
দীর্ঘ প্রায় ৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে বলিউড (Bollywood) ইন্ডাস্ট্রিতে অভিনয় করছেন অমিতাভ বচ্চন (Amitabh Bachchan)। তার সাফল্যের ঝুলিতে অসংখ্য হিট ছবি রয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম কাল্ট ক্লাসিক ছবি ছিল সূর্যবংশম (Sooryavansham)। এই ছবির জনপ্রিয়তা আজও অটুট রয়েছে। ১৯৯৯ সালে মুক্তি পেয়েছিল ছবিটি। সেই সময় তো বটেই, ‘সূর্যবংশম’ আজও দর্শকদের মধ্যে হিট।
ছবিতে অমিতাভ বচ্চনের দ্বৈত চরিত্র ছিল। সেইসঙ্গে টলিউড অভিনেত্রী রচনা ব্যানার্জীও ছিলেন। ছবি প্রত্যেকটি চরিত্র আইকনিক হয়ে গিয়েছে এতদিনে। হীরা ঠাকুর কিংবা তার বাবা ঠাকুর ভানু প্রতাপের চরিত্র দুটিকে ভোলা সম্ভব নয়। এই দুই চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন অমিতাভ বচ্চন। আর ছোট্ট ভানু প্রতাপের চরিত্রে ছিলেন একজন শিশু অভিনেতা যার নাম আনন্দ বর্ধন (Anand Vardhan)।
প্রায় ২৪ বছর আগের সেই ছোট্ট শিশুটি আজ আর ছোট নেই। এখন তার বয়স ৩০ এর কাছাকাছি। আনন্দবর্ধন ছোট ভানু প্রতাপের চরিত্রে দারুণ অভিনয় করেছিলেন সেই সময়। এরপরেও তিনি কিছু ছবিতে অভিনয় করেন। তবে গত ১২ বছর ধরে তাকে আর ইন্ডাস্ট্রিতে দেখা যায়নি। ১২ বছর পর তিনি আবার ফিরেছেন তবে বলিউড নয়, তেলেগু ইন্ডাস্ট্রিতে।
১৯৯৭ সালের মুক্তিপ্রাপ্ত ‘প্রিয়ারাগালু’ ছবিতে শিশু শিল্পী হিসেবে অভিনয় করেছিলেন আনন্দ। এভাবেই শুরু হয়েছিল তার কেরিয়ার। এই ছবির জন্য ১৯৯৭ সালে শ্রেষ্ঠ শিশু অভিনেতার পুরস্কার জিতেছিলেন তিনি। এরপর তার কাছে অমিতাভ বচ্চনের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ আছে। তিনি তার জীবনে প্রায় ২০ টিরও বেশি ছবিতে শিশু শিল্পী হিসেবে অভিনয় করেন।
কিন্তু এরপর তিনি নিজেকে বড় পর্দার নায়ক হিসেবে তৈরি করতে থাকেন। যে কারণে ১২ বছর তিনি ইন্ডাস্ট্রিতে মুখ দেখাননি। ১২ বছর পর তিনি যখন ফিরলেন তখন তাকে আর চেনাই যাচ্ছে না। অবশ্য সোশ্যাল মিডিয়াতে বেশ একটিভ থাকেন আনন্দ। প্রায় সময় তার বিভিন্ন ছবি এবং ভিডিও ভাইরাল হতে থাকে।
দর্শকরা অপেক্ষা করছেন আনন্দকে কবে আবার বড় পর্দায় দেখা যাবে সেই দিনটার জন্য। অনেকেই তার বলিউডে অভিষেক হওয়ার অপেক্ষায় দিন গুনছেন। তবে আনন্দ আপাতত বলিউডে আসছেন সেরকম কোনও সম্ভাবনা তৈরি হয়নি। তিনি এখন তেলেগু ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করছেন।