
মাত্র ২৪ বছর বয়সেই প্রয়াত হলেন টলিউড (Tollywood) অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মা (Aindrila Sharma)। তার মৃত্যুর পর কেটে গিয়েছে প্রায় ১৫ টা দিন। গত ১৫ দিন ধরে মানসিকভাবে প্রচন্ড সংগ্রামের মধ্য দিয়ে এগোতে হচ্ছে তার কাছের মানুষদের। ঐন্দ্রিলাকে ভোলা সম্ভব নয়। তার স্মৃতি আঁকড়ে বেঁচে রয়েছেন আপনজনেরা। ঐন্দ্রিলার মৃত্যুর কারণ নিয়ে রয়েছে অনেক জল্পনা। শোনা যাচ্ছে, ক্যান্সার নাকি আবার ফিরে এসেছিল তার শরীরে।
তবে যে মেয়েটা দু-দুবার ক্যান্সারকে পরাজিত করে হাসিমুখে জয়ী হয়ে ফিরে এসেছিল সে কি পারত না আরও একবার জীবন যুদ্ধে জয়ী হতে? সব্যসাচী যেমন মিরাকেলের উপর আস্থা রেখেছিলেন, তেমনই তার ডাকে সাড়া দিয়ে কোটি কোটি মানুষ তার জন্য প্রার্থনা করতেন দিনরাত। সবার এত শুভকামনা প্রার্থনা ব্যর্থ হল কেন? মেয়ের মৃত্যুর দুই সপ্তাহের মাথায় ঐন্দ্রিলার মা শিখা শর্মা যে দাবি করলেন তাতে কার্যত আকাশ থেকে পড়ছেন ভক্তরা।
সম্প্রতি টলি ফোকাস নামের একটি ইউটিউব চ্যানেলে ঐন্দ্রিলার মা তার মেয়ের মৃত্যু নিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন। ঐন্দ্রিলার মায়ের দাবি, চিকিৎসকের গাফিলতিতেই মৃত্যু হয়েছে তার মেয়ের। তিনি সরাসরি একজন চিকিৎসকের ‘ইগো’কেই মেয়ের মৃত্যুর কারণ হিসেবে দাবী করেছেন। ঠিক কী বলছেন তিনি? ঐন্দ্রিলার মা শিখা দেবী জানিয়েছেন যে চিকিৎসকরা ঐন্দ্রিলার চিকিৎসা করছিলেন তারা প্রত্যেকেই ভাল ছিলেন, শুধু একজন ছাড়া।
ঐন্দ্রিলার ব্রেন স্ট্রোকের পর তাকে অপারেশন করাতে হয়েছিল। যিনি তার সেই অপারেশনটি করিয়েছিলেন তার প্রশংসা করেছেন শিখা দেবী। তবে ঐন্দ্রিলার চিকিৎসার জন্য যে মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছিল তাদের মধ্যে একজন চিকিৎসকের ইগো প্রবলেম ছিল বলে জানাচ্ছেন শিখা দেবী। ওই চিকিৎসকের ইগোর জন্যই ঐন্দ্রিলা কোমাতে চলে গিয়েছিলেন বলে অভিযোগ মায়ের।
ওই চিকিৎসক দায়িত্ব নিয়ে ঐন্দ্রিলাকে ডিপ কোমাতে পাঠিয়ে দেন। যেখান থেকে তার মেয়ে আর কখনও ফিরে আসতে পারেনি। ব্রেন স্ট্রোকের পর অপারেশন করানোতে সেটি সফল হয়েছিল। মেয়ের জ্ঞান ফিরে এসেছিল দুদিনের মাথায়। এরপর তার এমআরআই করানো হয়। তারপর থেকেই ঐন্দ্রিলার শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে। এমআরআই করাতে অনেকটা সময় লেগে গিয়েছিল। কিন্তু রিপোর্ট ভাল এসেছিল।
তবে এমআরআই করানোর পর থেকেই ঐন্দ্রিলার শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে। মেয়ের এই অকাল পরিণতির জন্য মায়ের মন ওই চিকিৎসককেই দুষছে। হাসপাতালের বাকি সমস্ত চিকিৎসক ও নার্সিং কেয়ারের প্রশংসা করেছেন তিনি। সকলে অনেক চেষ্টা করেছিলেন ঐন্দ্রিলাকে ফিরিয়ে আনার। তবে সমস্ত চেষ্টা বিফলে চলে গেল। হাসপাতাল থেকে আর ঘরে ফেরা হল না ঐন্দ্রিলার।