বাংলায় রীতি মেনে সরস্বতী পূজার পরের দিন ষষ্ঠী পুজো হয়। পঞ্চমীর তিথি কেটে যাওয়ার পর ঘরে ঘরে পালন করা হয় শীতল ষষ্টি। বাড়ির শীল ও নোড়াকে এদিন পুজো করা হয়। সেইসঙ্গে বাড়ির সকলে মিলে উপভোগ করা হয় গোটা সেদ্ধ। এই শীতল ষষ্টিতে মা-বোনেরা সন্তান ও সংসারের মঙ্গল কামনায় ব্রত করেন।
সেই ব্রত ভঙ্গন করেন এই গোটা সেদ্ধ খেয়ে। এই দিন বাঙলার ঘরে ঘরে অরন্ধন পালন করা হয়, সেই জন্য আগের দিন থেকেই এই গোটা সেদ্ধ রান্না করে রেখে দেওয়ার নিয়ম আছে। এই গোটা সেদ্ধ অত্যন্ত সহজপাচ্য। এটি শুধু এই দিনের জন্য নয়, যে কোন সময়ের জন্য এটি পুষ্টিকর খাদ্য।
এদিন কিন্তু প্রথামত সকাল থেকে আগুন জ্বলবে না। আগুনের এদিন ছুটি। গোটা সেদ্ধ, কারণ হাঁড়িতে যা পড়ে তার সবই থাকে গোটা গোটা। সরস্বতী পুজোর পর দিন সকালে তিথিগতভাবে ষষ্ঠী থাকতে থাকতে হয় ষষ্ঠীপুজো। তারপর হয় বাড়ির শীল, নোড়ার পুজো। ফুল, প্রসাদ দিয়ে শীল-নোড়ার পুজো দিয়ে দইয়ের ফোঁটা দেওয়া হয় শীল-নোড়ার গায়ে। অনেকটা অরন্ধনের মত এই পার্বণ নিয়ে সরস্বতী পুজোর পরদিন বেশ একটা অন্য আবহ তৈরি হয়।
এছাড়াও,শীতের শেষে বসন্তের শুরুতে বহু রোগ জীবাণু বাসা বাঁধে শরীরে। আর তা থেকে শরীরকে মুক্ত করতে এই খাবার খাওয়া হয়। এই রান্না অরন্ধনের জন্য পরের দিন খাওয়া হয়। এদিন বাঙালি বাড়িতে শিলনোড়াকেপুজো করা হয় বলে মসলা ছাড়াই এই সেদ্ধ রান্না করার নিয়ম রয়েছে। এই খাবারে শরীর ঠান্ডা থাকে বলে শোনা যায়।