
কোরোনা ভাইরাস সংক্রমণের জেরে ২৩ মার্চ থেকে দেশ জুড়ে দফায় দফায় লক ডাউন শুরু হয়। গত ১৫ এপ্রিল থেকে দেশ জুড়ে শুরু হয় দ্বিতীয় দফার লক ডাউন যা আগামী ৩ রা মে পর্যন্ত চলার কথা ছিল। শুক্রবার অর্থাত্ আজ একটি প্রেস রিলিজে মাধ্যমে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে জানানো হয় যে এই লক ডাউন এর মেয়াদ ৩ রা মে র বদলে আগামী ১৭ মে পর্যন্ত বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্রীয় সরকার।
তবে তার সাথে এই জানানো হয়েছে যে লক ডাউনের মেয়াদ বাড়ার সাথে সাথে বেশ কিছু বিষয় ছাড় দাওয়া হবে। তবে যে অঞ্চলগুলো রেড জোন এরিয়া, সেখানে লক ডাউনে কড়াকড়ি চলবে। অন্যদিকে অরেঞ্জ জোন এবং গ্রীন জোন ( যেসব অঞ্চলে বিগত ২১ দিন কোনো সংক্রমণের খবর নেই) এরিয়া গুলিতে লক ডাউন শিথিল হবে এবং বেশ কিছু বিষয় ছাড় দাওয়া হবে। কোন অঞ্চলে কি কি বিষয় কেমন পরিষেবা থাকবে সেই বিষয় গাইডলাইন প্রকাশ করা হয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফ থেকে।
কোনো জেলার চিকিৎসাধীন কোরোনা আক্রান্তের সংখ্যা, আক্রান্তের সংখ্যা দ্বিগুণ হওয়ার সময়সীমা, টেস্টিংয়ের পরিমাণ এবং নজরদারি থেকে আসা রিপোর্ট এর ওপর ভিত্তি করে ঠিক করা হবে কোন জেলা কোন জোন এর আওতায় পড়ছে। কেন্দ্রর তরফ থেকে এও জানানো হয়েছে যে রেড, অরেঞ্জ ও গ্রীন জোন এর বিষয় প্রতি সপ্তাহেই রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলগুলির সাথে আলোচনা করবে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক।এক্ষেত্রে রাজ্যের সিদ্ধান্তের ওপর গুরুত্ব দাওয়া হবে।
কেন্দ্র যে অঞ্চলগুলোকে রেড ও অরেঞ্জ জোন বলে চিহ্নিত করেছে তা কমাতে পারবে না রাজ্য। অবস্থার অবনতি মনে হলে রাজ্যের কথার ওপর ভিত্তি করে রেড বা অরেঞ্জ জোনের সংখ্যা বাড়ানো যেতে পারে। যে যেসকল জেলায় একাধিক পৌরসভা এলাকা আছে সেখানে যেহেতু জন ঘনত্ব বেশী হওয়ায় সংক্রমণের সম্ভাবনা বেশী থাকে তাই সেইসকল এলাকায় রাজ্য চাইলে এলাকাগুলোকে দুটি ভাগে ভাগ করতে পারে।
একটি অংশ হবে পৌরসভা এলাকার ভিতরের অংশ এবং অপরটি হবে পৌরসভা এলাকার বাইরের অংশ।সম্পূর্ণ জেলাকে এক ধরে যদি জেলাটি রেড জোনের আওতায় পড়ে এবং দুই ভাগে ভাগ করার পর যদি দেখা যায় বাইরের এলাকায় ২১ দিন কোনো সংক্রমণের খবর আসেনি তবে সেটাকে অরেঞ্জ জোন বলে ঘোষণা করা যাবে এবং সেখানে বেশ কিছু পরিষেবার ক্ষেত্রে ছাড় দাওয়া যাবে।
আরও পড়ুন :- কমে গেল রান্নার গ্যাসের দাম, জেনে নিন সিলিন্ডার পিছু নতুন দাম
প্রতিটি রাজ্যের বিভিন্ন জেলাগুলিতে যেসকল অঞ্চলগুলো কন্টেইনমেন্ট জোনের আওতায় পড়ে সেখানে যাতে কড়া ভাবে লক ডাউন পালন করা হয় সেইদিকে নজর রাখতে হবে। সেখানকার স্থানীয় বাসিন্দাদের কড়া ভাবে লক ডাউন পালন করতে হবে।কন্টেনমেন্ট এলাকাতে বসবাসকারী প্রতিটি ব্যাক্তির ফোনে যাতে কেন্দ্রীয় সরকারের আরোগ্য সেতু অ্যাপলিকেশন ইনস্টল করা থাকে সেই বিষয় নজর দেবে স্থানীয় প্রশাসন।
Ministry of Home Affairs issues order under the Disaster Management Act, 2005 to further extend the Lockdown for a further period of two weeks beyond May 4: MHA pic.twitter.com/Cw4bkdMTFU
— ANI (@ANI) May 1, 2020
পরিস্থিতি ঠিক রাখার জন্য গাইডলাইনে বলা হয়েছে যে জরুরি কাজ ছাড়া সন্ধ্যা ৭টা থেকে সকাল ৭টা পর্যন্ত যেন কোনো মানুষ রাস্তায় না বের হন। এই বিষয়টির দায়িত্ব স্থানীয় প্রশাসনের ওপর ন্যস্ত। স্থানীয় প্রশাসন প্রয়োজনে সেই সময় কার্ফু জারি করতে পারে।
আরও পড়ুন :- সোমবার থেকে কোন দোকান খুলছে আর কোন দোকান বন্ধ
৬৫ ঊর্ধ্ব বয়সের ব্যাক্তি, ১০ বছরের কম বয়সী শিশু এবং গর্ভবতী মহিলাদের দিকে বিশেষ নজর রাখতে বলা হয়েছে। তবে বেশ কিছু পরিষেবা বন্ধই থাকবে দেশজুড়ে। এর মধ্যে পড়ে বিমান, ট্রেন, মেট্রো চলাচল, এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে যাওয়ার পরিবহন ইত্যাদি।