কথায় আছে ফলের রাজা আম, তা চাটনি হিসেবে টক আম হোক বা পাকা আম আম মানেই তৃপ্তি! এই গরমে আমের চেয়ে উপাদেয় ফল আর কিছু হয় কী! কিন্তু জানেন কি কতটা আম খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে ? বিশেষজ্ঞদের মতে, অতিরিক্ত আম খেলেও শরীর স্বাস্থ্যের মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে।
চিকিৎসক জানিয়েছেন, পাকা আম খাওয়া ভালো, তবে খুব বেশি খাওয়া ঠিক নয়। পাকা আমে রয়েছে নানা ভিটামিন। যেমন, ভিটামিন সি, ভিটামিন বি, থায়ামিন, রিবোফ্লাভিন, ভিটামিন এ বা বিটা ক্যারোটিন। আবার রয়েছে উচ্চমাত্রার চিনি, কার্বোহাইড্রেড ও গ্লাইসেমিক। তাছাড়া পাকা আমে ফিনোলিকস জাতীয় উপাদান থাকার কারণে তা অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের ভালো উৎস।
পাকা আমে চিনির পরিমাণ বেশি থাকার ফলেই শরীর খারাপ হওয়ার সম্ভবনা বেড়ে যায়৷ চিকিৎসকের কথায়, যাদের সুগার রয়েছে, তাঁরা একেবারেই দূরে থাকুন আমের থেকে৷ কেননা রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ বাড়িয়ে আম ক্ষতি করতে পারে শরীরের৷
ত্বক জ্বালা
আমের গায়ে লেগে থাকা আঠা যেন কোনও ভাবে মুখে না লাগে! আমের এই আঁঠা মুখের কোমল ত্বকে লাগলে জ্বালা, চুলকানির মতো নানা সমস্যা হতে পারে।
অ্যালার্জি
যাঁদের ত্বকে অ্যালার্জির প্রবণতা আছে, তাঁদের আম এড়িয়ে চলাই ভাল। কারণ, আম খেলে ত্বকে জ্বালা, চুলকানি, র্যাশ বেরনোর মতো একাধিক সমস্যা দেখা দিতে পারে।
ব্লাড সুগার
আম রক্তে চিনির মাত্রা বহুগুণ বাড়িয়ে দেয়। তাই যাঁরা ডায়াবিটিসে আক্রান্ত, তাঁদের পক্ষে আম খাওয়া মোটেই নিরাপদ নয়। ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখতে তাই আম খান মেপে মেপে। প্রয়োজনে চিকিত্সকের পরামর্শ নিন।
হজমের সমস্যা
অতিরিক্ত পরিমাণে আম খেলে বাড়তে পারে হজমের সমস্যা। অতিরিক্ত আম খাওয়ার ফলে গ্যাসটাইট্রিসের সমস্যাও মাথা চাড়া দিতে পারে।
বাতের ব্যথা
যাঁরা আর্থারাইটিস বা বাতের সমস্যা ভোগেন তাঁদের আম এড়িয়ে চলাই ভাল। আম খেলে আর্থারাইটিস বা বাতের ব্যথা বাড়ার আশঙ্কা বহুগুণ বেড়ে যায়।
আম চিবিয়ে বা চুষে না খেয়ে রস (জুস) করে খান। এতে আমে থাকা ফাইবার নষ্ট হয়ে যায়। ফলে শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় আমের ফাইবারের গুণাগুণ পাওয়া যায় না।