‘মোহর’ ধারাবাহিকের ‘শ্রেষ্ঠা’। অথবা ‘শ্রীময়ী’ ধারাবাহিকের ‘কেয়া’কে আপনি নিশ্চয়ই চেনেন। প্রতিদিন আপনার ড্রইংরুমে দেখেন তাঁকে। এই দুই চরিত্রই করছেন অভিনেত্রী মধুরিমা বসাক (Madhurima Basak)। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই নেগেটিভ রোলে দেখা গেছে তাকে। কিন্তু আর নেগেটিভ চরিত্রে অভিনয় করতে চান না তিনি।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী জানিয়েছেন, ইন্ডাস্ট্রির একটি অংশের যুক্তি ছিল, যাদের ফিগার শার্প, তাদের নেগেটিভ রোলেই মানায়। নেগেটিভ চরিত্রের জন্য অভিনেত্রীকে হতে হবে গ্ল্যামারাস এবং পজিটিভ চরিত্রের জন্য হতে হবে পাশের বাড়ির মেয়েটি – এরকম ধারনা আছে ইন্ডাস্ট্রি বেশ কিছু লোকের।
তাকে যেহেতু একটু অন্য রকম দেখতে তাই জন্য নেগেটিভ চরিত্রই অফার করা হয় তাকে। তবে প্রথমটা কিন্তু ওঝা প্রোডাকশনের সাথে পজিটিভ রোলে কাজ করেই শুরু হয়েছিল তার। ধারাবাহিকের নাম ছিল ‘রাঙা মাথায় চিরুণি’।
অভিনেত্রী জানান, ব্যক্তিগতভাবে বিষয়টি নিয়ে বিরক্ত তিনি নিজেও। অনেকে বলে নেগেটিভ অনেক বেশি চ্যালেঞ্জিং, কিন্তু তার মনে হয় ঘুরে ফিরে ব্যাপারটা অনেকটা একই রকম। তফাৎ এই যে, কোন চরিত্রে তিনি ইঞ্জিনিয়ার এবং কোন চরিত্রের প্রফেসর।
ম্যানারিজম এই সামান্য পার্থক্য টুকুই আছে শুধু। এবার অন্য কিছু করতে ইচ্ছে করছে তারও। তিনি জানান, দর্শকদের কাছ থেকেও থাকে শুনতে হয়, কেন এই চরিত্রটা করছেন তিনি?
তবে অভিনয়ে আসা তার একদমই হঠাৎ করে। ভালো হাইট থাকার কারণে তাকে মডেলিংয়ের জন্য বলতেন অনেকেই। কিন্তু মডেলিং এর তুলনায় অভিনয়ের দিকে বেশি ন্যাক ছিল নবদ্বীপের মেয়ে মধুরিমার।
কলকাতায় এসে বাগবাজার উইমেন্স থেকে ভূগোলের স্নাতক করার পর যখন তিনি অভিনয়ে আসেন তখন অবশ্য বিশেষ কিছুই পারতেন না তিনি। কাজ করতে করতেই কাজ শিখেছেন বলে জানান অভিনেত্রী।
ইন্ডাস্ট্রিতে এসে অনেক অভিনেত্রীই কাস্টিং কাউচ এর মুখোমুখি হতে হয়েছে। এই প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে অভিনেত্রী জানান, এখনও পর্যন্ত তথাকথিত কাস্টিং কাউচের মুখোমুখি হতে হয়নি, তবে তিনি এও বলেন ইন্ডাস্ট্রিতে থাকলে একটু গা বাঁচিয়ে চলাই শ্রেয়।