বয়কটে বিপর্যস্ত কেরিয়ার, অভিনয় ছেড়ে নতুন পেশা নিলেন আলিয়া ভাট

বলিউডের (Bollywood) বয়কটের ঝড়ে কার্যত উড়েই যাচ্ছেন নেপোকিডরা। সোশ্যাল মিডিয়াতে ক্রমাগত কটাক্ষের সম্মুখীন হতে হচ্ছে আলিয়া ভাট (Aalia Bhatt), রণবীর কাপুর, অনন্যা পান্ডে থেকে শুরু করে সমস্ত তারকা সন্তানদের। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তাদের সুযোগ পাইয়ে দিতেই নাকি আসল প্রতিভাদের সঙ্গে অন্যায় করছে বলিউড। বিশেষত সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর পর নেটিজেনদের আক্রোশ যেন অনেক বেড়েছে।

ইতিমধ্যেই বলিউড তারকারা অভিনয়ের পাশাপাশি অন্যান্য পেশাও নিতে শুরু করেছেন। অর্জুন কাপুর ইতিমধ্যেই খুলে ফেলেছেন তার নতুন অনলাইন হোম ডেলিভারি সংস্থা। এবার সেই একই পথে পা বাড়ালেন বলিউড অভিনেত্রী আলিয়া ভাট। বর্তমানে তিনি সন্তানসম্ভবা। শীঘ্রই তার কোল আলো করে আসছে কাপুর পরিবারের বংশধর। তাই আপাতত আলিয়া অভিনয় করতে পারবেন না।

তাই বলে কিন্তু বসে নেই আলিয়া। বাড়িতে বসে বসেও তিনি ব্যবসা করার ফন্দি এঁটে ফেলেছেন। আপাতত বাচ্চাদের জামা কাপড় তৈরি করে বিক্রি করাই তার লক্ষ্য। বাচ্চাদের জামা কাপড়ের ব্যবসা করতে চান তিনি। তার নিজস্ব ফ্যাশন ব্র্যান্ড আরও বৃহত্তম পর্যায়ে পৌঁছে যাক এমনটাই তার স্বপ্ন। সেই স্বপ্নকে পূরণ করতে আলিয়া খুলে ফেললেন তার নতুন ব্র্যান্ড ‘এড-আ-মাম্মা’।

আলিয়ার এই ব্র্যান্ড শিশুদের জন্য অল্প দামে ভাল মানের পোশাক তৈরি করবে। নবজাতক শিশু এই পোশাক পরে আরাম পাবে। বহুদিন আগেই এই ভাবনা তার মাথায় এসেছিল। এখনকার যুগের শিশুরা মা-ঠাকুমাদের হাতে তৈরি নরম পোশাক পায় না। এই দেশের বাচ্চাদের কাছে উপযুক্ত পোশাকের অভাব রয়েছে। সেই অভাব দূর করবেন আলিয়া।

আলিয়া দেখেছেন সামর্থ্য থাকলেও শিশুর জন্য কেনার মত ভাল পোশাক পাচ্ছেন না এখনকার বাবা-মায়েরা। তাই তিনি শিশুদের জন্য একটা পোশাকের সংস্থা খুলেছিলেন। ৬০ জন কর্মচারী নিয়ে শুরু হয়েছিল সেই যাত্রা। সেখানে ছিল ১৬০ রকমের পোশাক। এখন সেই ব্র্যান্ড ফুলে-ফেঁপে উঠেছে। ৬০ জনের জায়গায় এখন প্রচুর কর্মচারী তার ব্র্যান্ডের হয়ে কাজ করছেন। প্রায় ১৮০০ রকমের ফ্যাশনের সম্ভার রয়েছে এখানে।

সম্প্রতি তিনি একটি সাক্ষাৎকারে বলেছেন, “প্রথম ২ বছর আমি সংস্থার সঙ্গে নিজের নাম জড়াইনি। দেখতে চেয়েছিলাম আমার নাম ছাড়াই নিজের গুণে পোশাক বিক্রি হয় কি না। শেষ তিন মাসে আমাদের পোশাক বিক্রি ১০ গুণ বেড়েছে। তাই বড় করে ভাবছি। লাইফ স্টাইল আর শপাররস স্টপের সঙ্গে চুক্তিতে এসেছি। আমাদের পণ্য চল্লিশটি আউটলেটে পৌঁছে যাবে মাসের শেষে।” আলিয়ার স্বপ্ন তার বানানো পোশাক ভবিষ্যতে গোটা বিশ্বে পৌঁছে যাবে।