দিনদিন বাড়ছে চাকরির প্রতিযোগিতা। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে বেকারত্ব। উচ্চ যোগ্যতা নিয়েও হন্যে হয়ে ঘুরে বেড়াতে হচ্ছে চাকরির জন্য। সুস্থভাবে খেয়ে পড়ে বাঁচতে নাজেহাল হতে হচ্ছে আমজনতাকে। ঠিক এই পরিস্থিতিতে একসঙ্গে তিন তিনটে সরকারি চাকরি করে যাচ্ছিল সে। সরকারের চোখে ধুলো দিয়ে দিব্যি বেতন ও ভোগ করছিল সে। তাও এক-দু বছর নয়, টানা ৩০ বছর ধরে। অথচ এতদিনেও জানতে পারলো না কেউই।
কিষানগঞ্জের অফিস অফ বিল্ডিং কন্সট্রাকশন, বাঁকা জেলার ডিপার্টমেন্ট অফ ওয়াটার রিসোর্স ও সুপাউলের ভীম নগর ইস্ট এমব্যাঙ্কমেন্ট, তিনটি অফিসেই সহকারি ইঞ্জিনিয়ারের পদে চাকরি করছিলেন এই সুরেশ রাম। প্রথম চাকরি করার সময়ই তিনি দ্বিতীয় চাকরির অফার পান। প্রথম অফিসে সেই কথা না জানিয়ে তিনি দ্বিতীয় চাকরিতে যোগ দেন। দ্বিতীয় চাকরি করার সময় তিনি তৃতীয় চাকরির অফার পান। আবার তিনি প্রথম এবং দ্বিতীয় অফিসের না জানিয়ে তৃতীয় চাকরি টিকেও বেছে নেন।
Kishanganj: A Bihar govt official, S Ram was working at 3 positions simultaneously in different departments & drawing salaries from them for over 30 years. AK Jha, DSP says, "We have received a complaint regarding the case, the accused is absconding, investigation underway." pic.twitter.com/EOUowFD3Vr
— ANI (@ANI) August 24, 2019
এই তিনটি সরকারি বিভাগের কাজই সমানভাবে করে গিয়েছে সে৷ তিনটি সরকারি দপ্তরে চাকরির জেরে মোটা অঙ্কের বেতনও পকেট ভরত সুরেশ৷এখন প্রশ্ন এতদিন সরকারের চোখ এড়িয়ে কিভাবে একই সঙ্গে তিনটি সরকারি চাকরি সামলাতে সুরেশ?
তার সহকর্মীদের দাবি সুরেশ একজন সরকারি আধিকারিক হিসাবে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের গুডবুকে তার নাম ছিল। এর দৌলতে বারবার প্রমোশন পেয়েছে সে। কিন্তু গত জুলাই মাসে এর ছন্দপতন ঘটে। এতদিনের কারচুপি চলে আসে সর্বসমক্ষে। কম্প্রিহেনসিভ ফিনান্সিয়াল ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম এর ফলে সুরেশ এর এই তিন সংস্থার চাকরির যাবতীয় খুঁটিনাটি ধরা পড়ে যায়। ঘটনা জানাজানি হতেই সুরেশের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়। তবে বর্তমানে ফেরার সে।
রাজ্যের একাধিক জেলায় জেলায় আর্থিক কারচুপিতে গতবছর বিহার সর্কার এই কম্প্রিহেনসিভ ফাইনান্সিয়াল ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম প্রথা চালু করে।