

কয়েক যুগ পর সারা বিশ্বের সামনে এমন এক বিপর্যয় নেমে এসেছে।গৃহবন্দী মানুষেরা বলছেন, এমন এক বিপর্যয় কোনোদিন আসবে তা ভাবিনি। সত্যি, করোনা ভাইরাস যে এভাবে সারা বিশ্বে থাবা বসাবে তা আমরা কেওই জানতাম না। কিন্তু এক বিষ্ময় বালক গতবছরই এই করোনা সংকটের পূর্বাভাস দিয়েছিল।
অভিজ্ঞ আনন্দ নামে এক জ্যোতিষ বালক গতবছর ইউটিউবে একটি ভিডিও প্রকাশ করে। ‘Severe Danger To The World From Nov 2019 To April 2020’ নামে ওই ভিডিওতে অভিজ্ঞ বলে, ২০১৯ এর নভেম্বর থেকে ২০২০ সালের এপ্রিলের মধ্যে একটি মারণ রোগ সারা বিশ্বে সংকট সৃষ্টি করবে।
অভিজ্ঞ সেই ভিডিওতে জানায়, ২০২০ সালে নেমে আসা মারণ রোগ মানবজাতির অস্ত্বিত্ব সংকটে ফেলবে। যদিও সেই সময় অল্পবয়সী সেই বালকের কথায় কেও তেমন আমল দেননি। কিন্তু অভিজ্ঞর পূর্বাভাস অক্ষরে অক্ষরে মিলে যাওয়ায় সে আবারও নতুন করে খবরের পাতায় উঠে এসেছে।
গত বছর আগস্টে যে ভিডিওটি সামনে আসে, তাতে সে জানায়, গত নভেম্বর থেকে এবছরের এপ্রিল পর্যন্ত বড়সড় যুদ্ধে বিপুল ক্ষতিগ্রস্ত হবে ইরান-সহ বেশ কিছু দেশ। প্রভাব পড়বে ভারতেও। অর্থনীতি থেকে বিমান পরিষেবা, সব ক্ষেত্রেই ক্ষতির সম্মুখীন হবে বিশ্ব। তারপরই সে উল্লেখ করে একটি রোগের। বলে, “বিশ্বজুড়ে একটা রোগ ছড়িয়ে পড়বে। যাতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়বে প্রায় গোটা দুনিয়া। আর বিশ্ব না হলেও ভারত তো অবশ্যই এর প্রভাব পড়বে। তবে ধৈর্য করে কঠিন লড়াই করে সেই পরিস্থিতি জয় করা সম্ভব হবে।”
কবে করোনা থেকে মিলবে মুক্তি? এই প্রশ্নে কিশোরের দাবি, “২০২০-র জুনের আগে পৃথিবীতে ভাল কিছু হবে না। জুলাই থেকে কমতে পারে করোনা সংক্রমণের সম্ভাবনা।” ভ্যাকসিন আবিষ্কার নিয়েও ওই ভিডিওতে আশার কথা শোনায় কিশোর। সে বলে, “ভ্যাকসিন আবিষ্কার হবে। তবে প্রতিরোধ ক্ষমতা না বাড়ালে সাধারণ মানুষকে বাঁচানো দুষ্কর। তাই পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে।”
অভিজ্ঞ আরও জানায় ২০২০ সালের, ডিসেম্বরে সারা পৃথিবীতে আরও একটি সংকট নেমে আসবে। সেই সংকট ২০২১ সালের ৩১ শে মার্চ পর্যন্ত স্থায়ী হবে। মারণ ভাইরাস করোনা থেকে বাঁচতে অভিজ্ঞ নিজেই কিছু পরামর্শ দেয়। সে বলে মারণ ভাইরাস নাক বা কান দিয়ে প্রবেশ করবে না এর থেকে বাঁচতে হলে শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে হবে।
তার জন্য নিয়মিত তুলসী পাতা খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে অভিজ্ঞ। এছাড়াও জলে কাঁচা হলুদ,আদা ও জোয়ান ফুটিয়ে সেই জলের ভাপ নিতে বলেছে অভিজ্ঞ।
তার মতে, ২৯ মে বিশ্ব থেকে ধীরে ধীরে বিদায় নিতে শুরু করবে এই মহামারি। একদিনে এই ভাইরাস ভ্যানিশ হয়ে যাবে না। তবে ওই তারিখের পর থেকেই এর প্রভাব কমবে। মানুষ আবার স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে শুরু করবেন।
আনন্দের এই ভবিষ্যদ্বাণীর ভিডিওটি নিয়ে ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় চর্চা শুরু হয়েছে। গত বছরই সে মহামারির ইঙ্গিত দেওয়ায় এবার এই তার এই ভবিষ্যদ্বাণীতেও ভরসা করছেন অনেকেই। এবার দেখার, আনন্দের আন্দাজ বাস্তবে রূপায়িত হয় কি না।