একটা সময় ছিল যখন বাংলা (Bengali Telivision) চ্যানেলের বেঙ্গল টপার বলতে প্রথমেই ভেসে আসত মিঠাইরানীর (Mithai) মুখ। কিন্তু এখন টিআরপি তালিকায় মিঠাইয়ের টালমাটাল দশা চলছে। এই সপ্তাহের সাপ্তাহিক রিপোর্ট কার্ড হাতে পেয়েই কার্যত মাথায় হাত মিঠাই ভক্তদের। এক থেকে তিনের মধ্যে থাকা তো দূর, এক ধাক্কায় পাঁচে নেমে এসেছে মিঠাই।
দিন প্রতিদিন হুড়মুড়িয়ে কমছে মিঠাইয়ের টিআরপি। বিপক্ষে ধুলোকণা এবং গাঁট ছড়া তো ছিলই, এখন আবার মিঠাইকে টপকে এগিয়ে যাচ্ছে আলতা ফড়িং গৌরী এলও! মিঠাইয়ের ফ্যান গ্রুপগুলোতে এখন রীতিমতো এই ফলাফল নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বইছে। চুলচেরা বিশ্লেষণ করে বেশ কিছু পয়েন্ট তুলে ধরেছেন তারা।
এর মধ্যে অন্যতম হল মিঠাইয়ের প্রতি চ্যানেলের অবহেলা। তাদের দাবি, চ্যানেল সময় মত মিঠাইয়ের প্রোমো দিচ্ছে না। সমরেশের বিয়ের প্রোমো এসেছে ঠিকই, তবে বড্ড দেরি করে ফেলেছে চ্যানেল। বরং গৌরী এলকে অতিরিক্ত গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। দ্বিতীয়ত, মিঠাইয়ের প্রতিপক্ষ ধুলোকণার বাড়বাড়ন্ত হয়েছে খুব। লালন-ফুলঝুরির বিয়ে উপলক্ষে একাধিক চমক ঢুকেছে গল্পে। একই স্লটে সম্প্রচারিত ধুলোকণা বেঙ্গল টপার হওয়ার পাশাপাশি ৯.৩ নম্বর পেয়েছে। এতে মিঠাইয়ের নম্বর বেশ খানিকটা কাটা গিয়েছে।
এছাড়া দর্শকদের একাংশ এখন মিঠাইয়ের গল্পে পরিবর্তন চাইছেন। মিঠাইকে এবার কিছুটা শিক্ষিতা এবং আত্মসম্মানী নায়িকা হিসেবে দেখতে চান তারা। সঙ্গে সিদ্ধার্থ ও মিঠাইয়ের রোম্যান্স যদি একটু বাড়ে তাহলেও মন্দ হয় না। তবে এই রোম্যান্স যেন হল্লা পার্টি বিগড়ে না দেয়! মিঠাই-সিদ্ধার্থের পাশাপাশি রুদ্র-নিপা এবং সোম-তোর্সার সম্পর্কের সমীকরণটাও সঠিকভাবে ফুটছে না। সোমকে এখন পিলু ধারাবাহিকের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে ফাহিম ওরফে রুদ্রও এখন সেই ধারাবাহিকেরই অঙ্গ হয়ে উঠেছেন। কাজেই মিঠাই অবহেলিত হচ্ছে বলে দাবি নেটিজেনদের। তবে সব থেকে বড় যে কারণটাকে তারা টিআরপি কমে যাওয়ার কারণ বলে দাবি করছেন তা হল লিড জুটির বন্ধুত্বে চিড় ধরেছে। স্টুডিও পাড়ায় গুঞ্জন আদৃতর সঙ্গে সৌমিতৃষার বন্ধুত্বে নাকি ফাটল ধরেছে। আর তার কারণ নাকি কৌশাম্বি-আদৃতের ঘনিষ্ঠতা। তার প্রভাব ধরা পড়ছে অনস্ক্রিনে।