ভারতীয় দর্শকরা ক্ষেপে উঠলে তার ফলাফল কি ভয়াবহ হতে পারে তা হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে বলিউড (Bollywood)। একটা সময় ছিল যখন এই দর্শকরাই তাদের ভালোবাসা দিয়ে সমৃদ্ধ করে রেখেছিলেন বলিউডকে। দর্শকদের সমর্থন পেয়েই দামি গাড়ি-বাড়ি, বিলাসবহুল জীবন পেয়েছেন তারকারা। সেই দর্শকদেরই অপমান করার ফল এবার বুঝছেন করিনা কাপুর খান (Kareena Kapoor Khan)।
করোনা পরবর্তী সময়ে বিনোদনের দুনিয়া এমনিতেই দুর্বল হয়ে পড়ে। এই সময়ে সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যু নেপোটিজম বিতর্ক উস্কে দেয়। এই সময় পক্ষে-বিপক্ষে মুখ খুলেছিলেন বলিউডের বহু তারকা। বিশেষত ষ্টার কিডদের নিয়ে যে তুমুল সমালোচনা হয় তার বিরোধিতা করেছিলেন করিনা। তিনি বলেন, “আসতে হবে না আমাদের সিনেমা দেখতে। কেউ জোর করেনি।”
করিনার এই একটি বিতর্কিত মন্তব্যই কার্যত বুমেরাং হয়ে তার কেরিয়ার বিধ্বস্ত করতে উঠে পড়ে লেগেছে। ২ বছর আগে করা তার এই মন্তব্যের জেরে এখন তাকেই এক হাত নিচ্ছেন দর্শকরা। আজ যখন ‘লাল সিং চাড্ডা’ দেখার জন্য তিনি দর্শকদের অনুরোধ করছেন তখন দর্শকরাও তাকে সেই দিনের মন্তব্য মনে করিয়ে দিচ্ছেন।
শুধু তাই নয়, করিনা সিনেমা বয়কট করেই থেমে থাকেননি এই দর্শকরা। করিনার একটি নামিদামি ব্রান্ডের গাড়ির বিজ্ঞাপনের বিরুদ্ধেও তারা মুখ খুলছেন। যেহেতু করিনা কাপুর খান এই ব্র্যান্ডের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর তাই তারা এই নামী ব্র্যান্ডের গাড়িটিকেও বয়কট করার দাবি তুলছেন। এতে কার্যত বেজায় লোকসানের মুখে পড়ছে ওই সংস্থা।
দর্শকদের ক্ষোভের আগুন বাড়তে বাড়তে যে এতদূর গড়াতে পারে তা আন্দাজও করতে পারেননি বেবো। বয়কট বলিউডের পাশাপাশি এখন সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হচ্ছে ‘হ্যাশট্যাগ বয়কট মার্সিডিজ’। সেই সঙ্গে টুইটারেও ট্রেন্ডিং রয়েছে এই হ্যাশ ট্যাগ। ব্যাপার দেখে চক্ষু চড়ক গাছ সংস্থার। তবে শুধু এই সংস্থাই নয়, করিনার সঙ্গে জড়িত প্রায় প্রতিটি ব্র্যান্ড এভাবেই বয়কটের মুখে পড়ে যাচ্ছে।
উল্লেখ্য, করিনাকে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে এমনিতেই কিছু কম বিতর্ক নেই। বিশেষত তিনি তার দুই ছেলের নাম মা রেখেছেন তা নেটিজেনদের একাংশে চক্ষুশূল। তৈমুর এবং জাহাঙ্গীরকে সকলে ভালবাসলেও তাদের নাম কারও পছন্দ হয়নি। এখন আবার এই বয়কট বিতর্ক, সিনেমার পাশাপাশি তবে কি এবার ব্র্যান্ডগুলোও হারাবেন অভিনেত্রী?