরা যাবে এটির মাধ্যমে, বলা হচ্ছে এমনটাই।

সঠিক ব্যক্তির ভোটদান নিশ্চিত করে এই ভিভিপ্যাট। এটিতে একটি প্রিন্টার থাকে, যেটি ভোটারদের মনোনীত প্রার্থীদের রেকর্ড রাখে। ডিসপ্লে ইউনিট দেখায় কোনও ভুল হয়েছে কি না। এ ছাড়াও ভিভিপ্যাটে প্রার্থীর সিরিয়াল নম্বর, নাম, সংশ্লিষ্ট প্রতীক থাকে।

কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, ইভিএম যন্ত্রের পাশেই থাকবে এই ভিভিপ্যাট যন্ত্রটি। ভোট দিতে নির্দিষ্ট জায়গায় বোতামে চাপ দেওয়ার পরেই লাল আলো জ্বলে উঠবে। একটি ‘বিপ’ শব্দও শুনতে পাবেন ভোটার। এর পরেই ভোটার যে প্রার্থীকে ভোট দিয়েছেন, সেই প্রার্থীর নাম, ক্রমিক সংখ্যা ও প্রতীক ভিভিপ্যাটের ব্যালট স্লিপে ছাপানো অক্ষরে দেখা যাবে।

আরও পড়ুন : আপনার পছন্দের টিভি চ্যানেল বাছবেন কীভাবে?

এই অবস্থায় ৭ সেকেন্ড পর্যন্ত তা দেখতে পাবেন ভোটার। তার পরে সেই তথ্য-সম্বলিত স্লিপ মুদ্রণ-যন্ত্রের ড্রপবক্সে পড়ে যাবে। যদি ভিভিপ্যাট ঠিক ভাবে কাজ না করে অথবা ইভিএমের লাল আলো না জ্বলে, কিংবা আওয়াজ না হয়, তা হলে প্রিসাইডিং অফিসারের কাছে অভিযোগ জানাতে পারবেন ভোটাররা।প্রসঙ্গত উল্লেখ্য গোয়া নির্বাচনেও তা ব্যবহার করা হয়েছিল।