

দুধকে পুষ্টিবিদরা সুষম খাবারের মধ্যে ধরেন। অর্থাৎ এর মধ্যে কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ফ্যাট এবং তার সঙ্গে ভিটামিনস ও মিনারেলস ভরপুর মাত্রায় থাকে। ছোট থেকে বড়, সকলেরই শরীরে পুষ্টির চাহিদা পূরণ করতে পারে এক গ্লাস দুধ (Milk)। তবে শুধু শুধু দুধ খেতে অনেকেই পছন্দ করেন না। দুধের সঙ্গে বিভিন্ন ফল কিংবা স্ন্যাকস জাতীয় খাবার মিশিয়ে খাওয়ার চল রয়েছে।
দুধের মধ্যে ভরপুর মাত্রায় রয়েছে ল্যাকটোজ সুগার এবং অ্যামাইনো এসিড, শরীরের ঘাটতি পূরণের জন্য এই দুটি উপাদান খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তবে জানেন কি কিছু কিছু ক্ষেত্রে এই দুধই আপনার শরীরের মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে? আসলে দুধ নয়, দুধের মধ্যে কিছু উপাদান মিশিয়ে খাওয়া নিষিদ্ধ। যদি নিয়মিত এগুলো খান তাহলে শরীরে মারাত্মক অসুখ হতে পারে। তাই এই প্রতিবেদন থেকে জেনে নিন দুধের সঙ্গে কোন কোন খাবার খাবেন না (5 Foods You Should Avoid With Milk)।
প্রাণীজ প্রোটিন : দিনে দুধের পাশাপাশি প্রাণিজ প্রোটিন প্রত্যেকের খাদ্য তালিকার মধ্যে রাখা উচিত। প্রাণীজ প্রোটিনকে ফার্স্ট ক্লাস প্রোটিন ধরা হয়। কিন্তু দুধের সঙ্গে কখনও প্রাণীজ প্রোটিন খাওয়া উচিত নয়। অর্থাৎ মাংস কিংবা ডিমের সঙ্গে দুধ খাওয়া উচিত নয়। এতে শরীরের রোগের সমস্যা বাড়ে।
তরমুজ : দুধের সঙ্গে কোনও টক জাতীয় খাবার খাওয়া উচিত নয়। জানলে অবাক হবেন দুধের সঙ্গে তরমুজ খাওয়াও মানা। দুধের সঙ্গে যদি তরমুজ মিশিয়ে খান তাহলে তা শরীরের সমস্যা বাড়িয়ে দেয়। তাই তরমুজ খেতে হলে আলাদা করে খান কিন্তু দুধের সঙ্গে একেবারেই খাবেন না।
লেবু : দুধের সঙ্গে কোনও টক জাতীয় খাবার খাওয়া যাবে না। বিশেষ করে লেবু তো একেবারেই খাওয়া যাবে না। লেবুর রস দুধের সঙ্গে বিক্রিয়া করে দুধ নষ্ট করে দেয়। পেটের ভেতর যদি এরকম বিক্রিয়া চলে তাহলে পেট খারাপ হতে বাধ্য। তাই পেটের সমস্যা দূর করতে লেবুর সঙ্গে কখনও দুধ খাবেন না।
বেরি : বিভিন্ন বেরি জাতীয় ফল খেতে অনেকেই পছন্দ করেন। বেরি শরীরে ভিটামিন এবং মিনারেলের চাহিদা পূরণ করে। সেই সঙ্গে এর মধ্যে থাকে ভরপুর মাত্রায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। তবে দুধ খাওয়ার আগে কিংবা পরে বেরি জাতীয় ফল খাওয়া যাবে না। নয় তো এতেও শরীর খারাপ হতে পারে।
নুন ও তেল জাতীয় খাবার : কোন নুন কিংবা তেল মিশ্রিত খাবারের সঙ্গে দুধের খাবার খাওয়া উচিত নয়। নুন ও তেল ব্লাড প্রেসার এবং কোলেস্টেরল বাড়িয়ে দেয়। দুধের সঙ্গে নুন খাওয়া উচিত নয়। কারণ এতে দুধের প্রোটিনের উপাদান কমে যায়। আবার দুধের সঙ্গে তেল খেলেও পেটের মধ্যে বিক্রিয়া হতে পারে। এতেও পেটের সমস্যা বাড়ে।