

আধুনিক প্রজন্ম ইলেকট্রনিক্সের সামগ্রী ব্যবহার করতে অভ্যস্ত। ঘর ঠান্ডা রাখতে এসি, ফল সবজি টাটকা রাখতে ফ্রিজ ছাড়া এক পা-ও চলতে পারেন না আধুনিক প্রজন্মের মানুষ। তবে আগেকার যুগের মানুষেরা প্রযুক্তির ব্যবহারের সঙ্গে সড়গড় ছিলেন না। তারা ব্যবহার করতেন প্রাকৃতিক উপাদান এবং বুদ্ধি। মাটির পাত্রে জল রেখে ঠান্ডা জলের চাহিদা পূরণ করার চল তো বহু পুরনো।
কয়েক প্রজন্ম আগেও ঘরে ঘরে মাটির পাত্র ব্যবহারের প্রচলন ছিল। যা ছিল পরিবেশবান্ধব এবং যথেষ্ট উপকারীও। এই প্রজন্মেও আবার মাটির পাত্রের (Clay Pot) ব্যবহার ফিরছে। পথ দেখাচ্ছেন তামিলনাড়ুর কোয়েম্বাটুরের কারুমথামপট্টির বাসিন্দা ৭০ বছর বয়সী শিবস্বামী। তিনি তৈরি করেছেন পরিবেশবান্ধব মাটির রেফ্রিজারেটর (Eco-friendly Refrigerator Made By Clay)।
তিনি পেশাগত ভাবে মাটির পাত্র তৈরি করেন। তিনি জানেন মাটির পাত্রে জল রাখলে সেই জল দীর্ঘক্ষণ ঠান্ডা থাকে এবং সুরক্ষিত থাকে। সেই অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে ও বুদ্ধি খাটিয়ে তিনি মাটির এক অভিনব পাত্র তৈরি করেছেন যাকে রেফ্রিজারেটর হিসেবে ব্যবহার করা যায়।
শিবস্বামী্য তৈরি এই মাটির পাত্রে সবজি, বিভিন্ন ধরনের খাবার এবং আরও অনেক জিনিস দীর্ঘদিন ধরে সুরক্ষিত রাখা যাবে। ২০২০ সালে প্রথমবার এই ভাবনা তার মাথায় আসে। ২ বছরের মাথায় তিনি তৈরি করে ফেলেছেন সিলিন্ডারের আকৃতির একটি মাটির রেফ্রিজারেটর।
এই পাত্রের দুটি স্তর রয়েছে। পাত্রের নিচের দিকে রয়েছে কলের মত নল সিস্টেম। এই স্তরে জল রাখা যায় এবং ঢাকনারও ব্যবস্থা রয়েছে। পাত্রের উপরের স্তরে যে কোনও ধরনের খাবার বা সবজি সুরক্ষিতভাবে রাখা যায় দীর্ঘদিন।
শিবস্বামী জানিয়েছেন এই পাত্রে ১৫ লিটার জল ধরে। মাটির পাত্র তুলনামূলকভাবে ঠান্ডা হয়। এই পাত্রের মধ্যে আরেকটি ছোট পাত্র রয়েছে যেখানে সবজি এবং বিভিন্ন খাবার যেমন দুধ-দই সুরক্ষিত রাখা যায়। এই পাত্রের বেশ চাহিদাও রয়েছে। এ পর্যন্ত ১০০ টিরও বেশি মাটির ফ্রিজ বিক্রি করেছেন তিনি। পাত্রের দাম ১৭০০ থেকে ১৮০০ টাকা মাত্র।