বাংলা টেলিভিশন (Bengali Telivision) ইন্ডাস্ট্রিতে সব্যসাচী চৌধুরীর (Sabyasachi Chowdhury) বেশ সুনাম রয়েছে। শুধু একজন অভিনেতা হিসেবে নয়, একজন ভালো মনের মানুষ হিসেবেও ভক্তদের কাছে পরিচিত সব্যসাচী। শেষবার তাকে পর্দায় দেখা গিয়েছিল ‘মহাপীঠ তারাপীঠে’ (Mahapith Tarapith)। তারা মায়ের সন্তান হিসেবে তার প্রতি দর্শকরা ভালোবাসা উজাড় করেই দিয়েছিলেন।
সাধক বামাক্ষ্যাপা চরিত্রটিতে তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে অভিনয় করেছিলেন সব্যসাচী। তবে বাংলা ইন্ডাস্ট্রিতে এটাই তার প্রথম কাজ ছিল না। এর আগেও তিনি একাধিক ধারাবাহিককে অভিনয় করেছিলেন এবং অদ্ভুতভাবে বেশিরভাগটাই ছিল পৌরাণিক কিংবা রূপকথার গল্প আশ্রয়ী ধারাবাহিক।
সব্যসাচী চৌধুরীর অভিনয় কেরিয়ার শুরু হয়েছিল ‘এসো মা লক্ষ্মী’ ধারাবাহিকের হাত ধরে। তখন থেকেই দর্শকদের সঙ্গে তার পরিচয়। প্রথম ধারাবাহিকেই নজর কেড়েছিলেন তিনি। তাই পরবর্তী দিনে তার হাতে ছিল পরপর কাজের সুযোগ।
‘অগ্নি জল’, ‘ভক্তের ভগবান শ্রীকৃষ্ণ’, ‘সাত ভাই চম্পা’, ‘ঝুমুর’ এর মতো একের পর এক ধারাবাহিকে অভিনয় করে প্রশংসা পেয়েছিলেন সব্যসাচী। তবে তাকে তুমুল জনপ্রিয়তা এনে দিয়েছিল ‘সাধক বামাক্ষ্যাপা’ চরিত্রটি। এই চরিত্রের দৌলতে বাংলার ঘরে ঘরে পৌঁছে যান তিনি। একটা সময় তার কাঁধে ভর দিয়েই স্টার জলসা ঘুরে দাঁড়িয়েছিল।
আজ বাস্তব জীবনে অনেকেই তাকে ভগবানের মতো শ্রদ্ধা করেন। তা শুধুই তার অভিনয় দেখে নয়, তার মত ভাল মনের মানুষ আজকের দিনে দেখাও দুষ্কর। তিনি তার ক্যান্সার আক্রান্ত প্রেমিকা ঐন্দ্রিলা শর্মার পাশে সবসময় যেভাবে থেকেছেন তা সত্যিই প্রশংসনীয়।
অভিনেত্রী তথা সব্যসাচীর প্রেমিকা ঐন্দ্রিলা শর্মা বিগত কয়েক বছর ধরেই ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াই করছেন। তার এই জার্নিতে সব্যসাচী সবসময়ই তাকে সঙ্গ দিয়েছেন। তার পাশে থেকেছেন বন্ধুর মত।