এই ৫টি কারণেই আর ‘সাহেবের চিঠি’ দেখছে না কেউ, দিন দিন কমে যাচ্ছে টিআরপি

একদিকে বাংলার আইকন সাহেব মুখার্জি, অন্যদিকে মধ্যবিত্ত পরিবারের একমাত্র রোজগেরে মেয়ে চিঠি, দুজনের জীবনের গল্পটা কিভাবে একটা বিন্দুতে এসে মিলে যায় সেই গল্প নিয়েই স্টার জলসাতে (Star Jalsha) শুরু হয়েছিল সাহেবের চিঠি (Saheber Chithi) ধারাবাহিকটি। মেইন লিডে রয়েছেন বাংলার হার্ট থ্রব প্রতিক সেন এবং দেবচন্দ্রিমা সিংহ রায়। ধারাবাহিক শুরু হওয়া নিয়ে যতটা উন্মাদনা দেখা দিয়েছিল দর্শকদের মধ্যে টিআরপি রেটিংয়ে তার বিন্দুমাত্র খোঁজ মিলছে না।

ধারাবাহিকের গল্প অনুসারে বাংলার বিখ্যাত গায়ক সাহেব মুখার্জি একটি দুর্ঘটনায় হারিয়ে ফেলেন নিজের একটি পা। এরপরই তিনি নিজেকে গৃহবন্দী করে নেন। ফ্যানদের ভালবাসা হারিয়ে ফেলার ভয়ে তিনি নিজেকে গুটিয়ে ফেলেছেন। এই সাহেব মুখার্জির জীবনেই এক ঝলক টাটকা বাতাসের মত হাজির হয় পোস্ট ওম্যান চিঠি। ভাগ্যের ফেরে দুজনের বিয়েও হয়। চিঠি এখন সাহেবকে আবার জীবনের মূল স্রোতে ফিরিয়ে আনবে।

ধারাবাহিকের গল্পটা হার না মানা এক জীবনযুদ্ধের কাহিনী হলেও হতাশ করছে টিআরপি রেটিং চার্ট। এই সপ্তাহের টিআরপি তালিকায় সাহেবের চিঠি ৫.১ নম্বর পেয়ে স্লট লিডার হয়েছে, সেই সঙ্গে সেরা দশের তালিকায় দশম স্থান দখল করেছে। কিন্তু তুলনামূলকভাবে গত সপ্তাহের তুলনায় ধারাবাহিকের নম্বর কিন্তু কমেছে। গত সপ্তাহে ৫.৪ ছিল এই ধারাবাহিকের রেটিং।

এখন ধারাবাহিকটিকে নিয়ে ভক্তরা বেজায় উদ্বেগের মধ্যে রয়েছেন। কারণ টি আর পি তে তেমন ভাল ফল করতে না পারলে প্রয়োজনে মাত্র কয়েক মাসের মধ্যে ধারাবাহিক বন্ধ করে দিতে দ্বিধা করছে না স্টার জলসা। কিন্তু এত ভাল গল্প, ভাল কাস্টিং থাকা সত্ত্বেও কেন পিছিয়ে পড়ছে সাহেবের চিঠি? কারণটা খুঁজে বার করলেন দর্শকরাই। ধারাবাহিকের পিছিয়ে যাওয়ার নেপথ্যে এক নয়, একাধিক কারণ রয়েছে বলে দাবি করছেন তারা।

দর্শকদের মতে, ধারাবাহিকের খলনায়িকা রাইমার ওভার অ্যাকটিং মেনে নেওয়া যাচ্ছে না। এই চরিত্রে অভিনয় করছেন দেবলিনা কুমার। এটাই তার ধারাবাহিকে প্রথম অভিনয়। দর্শকরা মনে করছেন খলনায়িকা হিসেবে কাস্টিংটা একেবারেই ঠিক হয়নি। আবার কেউ বলছেন ‘সাহেবের চিঠি’র রিপিট টেলিকাস্টের সময়টাও নাকি ঠিক হয়নি।

যে ধারাবাহিক সন্ধ্যা ৬.৩০টায় সম্প্রচারিত হচ্ছে, তার রিপিট হচ্ছে রাত্রি ১১ টায়! একই দিনে মানুষ ২ বার ধারাবাহিকটি দেখছেন। এখন যারা সন্ধ্যার সময় দেখার সুযোগ পাচ্ছেন না রাতের দিকে দেখে নিচ্ছেন। অদ্ভুতভাবে রাতের দিকে এই ধারাবাহিক কিন্তু ১.২-২ রেটিং পাচ্ছে। অর্থাৎ অনেক দর্শক রাতের দিকে ধারাবাহিকটি দেখছেন যার ফলে সার্বিকভাবে ‘সাহেবের চিঠি’র রেটিং কমছে। এখন চ্যানেল যদি রাতের টেলিকাস্ট বন্ধ করে পরের দিন সকালে করে তাহলে টিআরপি বাড়ার সম্ভাবনা আছে বলে মনে করছেন দর্শকরা।