৯০ এর দশকের হাতে গোনা কিছু বাংলা ছবিতে নায়কের ভূমিকায় পাওয়া গিয়েছে যীশু সেনগুপ্তকে (Jishu Sengupta)। তবে যীশু সেনগুপ্ত এই প্রজন্মের কাছে হয়ে উঠেছেন অত্যন্ত জনপ্রিয় অভিনেতা। শুধু বাংলাতেই সীমাবদ্ধ থাকেননি তিনি, তার খ্যাতি ছড়িয়ে পড়েছে গোটা ভারতবর্ষে। টলিউডের পাশাপাশি বলিউড এবং সাউথ ইন্ডিয়ান ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতেও চুটিয়ে কাজ করছেন যীশু। বাবার থেকে অভিনয়ের এই গুণ জন্মসূত্রেই পেয়েছেন তার মেয়ে সারা সেনগুপ্ত (Sara Sengupta)।
যীশু সেনগুপ্ত এবং নীলাঞ্জনা শর্মার বড় মেয়ে হলেন সারা। তার জন্ম হয়েছিল ২০০৫ সালে। প্রথম সন্তান, কাজেই বাবা-মায়ের খুবই আদরের সারা। তার একটি বোনও রয়েছে, যীশু-নীলাঞ্জনার ছোট মেয়ের নাম জারা সেনগুপ্ত। বাবা এবং দিদির মত ছোট্ট জারাও এতটুকু বয়সেই অভিনয়ে অভিষেক ঘটিয়ে ফেলেছে। সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের ‘উমা’ ছবিতে মুখ্য চরিত্রে সারা এবং একটি ছোট্ট চরিত্রে অভিনয় করেছে জারা।
যীশুর বড় মেয়ে সারা এখন গোটা টলিউডের চোখের মণি। বাবা এবং মাকে দেখেই অভিনয় আসার ইচ্ছে তার মনে প্রবল হয়। বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই বাড়তে থাকে অভিনয়ের ক্ষিধে। সৃজিত মুখার্জির হাত ধরে এই মেয়ে তারই ছবিতে অভিনয় করে পা রেখেছে টলিউডে। তখন তার বয়স ছিল মাত্র ১৩। কিশোরী সারা এরই মধ্যে দর্শকদেরও মন জিতে নিয়েছে।
যীশু এবং সারার অফস্ক্রীন সম্পর্কের রসায়ন ধরা পড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায়। বাবা-মেয়ের মিষ্টি সম্পর্ক দেখলে ভরে ওঠে নেটিজেনদের মন। সেই ছোট্ট সারা এখন ১৭ বছরের কিশোরী। টলিউডের হ্যান্ডসাম অভিনেতা যীশুর কন্যা দিনে দিনে আরও সুন্দরী হয়ে উঠছে। সেই সঙ্গে তিনি খুব ভাল মনেরও মানুষ। বাবা মায়ের অনুপ্রেরণায় সে কমিউনিটি ওয়েলফেয়ার অ্যাক্টিভিটির সঙ্গেও যুক্ত।
অভিনয়, সোশ্যাল সার্ভিসের পাশাপাশি পড়াশোনা এবং স্পোর্টসেও বেশ ভাল সারা। সেই সঙ্গে নাচের প্রতিও তার আগ্রহ আছে। ছোট বয়সে ব্যালে শিখত সারা। তার পর ভরতনাট্যম, স্কেটিং, টেনিস সবই শিখেছে আগ্রহ নিয়ে। সারার বাবা যীশু সেনগুপ্তও ছিলেন একজন উচ্চমানের ক্রিকেটার। তাই স্পোর্টসের প্রতিও সারার বেশ আগ্রহ।
সারা পথ পশুদের নিয়েও কাজ করছেন। পথের সারমেয় যারা খেতে পায় না কিংবা অসুস্থতায় ভুগছে তাদের সুস্থ করে তোলেন তিনি। আপাতত পড়াশোনার দিকে মন দিলেও ভবিষ্যতে তিনি যে নিঃসন্দেহে টলিউডের নায়িকা হতে চলেছেন সেই বিষয়ে দর্শকদের কোনও সন্দেহ নেই। এত গুণী মেয়েকে নিয়ে গর্বিত অভিনেতা যীশু সেনগুপ্ত।
