

করোনার (Corona) কারণে এক ধাক্কায় বহু মানুষের জীবনে নেমে এসেছিল অন্ধকার। বেসরকারি সংস্থা, ব্যবসায়িক ক্ষেত্র এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলোতে রাতারাতি শুরু হয়ে যায় কর্মী ছাঁটাইয়ের প্রক্রিয়া। এই পরিস্থিতিতে বহু মানুষ কাজ হারিয়ে ছিলেন। তবে কঠিন পরিস্থিতির মুখে ভেঙে না পড়ে ঘুরে দাঁড়ানোর নামই তো জীবন। জীবনের এই পাঠকেই মূলমন্ত্র করে এগিয়েছেন বাংলাদেশের (Bangladesh) বগুড়ার তরুণী সমীরা সামছাদ।
স্ট্যাটিসটিকস নিয়ে স্নাতক স্তরে পড়াশোনা করে একটি বেসরকারি সংস্থায় চাকরিতে যোগ দিয়েছিলেন বাংলাদেশের ওই তরুণী। সবকিছু বেশ ভালই এগোচ্ছিল। তবে ২০২০ সালে করোনার প্রকোপে তার জীবনের মোড় ঘুরে যায়। পৃথিবীর কোটি কোটি মানুষের মতো তিনিও হয়ে পড়েন বেকার। এই সময় তার মাথায় আকাশ ভেঙে পড়েছিল। কী ভাবে সবকিছু সামলে উঠবেন ভেবে পাচ্ছিলেন না সমীরা।
তবে সমীরা এই পরিস্থিতিতেও মাথা ঠান্ডা রেখেছেন। চাকরি চলে যাওয়ার পর নিজে থেকেই ব্যবসা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ওই তরুণী। লকডাউন চলাকালীন অনেকেই চাকরি ছেড়ে ব্যবসাক্ষেত্রে ভালো লাভ করতে পেরেছেন। সমীরাও তাদেরই একজন। আচারের ব্যবসা করে আজ তিনি লাখপতি। ফেসবুককে কাজে লাগিয়ে আচারের ব্যবসা করে লক্ষ লক্ষ টাকা উপার্জন করে ফেলেছেন তিনি।
বাড়িতে একদিন আমের আচার তৈরি করে তার ছবি ফেসবুকে শেয়ার করেছিলেন সমীরা। অনেকেই তার বানানো আমের আচার দেখে দাম জানতে চেয়েছিলেন। সমীরা তখন সিদ্ধান্ত নেন আচারের ব্যবসাই করবেন তিনি। ভাবনাকে বাস্তবায়িত করতে উঠেপড়ে লাগেন সমীরা। তার প্রচেষ্টা সফল হয়েছে। গত ২ বছরে তার আচারের ব্যবসা অনেকটাই এগিয়েছে।
২০২০ সালের জুন মাসে আচারের ব্যবসা শুরু করেছিলেন সমীরা। ব্যবসার শুরুতে তার মা তাকে সাহায্য করতেন। ধীরে ধীরে তার ব্যবসা বড় হয়েছে। এখন তাকে সাহায্য করার জন্যে ৪ জন কর্মীও রয়েছেন। আচার বিক্রি করে এখনও পর্যন্ত ৮ লক্ষ টাকা লাভ করে ফেলেছেন সমীরা। ভবিষ্যতে চাকরির বদলে এই আচারের ব্যবসাতে পুরোদস্তুর মনোনিবেশ করে ব্যবসা আরও বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে তার।