
বিদ্যুতের বিল শুনেই হাসপাতালে ভর্তি বৃদ্ধ। ঘটনাটি ঘটেছে মহারাষ্ট্রে। সেখানে নালাসোপারার নায়েক পরিবারের গণপত নায়েকের (Ganpat Nayek) বিদ্যুতের বিল দেখেই আত্মারাম খাঁচাছাড়া হওয়ার উপক্রম। সংখ্যাটা শুনলে সবারই চোখ কপালে উঠে যাবে। হাজার বা লাখের ঘরে নয়, তার বিদ্যুতের বিল এসেছে ৮০ কোটি টাকা। এই বিল দেখে তা রক্তচাপ বেড়ে যাওয়ায় তাকে সাথে সাথে ভর্তি করতে হয়েছে হাসপাতলে। শেষ পর্যন্ত বিদ্যুৎ বিভাগের হস্তক্ষেপে সমস্যার নিরসন ঘটে।
বয়সজনিত কারণে হার্টের রোগে ভুগছিলেন বছর ৮০ এর গণপত নায়েক।মহারাষ্ট্রের নালাসোপারায় তাদের নিজেদের চালের মিলে সে সময় কাজ করছিলেন তার নাতি নীরজ। বিদ্যুতের বিল হাতে পেয়েই চক্ষু চড়কগাছ গণপতের। শারীরিক উত্তেজনার জেরে বাড়তে থাকে রক্তচাপ।পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে গেলে সঙ্গে সঙ্গে তাকে ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) নালা সোপারার বাসিন্দা এই বৃদ্ধ রীতিমতো ধনী। চাল কলের মালিক তিনি। কিন্তু তা বলে এই অঙ্কের ইলেকট্রিক বিলের ধাক্কা সামলানো তাঁর পক্ষেও সম্ভব হয়নি। তার উপর তিনি আবার হৃদরোগী। ফলে সহজেই আতঙ্ক গ্রাস করে শরীরে।
তার পরিবারের তরফ থেকে স্থানীয় বিদ্যুৎ বিভাগের অফিস এই খবর পৌঁছায়।মহারাষ্ট্র স্টেট ইলেকট্রিসিটি ডিস্ট্রিবিউশন কম্পানি লিমিটেড (MSEDCL)-এর কাছেও গিয়েছে এই খবর। অবশ্য MSEDCL-এর তরফ থেকে পুনরায় রেটিং চেক করে পাঠানো হয়েছে নতুন বিল।MSEDCL জানায় মিটার রিডিং চেক করার এবং বিল তৈরি করা দায়িত্ব যে সংস্থার হাতে ছিল তারাই ছয় ডিজিটের জায়গায় নয় ডিজিটাল বিল তৈরি করে দেয় যার ফলেই এই ভোগান্তি।
সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে কে সাক্ষাৎকারের গণপত নায়েক জানান, প্রথমে তিনি ভেবেছিলেন সম্পূর্ণ জেলার বিল একসাথে তার কাছে এসেছে, কিন্তু পরে তিনি বুঝলেন, এটা শুধু তারই বিল। ইলেকট্রিসিটি বোর্ড অবশেষে নতুন বিল পাঠিয়েছে গণপতের পরিবারকে। যা দেখে স্বস্তি ফিরেছে। হাঁফ ছেড়েছে সবাই।